Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

মস্তিষ্কের শক্তি দিয়ে শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক

Share on Facebook

লেখক:প্রতীক বর্ধন।

মস্তিষ্কের শক্তি দিয়ে ত্রাস করেন শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক

ইলন মাস্কের আছে অনেক পরিচয়। তিনি মহাকাশ ভ্রমণ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী বা সিইও, বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা মোটরসের প্রধান নির্বাহী ও পণ্য প্রকৌশলী, সোলারসিটির চেয়ারম্যান, দ্য বোরিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, নিউরালিংকের সহপ্রতিষ্ঠাতা, ওপেনএআইয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান এবং পেপালের একজন সহপ্রতিষ্ঠাতা

জন্ম তাঁর দক্ষিণ আফ্রিকায়।

ইলন মাস্কের জন্ম ১৯৭১ সালের ২৮ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায়। বাল্যকালে ইলন উদ্ভাবনী ক্ষমতার এতই মোহে পড়ে যান যে চিকিৎসকেরা তাঁকে শ্রবণশক্তি পরীক্ষা করতে বলেন। যদিও প্রকৃত অর্থে তাঁর কোনো সমস্যাই ছিল না। ১৯৮৯ সাল। ইলনের বয়স তখন সবে ১৭ বছর। আফ্রিকায় এই বয়সী যুবকদের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হয়, সেই প্রশিক্ষণ থেকে বাঁচতে ইলন চলে গেলেন কানাডায়। তখন তাঁর মা কানাডায় থাকতেন। কানাডায় গিয়ে ইলন ভর্তি হলেন সেখানকার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছোটবেলা থেকেই ইলন বেশ বুদ্ধিমান। তিনি জানতেন, কানাডা থেকে সহজেই যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়, তাই আফ্রিকা ছেড়ে কানাডায় পাড়ি জমান। কুইন্সে বছর তিনেক পড়ে ইলন এবার গন্তব্য পাল্টান। পাশাপাশি পড়াশোনার ধরনও। এবার তিনি গেলেন পেনসিলভানিয়ায়। পদার্থবিজ্ঞানের মতো রসকষহীন বিষয় তখন তাঁর মাথায় বাসা বেঁধেছে। পেনসিলভানিয়া থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক পাস করে ইলন ওই শহর ছাড়েন। এবার গন্তব্য ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। মজার বিষয়, স্ট্যানফোর্ডে ইলন ছিলেন মাত্র দুই দিনের ছাত্র। পিএইচডি করতে গিয়েছিলেন শক্তিপদার্থবিদ্যা বিষয়ে, কিন্তু তা আর হলো না।

ইলনের পথচলা

ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, সব সফল ব্যক্তির চলার পথ ছিল বন্ধুর। তাঁদের শুরুর গল্পটা হয় সাধারণ। নানা প্রতিকূলতা আর ব্যর্থতার সব উপাখ্যানে ভরা থাকে সেসব গল্প। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, ইলন মাস্কের শুরুর পরিবেশ ছিল অনুকূলে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যাওয়ার তৃতীয় দিন ইলন মাস্ক তাঁর ভাইকে নিয়ে শুরু করলেন বর্ণাঢ্য জীবনের প্রথম ব্যবসা। খোলেন একটি কোম্পানি। তাতেই বাজিমাত। জিপ ২ করপোরেশন নামে ইলনের ওই কোম্পানি স্থানীয় শহর গাইডের (ট্যুর গাইড) সন্ধান দিত, পাশাপাশি তারা দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও শিকাগো ট্রিবিউন–এর অনলাইন পত্রিকার জন্য কনটেন্ট দেওয়া শুরু করল। কোম্পানির বয়স যখন মাত্র ৪ বছর, তখন কমপ্যাক কম্পিউটার করপোরেশন ইলনের কোম্পানিটাই কিনে ফেলল ৩০ কোটি ডলার নগদ আর ৩ কোটি ৪০ লাখ ডলারের স্টক শেয়ারের বিনিময়ে। এই চুক্তি বদলে দিল ইলন মাস্কের জীবন। ১৯৯৯ সালের প্রেক্ষাপটে এত পরিমাণ অর্থ ছিল ইলনের কাছে সত্যিই অভাবনীয়। এরপর তাঁকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের এখন ব্যক্তিগত কোনো বাড়ি নেই। শুধু তা–ই নয়, বন্ধুদের বাড়িতে ঘুরে ঘুরে তিনি রাত্রি যাপন করেন। আগে তাঁর কয়েকটি বাড়ি ছিল, কিন্তু ২০২০ সালে তিনি ঘোষণা দেন, নিজের বাড়ি আর রাখবেন না। এরপর সব বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি।

স্পেসএক্স ও স্বপ্নজয়ের যাত্রা

দুটি ব্যবসাসফল কোম্পানির পরপরই ‘মহাকাশ গবেষণা সংস্থায়’ বাণিজ্যিক স্পেসক্রাফট পাঠানোর ভাবনা থেকে জন্ম নিল ইলন মাস্কের তৃতীয় কোম্পানি ‘স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস করপোরেশন’ বা স্পেসএক্স। ২০০২ সালে গড়া এই প্রতিষ্ঠান এতটাই কর্মদক্ষতা আর যোগ্যতার প্রমাণ রাখে যে বছর ছয়েক পর খোদ নাসাই স্পেসএক্সের সঙ্গে এক লিখিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। যেখানে বলা হয়: ‘স্পেসএক্সের নির্মিত স্পেসক্রাফট মহাকাশ গবেষণা স্টেশনে কার্গো পরিবহন করবে।’

স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি স্বপ্নকে বাস্তবেও রূপ দিতে হয়, এমন কথা মনীষীরা বলেন। মাস্ক বাস্তবে তাই করেছেন। নাসার সঙ্গে চুক্তির চার বছর পর ২২ মে, ২০১২—ইলন মাস্ক ও তাঁর গড়া স্পেসএক্স যেন বিশ্বজয় করে ফেলল। স্পেসএক্স সেদিন সাফল্যের সঙ্গে তাদের নকশা করা ও বানানো ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে প্রায় ১ হাজার পাউন্ড সরঞ্জাম নিয়ে সাফল্যের সঙ্গে মহাকাশ স্টেশনে অবতরণ করে। রাতারাতি বিশ্বব্যাপী খবরের শিরোনাম বনে যান ইলন মাস্ক। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার এই কারিগর এখানেও সফল। এরপর রূপকথার গল্পের মতো সফলতা ধরা দিতে থাকে ইলন মাস্ককে।

টেসলা মোটরস, নাকি এক উপাখ্যান।

মানুষের চাহিদার শেষ নেই। অজানাকে জানার এবং জেনে তাকে সফলতায় রূপান্তরের নেশা মানুষের বহুদিনের। ইলন মাস্কও তার ব্যতিক্রম নন। পেপাল প্রতিষ্ঠার বছরখানেক পরই নতুন উদ্ভাবনী চিন্তায় আসক্ত হয়ে গেলেন ইলন মাস্ক। ২০০৩ সালে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির কোম্পানি খুলে বসলেন তিনি। তিনি নিজেই সেই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, পণ্য ডিজাইনার ও পাশাপাশি সিইও—কোম্পানির নাম দিলেন টেসলা মোটরস। টেসলা তখন ব্যাটারি ও সৌরশক্তি নিয়ে কাজ করত। তবে তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ করা। অবশেষে ২০০৮ সালে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিচালিত ‘রোডস্ট্যার’ নামের একটি স্পোর্টস কার বানিয়ে সবাইকে হকচকিয়ে দেয় টেসলা। গাড়িটি মাত্র ৩ দশমিক ৭ সেকেন্ডে ০-৬০ মাইল গতিবেগে চলতে পারত!

এরপর আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ পেল না ইলন মাস্কের এই কোম্পানি। রোডস্ট্যারের পর একে একে বাজারে নিয়ে এল মডেল এস, মডেল-৩, সেমিট্র্যাক ও বহুল কাঙ্ক্ষিত মডেল ওয়াই—এই মডেলের গাড়ি নিয়েই যত আলোচনা আর প্রশংসা।

মাস্কের উদ্ভাবনপ্রীতি: পেশা না নেশা?

টাইম ট্রাভেল রূপকথার গল্পে আর সিনেমার ফ্রেম নিয়ে সবাই যেখানে ব্যস্ত, ইলন মাস্ক যেন তা বাস্তবে দেখিয়ে দিতে চলেছেন! ২০১৩ সালে ‘হাইপারলুপ’ নামক এক কনসেপ্ট নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনার জন্ম দেন ইলন মাস্ক। প্লেন কিংবা ট্রেনের থেকেও নিরাপদ অথচ দ্রুততম পরিবহন মাধ্যম হিসেবে ‘হাইপারলুপ’ কনসেপ্টের জন্ম। কে জানে, অদূর ভবিষ্যতে হয়তো এটিও হতে চলেছে মাস্কের হাত ধরে। নিউরোলিংক-ইলন মাস্কের আরেক উদ্ভাবনী ক্ষমতার ফসল; এটি যুগান্তকারী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এ ছাড়া উচ্চগতির ট্রেন নিয়েও তাঁর আগ্রহের কমতি নেই। তাঁর এই উদ্ভাবনী নেশা দেখে সেই বিখ্যাত নজরুলগীতির কয়েকটি চরণ স্মরণ করা যায়: ‘খেলিছ এ বিশ্ব ল’য়ে বিরাট শিশু আনমনে।/ প্রলয় সৃষ্টি–তব পুতুল খেলা/ নিরজনে প্রভু নিরজনে।।/ শূন্যে মহা আকাশে/ তুমি মগ্ন লীলা–বিলাসে।’

রাজনীতি

কিছুই যখন বাদ যাচ্ছে না, তখন রাজনীতি-কূটনীতি বাদ যাবে কেন। এই খাতেও মাঠ গরম করেছেন ইলন মাস্ক। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘স্ট্র্যাটেজি ও পলিসি ফোরামের’ বিশেষ দূত হিসেবে স্থান পায় তার নাম। পরের বছর প্রেসিডেন্টের উৎপাদন খাতবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়, যদিও সে বছরই প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টার পদ থেকে সরে আসেন ইলন মাস্ক।

টুইটার কেনা

তবে ইলন মাস্ক সম্প্রতি সবচেয়ে বড় খবরের জন্ম দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কিনে নিয়ে। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের পুরো শেয়ার কিনতে তাঁর খরচ পড়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। শেয়ার কেনার জন্য পুরো অর্থই মাস্ক নগদে পরিশোধ করছেন। টুইটারের বর্তমান পরিচালনা পদ্ধতি মাস্কের পছন্দ নয়। এ নিয়ে তিনি একাধিকবার উষ্মা প্রকাশ করেছেন। চলছে চাপান-উত্তর। তাঁর মালিকানাধীন টুইটার রাজনৈতিক পরিবর্তনের অনুঘটক হয়ে উঠতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে টুইটার কেনা আপাতত স্থগিত করেছেন ইলন মাস্ক। ইলন জানান, ‘টুইটার ডিল’ সাময়িকভাবে মুলতবি রাখা হয়েছে। স্প্যাম ও জাল অ্যাকাউন্টের জন্য এই ব্যবস্থা।

তবে টুইটার মাস্কের মালিকানায় গেলে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও টুইটারে ফিরবেন, এমন জল্পনা-কল্পনা আছে। আর টুইটার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে সহায়তা করলেও আশ্চর্যের কিছু থাকবে না।

শীর্ষ ধনীর কাতারে

২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে বৃহত্তম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজোসকে হটিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হন টেসলা ও স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক। তখন মাস্কের সম্পদমূল্য ছিল ১৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। ২০২০ সালে মাস্কের সম্পদ রীতিমতো ফুলেফেঁপে ওঠে। ওই বছরের শুরুতে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। টেনেটুনে শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় ছিলেন তিনি। আর মাত্র ১২ মাসে সেই সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ১৬ হাজার কোটি ডলার। টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ির উচ্চ চাহিদা তাঁর এই সম্পদ বৃদ্ধির বড় কারণ। সেই সঙ্গে পুঁজিবাজারেও তরতর করে বেড়েছে টেসলার শেয়ারের দর। শনিবার এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও ইলন মাস্ক বিশ্বের শীর্ষ ধনী। তখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।

ব্যক্তিগত জীবন

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় মাস্কের সঙ্গে তাঁর প্রথম স্ত্রী কানাডীয় লেখক জাস্টিন উইলসনের পরিচয় হয়। ২০০০ সালে বিয়ে করেন তাঁরা এবং ২০০৮ সালে আলাদা হয়ে যান। এরপর ২০১০ সালে মাস্ক অভিনেত্রী তালুলাহ রিলেকে বিয়ে করেন। ২০১২ সালে সেই সম্পর্কেও বিচ্ছেদ ঘটে। তবে বিচ্ছেদের পরের বছর ২০১৩ সালে মাস্ক ও রিলে আবার বিয়ে করেন। কিন্তু দ্বিতীয় দফার সেই বিয়েও বেশিদিন টেকেনি। ২০১৮ সাল থেকে মাস্ক ও কানাডীয় সংগীতশিল্পী গ্রিমস প্রকাশের প্রেম প্রকাশ্যে আসে। ২০২০ সালের মে মাসে তাঁদের পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। ছেলের নাম রাখেন ‘XA-12’। কিন্তু নামটি ক্যালিফোর্নিয়ার আইন অনুসারে অবৈধ বলে মনে করা হয়েছিল, কারণ এতে এমন অক্ষর রয়েছে, যা আধুনিক ইংরেজি বর্ণমালায় নেই।

বর্ণিল চরিত্রের মানুষ ইলন মাস্ক অভিনয়ও করেছেন। আয়রন ম্যান ২ (২০১০), হোয়াই হিম? (২০১৬), মেন ইন ব্ল্যাক: ইন্টারন্যাশনাল (২০১৯) চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেন। এ ছাড়া যেসব টেলিভিশন সিরিজে তিনি অভিনয় করেছেন, সেগুলো হলো সিম্পসনস (২০১৫), দ্য বিগ ব্যাং থিওরি (২০১৫), সাউথ পার্ক (২০১৬) ও রিক অ্যান্ড মর্টি (২০১৯)।

****সূত্র: ইকোনমিক টাইমস, বিবিসি, সিএনবিসি।

সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: মে ১৬, ২০২২

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

,

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪,সোমবার

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ