বেশ কয়েক দিনের বিরতীর পরে আজ মল্লিকার সাথে দেখা অফিস ছুটির সময় লিফটের নিচে জানতে চাইলো কেমন আছি আমি ! যেটি সৌজন্য বাক্য বিনিময়। আর কথা না বলে দ্রুত হেঁটে বাসায় ফিরার জন্য গাড়ি ধরার চেষ্টায় ছিল, অনেক পরিচিতের মাঝে আর কথা মানায় না এটি আমি যেমন জানি মল্লিকাও। কালো রঙের কোর্ট ডেনিম প্যান্ট, পায়ে কালো সুয়ে ঢৈউ খেলানো খোলা চুলে বেশি লম্বা মনে হচ্ছিল না, শরীর ভারী সহজ কথায় যেটাকে বাল্কি বলে।
নতুন বর্ষের প্রথম সপ্তাহে তাপসের সাথে নেট যোগাযোগ বেশ ভালো ছিল প্রায় দিনেই অনেক রাত পর্যন্ত; মল্লিকা ও তাপস আর অন্য কারো সাথে কথা বলে মনে হয় না, যোগাযোগটা তাদের মধ্যে সীমিত। নেট যোগাযোগ কি ধরনের বার্তা বিনিময় হয় তা বুঝা মুশকিল, মল্লিকা তার মেয়েকে পাশে বা সাথে রেখে কি কথা হয় অনেক রাত পর্যন্ত সেটাই বুঝা খুব মুশকিল তবে বুঝায় যায় কথার মধ্যে যৌনতার ছোঁয়া থাকা স্বাভাবিক, আর কথা বার্তার মধ্যে যৌনতার প্রভাব থাকলে আলাপ-চারিতা দীর্ঘ হয়, যে কোন কথা নিঃসংকোচে বলা যায়। আর এক বার যদি যৌন সম্পর্কের সূচনা হয় তখন আলাপ-চারিতা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতরও হলেও সহজে তা থামতে চায় না। কয়েক মাসের ব্যবধানে যৌন সম্পর্ক বজায় থাকলে আলাপ চারিতার তীব্রতা আরও বেড়ে যায় ভবিষৎ যৌন সম্পর্কের আকাংখায়।
মল্লিকার কোন সম্পর্ক মেটানোর প্রয়োজন হলে তা যে শুধু মাত্র তাপসের মাধ্যমে সম্ভব মল্লিকা বিষয়টি খুব ভালো করে জানে তাই সে সব সময় তাপসকে নেট যোগাযোগের মধ্যে নজরে রাখতে চায় এবং রাখে।
মেয়েদের পয়ত্রীসের পরে যৌন আকাংখা তীব্র আকার ধারণ করে যদি যে বিশ থেকে তেইসের মধ্যে বৈধ বা অবৈধ্য ভাবে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ পায়। কয়েক বছর আগে মল্লিকা পয়ত্রীশ বছর পার করেছে স্বামী সম্পর্ক ভেঙ্গেছে এক যুগ আগে। নিজ পায়ে দাড়ানোর সংগ্রামে কেটেছে অনেক বছর সাথে মেয়েকে বড় করার প্রত্যয়ে।
বর্তমান চাকুরীটি বাস্তব ক্ষেত্রে টলমলে হলেও একটা দৃঢ়তার সাথে চালিয়ে যাচ্ছে সাথে প্রতি মাসে বেতনটা উত্তলন করে নিচ্ছে, এটি বুঝা যায় চাকুরীটা তার খুব প্রয়োজন আর বেতনের মানও বেশ ভালো। খুব সকালে আফিসে আসার প্রস্তুতি আর প্রায় দিনে রাত করে বাসায় ফিরা একজন নারীর জন্য খুব সহজ বিষয় নয়। যদিও তার সংসারের কিছুই তাকে করতে হয় না, টাকার বিনিময়ে তার রান্না বাজার ঘাটের ব্যবস্থা হয়ে থাকে। মল্লিকা তার ছোট বোনের সংসারে সাথে এক সাথে থাকে তার মেয়ে তার বোনের তত্বাবধানে স্কুলে যাওয়া আসা করে আর বাসায় না ফিরা পর্যন্ত তার ছোট বোনেই দেখ-ভাল করে। তারপরও নিজের কতকগুলি কাজ থাকে যা তাকে নিজেই করতে হয় বিশেষ করে মেয়ের কিছু দাবী দাওয়া সে নিজেই মিটিয়ে দেয়।
মল্লিকার সাথে আলাপ চারিতায় একদিন সে বলছিল সাজ-গোজ ও পোষাকের প্রতি তার খুব ঝোঁক সেই বিবেচনায় সে ফ্যাশান ডিজাইনের উপর দক্ষ হতে চেয়েছে।
পাঁচ দিন পরে মল্লিকার সাথে দেখা ও সৌজন্য কথা হওয়ার পরে আগাছা পড়া রাস্তার মাঝ থেকে আগাছাগুলি পরিষ্কার হলে একটি মুক্ত পথের সন্ধান করে দিল।
তারিখঃ জানুয়ারী ০৫, ২০২০ (শ)
রেটিং করুনঃ ,