মল্লিকাকে মাঝে ছোট ধরণের উপহার দেওয়ার একটি লক্ষ্য তার সাথে যোগাযোগ, তার জীবন ধারার সাথে কিছুটা পরিচয় থাকা, উপহার দিয়ে কিছুটা কৃতজ্ঞতা বাকি রাখা, একটি স্থান তৈরী না হলে যে কাউকে হঠাৎ করে উপহার দেওয়া যায় না আর উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রটি যখন তৈরী হয়েছে তখন তা কাজে লাগানোই উচিত। যেখানে মল্লিকার বেলায় কোন লাভ-লোকসান কাজ করে না।
আজও কিছু উপহার দিলাম পরে হয় তো ভালো লাগা মন্দ লাগার কথা জানাবে, উপহার নিতে ইতিবাচক ছিল প্রথম দিকে কিন্তু উপহার হাতে দিতেই মল্লিকা খুব অনঢ় ছিল একটি টানটান কোন একটি উৎকন্ঠ নিয়ে খুব চিন্তিত ছিল। বারবার বলল পরে জানাবে উপহারের বিষয়ে।তেমন একটা আগ্রহ দেখলাম না আমার প্রতি! যেন আমার প্রযোজনে উপহার দেওয়া, যদিও তার ডেক্সে নিজে গিয়ে উপহার দিয়ে আসার মধ্যে অনেক ঝুঁকি থাকে তবে তেমন কোন ঝুঁকির মুখোমুখির সম্মুখিন হয় নি, মল্লিকাকে সবাই বিশেষ দৃষ্টিতে দেখে কারণটা তার সঙ্গির সাথে যে সম্পর্ক বিদ্ধামান।
মল্লিকাকে আমার একান্তে প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন শুধু লেখার প্রয়োজন, ক্রমাগত লেখার জন্য একটি চরিত্র প্রয়োজন আর সেই চরিত্রই হচ্ছে মল্লিকা। সব সময়ই প্রত্যাশা লেখার এই ধারাবাহিকতাটা যেন বজায় থাকে, মল্লিকাকে কেন্দ্র করে যত অনুভূতির প্রকাশ, আবেগের প্রকাশ অবিরাম হৃদয়ের কথা লিখে যাওয়া যা সাহিত্যের একটি পথ দেখায়।
উন্নত যোগাযোগ মাধ্যমে যে মল্লিকা প্রায় সব সময় ব্যস্ত থাকতো তার সঙ্গীর সাথে তা হঠাৎ (ডিসেম্বর ২৭) বিকাল থেকে সেই উন্নত যোগাযোগ মাধ্যমে তার উনুপস্থিতি! একই ভাবে তার সঙ্গীর উন্নত যোগাযোগ মাধ্যমও। অনুমান হচ্ছে মল্লিকা ও তার সঙ্গী এক সাথে ভ্রমণে আছে ও একসাথে বসবাস। উন্নত যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরের সাথে আর যোগাযোগের প্রয়োজন নেই, তাই উপস্থিতি বন্দ। প্রথমটায় মনে হয়েছে তারা দেশের বাইরে, নেটের বাইরে।
মল্লিকার সেল ফোন সচল আছে তাই অনুমান করা যায় সে ও তার সঙ্গী দেশে কোথাও একত্রে সময়কে উপভোগ করে নিচ্ছে, এটি এখনকার সমাজ ব্যবস্থায় খুব স্বাভাবিক। অথবা এমনও হতে পারে মল্লিকা হঠাৎ করেই অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে কিন্তু এমনটি হওয়ার কথা নয়। কিছু দিন আগেও যে মল্লিকা উন্নত যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক রাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকতো তার সঙ্গীর সাথে যোগাযোগে যেখানে যোগাযোগ বন্দ থাকার কথা নয়। একটি রহস্য কাজ করে যাচ্ছে আজ সাপ্তহিক বন্দ থাকার কারণে কোন কিছুই ষ্পষ্ট হচ্ছে না আগামীকাল কর্ম দিবসে কিছু রহস্য উম্মচন হতে পারে যদিও মল্লিকা আভাস দিয়েছিল দুই ছুটিতে থাকার।
মল্লিকা খুব দৃঢ়চেতা, আত্ম-বিশ্বাস খুব প্রবল, মনে যথেষ্ট সাহস, পরিস্থিতি মোকাবেলায়ও কৌশলী তার পরও তার সংসারে, কর্ম স্থলে ও সামাজিকতায় সব সূচকই নিন্ম-মুখি অথচ সে তার আত্ম-প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলেছে। তার চলাচলের ধারাটি তার কাছে সঠিক বলেই মনে হচ্ছে সামনে তার জয় ও উন্নতি এই আশায় ভর করে এগিয়ে চলেছে মল্লিকা। সে নিজেও বুঝে আরও দশ জন মেয়ের মত তার সংসার জীবন নয়। নিজের জীবন, মেয়ের জীবন ভবিষৎ এই সব মল্লিকাকে সব সময় বিচলিত করে সেই ক্ষেত্র বর্তমানে তার যে সঙ্গী সে অন্য গ্রোত্রের হলেও তার ভরসা করে তার এগিয়ে চলা, তাকে তার একান্ত ভাবে পাওয়া ও তাকে নিয়ে সময় উপভোগ করার প্রবল বাসনা। মানুষের জীবনে এই বাসনাকে কোন ভাবে দমিয়ে রাখা যায় না যেখানে বারবার বাধার কারণ হয়ে দাঁড়ায় জাত, গোত্র সমাজ সংসার এই সবের সব বাঁধা ভেঙ্গে বা ডিঙ্গিয়ে মল্লিকা চলতে চায়। তার উপযোগি ভাবে সাজিয়ে নিয়েছে তার জীবন ধারা, কিন্তু বাস্তবতা পরিবার, সমাজ সংসার কতটা তাকে সাহায্য করবে তা জানার একটি বড় বিষয়।
মল্লিকা আমার লেখার খোরাক যোগান দিচ্ছে এটাই বড় কথা, ক্রমাগত ভাবে আরও লিখে যেতে পারি উন্নত লাইন পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা এটাই আমার চাওয়া।
তারিখঃ ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯ (শ)
রেটিং করুনঃ ,