মল্লিকার সাজ গোজের খুব সখ বেশ কয়েক বছর আগের একটি ভারি অলংঙ্কারে কচি কলা পাতা রঙের শাড়ীতে সব সৌন্দর্য ঢেলে এনে এমন এক ছবিতে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছে তার তুলনা আনা খুব ভার, পৃথিবীতে একজনই মল্লিকা। এমন একটি ছবি লোগো আপ লোড করেছে আজকালকার উন্নত যোগাযোগ মাধ্যমে।সাজ গোজের প্রতি খুব যত্নশীল আর তা আপ লোড করেছে বেশ রাতে বা খুব সকালে। নিঁখুত ভাবে যেন সৃষ্টি-কর্তা তৈরী করে দিয়েছেন মল্লিকা ছবিটা তেমন কথাই বলে। আজ মনে হলো কেন বার বার মল্লিকা বলেছি অপলকা, যেখানে চোখের কোন পলক নেই আছে স্থির চোখ যেন বহু যুগ কাটিয়ে দেওয়া।
এতোদিনের বর্ণনায় মল্লিকা যে সৌন্দর্যের ভান্ডার ছিল, জগতের সকল সৌন্দর্যকে ধারণ করে রাখার একটি ছবিই তার বড় প্রমান। আজকার আপলোড করা ছবিটা চিরদিনের হয়ে থাক, সেখানে না আসে যেন বয়সের ছাপ কোন ম্লানতা। চির সজীবতা আর প্রফুল্লতার সমাহার। যে ছবি মনে আনে শান্তি, মুছে দেয়ে সকল দহন, জ্বালা, ক্ষোভ প্রমান করে এটাই মল্লিকা। এই মল্লিকাকে মল্লিকা হিসাবে মানায়, সাজায়।
ফোনে মল্লিকা খুঁজলাম দুবার, বিকালের দিকে সংযোগ পেলাম, টুকটাক কথা হলো যে জিনিসটা চেয়েছিল তা হাতে আছে যেকোন সময় দিতে পারি জানালাম, খুব কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল। সেই সাথে বলল যেটি চেয়েছি সেটি বড় কথা নয়, বড় হচ্ছে মন মানসিকতা।
মল্লিকা ও তার মেয়ে নিয়ে বসবাস একজন সঙ্গির খুব প্রয়োজন, নানান কারণে, নানান চাহিদায়। অনেক রকম সাহায্যে কোন সরকারী কাজে, ব্যাংকের কাজে, টিকিট কাটার প্রয়োজনে, ভ্রমণে, চিকিৎসায় একজন পুরুষ সঙ্গীর খুব প্রয়োজন মল্লিকা। প্রয়োজনে তা জুটেও গেছে গদ দেড় বছর আগে এই নিয়ে নানান কথা! নানান রটনা। সেই সঙ্গীকে নিয়ে ভ্রমণ একসাথে বাস! অনেক ধাক্কা সামলিয়ে, এখন সামলিয়ে উঠেছে কিন্তু পুরোপুরি বিপদ মুক্ত নয় সে। ক্ষতিও হয়েছে বেশ কিন্তু তার সাহস, দৃঢ়তার কারণে এখনও সামলিয়ে চলেছে, সাহস নিয়ে।
মল্লিকার সঙ্গির খুব প্রয়োজন একটি খুব স্বাভাবিক, অনেকে তা মেনে নিতে পারে নি, বিষয়টিকে স্বাভাবিক ভাবে দেখা আমার কাজ। তার জীবন ধারা অনেকে কাছে রহস্য জনক হলেও আমার কাছে স্বাভাবিক মনে হয় বলে ইদানিং যোগাযোগটা নিয়মিত হচ্ছে, যোগাযোগটি আর শক্ত ও বিশ্বাস ভাজন করতে একের পর এক গিফট দেওয়ার কথা ভাবছি।
লাভ ক্ষতি যাই হোক না কেন মল্লিকা যে লেখার প্রধান উপলক্ষ তা অস্বীকার করার কোন ফাঁক ফোঁকর নেই, নেই উপায়। প্রায় পৌনে দুই বছর ধরে মল্লিকা লেখার একটি ঝর্ণা ধারার মত অবিরাম লেখা হয়ে বেরিয়ে আসছে। প্রিয় সব শব্দে, বাক্যে লাইনের পর লাইনে।
তারিখঃ ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯ (শ)
রেটিং করুনঃ ,