মহামারীকালটা এখন ষ্পষ্ট, করোনা সংক্রান্তের সংখ্যা এখন দৈনিক প্রায় ১০ হাজার আর মৃত্যু ১৬০ ছাড়িয়েছে, করোনা রোধে সরকার থেকে কঠোর লক-ডাউন শুরু হয়েছে ১লা জুলাই থেকে ১৪ দিনের জন্যে।
চলাচলে বাঁধা অনিশ্চয়তায় চলাফেরা, অফিসে যাওয়া আসা।
কর্ম-স্থল চালু আছে বলে এখনো মাথায় অর্থনৈতিক চিন্তাটা নেই তবে ভবিষৎ যে বড় ধরণের অনিশ্চতায় তা এক রকমের নিশ্চিত ধরে নেওয়া যায়। অর্থনৈতিক ভাবে অনেক মানুষই নানান অনিশ্চয়তায় সাথে জীবন ঝুঁকিতে আর কয়েক দিন পরে কে কোথায় দাঁড়াবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। প্রতি সময়ে এক অজানা আতংক কাজ করে যাচ্ছে সেই সাথে হ্রাস পাচ্ছে পুরাতন দিনে ফিরে যাওয়া ভরসা, যদিও উন্নত দেশ গুলি টিকা করণের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক জীবন ফিরে যাচ্ছে কাটিয়ে নিচ্ছে ক্ষতি। পাশের দেশ ভারতও ভয়াবহ সময় কাটিয়ে এখন প্রায় স্বাভাবিক অবস্থানের দিকে ফিরে যাচ্ছে যদিও অর্থনৈতিক ধকল কাটিয়ে নিতে অনেক সময়ের প্রয়োেজন।
এখন সময় যখন একটি মহামারীকালের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, সামনের দিনগুলিতে অনিশ্চয়তা তখন প্রয়োজন নিজ স্বাস্থ্য ভালো রেখে, অর্থনৈতিক চিন্তা ধারায় চলে সঞ্চয়ের সীমা বড় করা। খুব সহজে দেশের সব মানুষ তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে বলে আর মনে হয় না, ক্ষতির পরিমান অনেক।
ঘর-বন্দী মানুষের চলাচলে চিন্তা চেতনায় অনেক পরিবর্তন, ভেবে পাচ্ছে না কী ভাবে সামনের দিকে যাবে কোন ভাবে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বেকার আর দরিদ্র মানুষের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে। পরিবারগুলি নানান অশান্তিতে, সংকটে সাথে জন্ম নিচ্ছে নানান অনাঙ্খিত চিন্তা চেতনা।
আয়- উপার্জনে সংকট, ধণী দরিদ্রের বৈষম্য ক্রমশঃই বেড়ে চলেছে; কিছুদিন আগেও মানুষ যে বিলাসী জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়েছিল যেখানে এখন বড় ধরণের ভাটা আর এখান থেকে শুরু হচ্ছে নানান মুখি বহু মুখি সংকট।
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে শক্ত অবস্থানে রাখাটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের এর জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্য সতর্কতা সু-চিন্তিত ব্যয়, বাড়তি পরিশ্রম।
তারিখঃ জুলাই ০৬, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,