বান্দরবানের পাহাড়ে পাহাড়ে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর যে বসতি বা পাড়া চোখে পড়ে, মুনলাই পাড়া সেগুলো থেকে ব্যতিক্রম। পাহাড়ি রাস্তার দুই ধারে নানা রকম রঙিন ফুলের গাছ, ঝকঝকে ছোট ছোট বাড়ি, যেগুলো স্বাভাবিকভাবেই মাচার ওপর। কয়েকটি ঘর রঙিন টিনে ছাওয়া। মেঝেগুলো কাঠের।
রুমা বাজার থেকে তিন কিলোমিটার চড়াই-উতরাই পথ পেরিয়ে যাওয়া যায় মুনলাই পাড়ায়। বগা লেক আর কেওক্রাডং যাওয়ার পথে এটি একটি বম পাড়া। বম সম্প্রদায়ের প্রায় ৫৪টি পরিবারের বসবাস এখানে।
বান্দরবানের আকাশ সবচেয়ে স্বচ্ছ মনে হয় সব সময়। মেঘের আনাগোনার মধ্যেও মনে হয় অনেক স্বচ্ছ আকাশ। রাতে অসংখ্য তারা সেখানে! যান্ত্রিকতা নেই কোনো দিকে, দিনের সবুজ রাতে আরও গাঢ়, রাতজাগা পাখি, পোকামাকড়ের আওয়াজ, তক্ষকের ডাক আর মাথার ওপর তারাভরা আকাশ। এই জীবনে এর থেকে আর বেশি যেন পাওয়ার নেই।
বান্দরবান থেকে বাস যায় রুমা বাজার পর্যন্ত, এ ছাড়া চান্দের গাড়ি (ফোর–হুইল ড্রাইভ) ভাড়া করেও যাওয়া যাবে। দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার, সময় লাগবে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। রুমা বাজারের আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গ্যারিসনে প্রথম দফা নাম লিখিয়ে নিতে হবে। রুমা বাজারের আর্মি ক্যাম্পে আরেক দফা নাম লিখিয়ে অনুমতি নিতে হবে (কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজমের মাধ্যমে গেলে আগে থেকেই তারা অনুমতির প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়)। সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসাপোর্ট বা জন্মনিবন্ধন সনদ রাখতে হবে। রুমা বাজার থেকে বগা লেক ও কেওক্রাডং সড়কে তিন কিলোমিটার পর মুনলাই পাড়া। এটুকু পথে পাহাড়ে বেশ চড়াই–উতরাই রয়েছে। রুমা বাজার থেকে চান্দের গাড়ি ভাড়া করে ১৭ কিলোমিটার দূরের বগা লেক যাওয়া যায়, কেওক্রাডং গাড়ি যাবে না। তবে বাইক যায় রুমা বাজার থেকে।
তথ্য ও ছবি সংগ্রহিত- ভ্রমণের ইচ্ছা থেকে
লেখার তারিখঃ সেপ্টম্বর ২৩, ২০১৯
রেটিং করুনঃ ,