মল্লিকা এখন একটি ঝুঁকির জীবন যাত্রায় নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সমাপ্তি তার জানা নাই, খুব সরল রেখা মত যদি তার জীবন ধারা হতো তবে মল্লিকার প্রতি আমার আগ্রহ থাকতো না। জীবনের পথ ধরে কিছু দায়িত্ব সমাপ্ত করে জীবনকে সরল রেখা দিয়ে উপভোগ করে জীবনের সমাপ্তি টানা সেখানে থাকতো না কোন ধাক্কা, অনিশ্চিত পথ। মল্লিকা জীবনে নিশ্চিত পথের পথিক হতে পারে নি। যখন কঠোর হওয়ার প্রয়োজন তখন কঠোর, যখন সরল হওয়ার প্রয়োজন তখন সে সরল, এই ভাবে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার এক অসাধারণ ক্ষমতা তার সকল সময়ই। জীবনের বাস্তবতা, রুক্ষতা, জটিল সময়, কঠিন সময় পার করে করে তার রক্ত বিন্দুতে বিন্দুতে সাহসিকতার কণিকা।
বছরের পাওনা থাকা ছুটি কাটাতে সে খুব স্বাভাবিক জীবন ধারায় নাকি, সঙ্গীর প্রবল টানে অস্বাভাবিক জীবন ধারায় একটি এখন নিশ্চিত না।অস্বাভাবিক জীবন ধারায় তার সময় কাটানো অনেকের কাছে স্বাভাবিক বছর দেড় আগের ঘটনা রটনা অনেকেরই জানা।
দিনে দিনে মল্লিকা কারও সাথে মানিয়ে চলতে পারছে না, নিজের সিদ্ধান্তকে তার কাছে বড় মনে হয়েছে এখানে অফিস পলিটিক্সের প্রবাহে দিনে দিনে সে পিছিয়ে পড়লেও তার আত্ম-বিশ্বাসে অনঢ়। একদিন তার কর্ম-দক্ষতা প্রমানে দিতে পারবে এটি তার দৃঢ় বিশ্বাস। দিনে দিনে সে একা হয়ে যাচ্ছে। অফিসে তার অফিস ডেক্সটাই একমাত্র ঠিকানা কোন কাজ ছাড়াই একটানা দশ ঘন্টা বসে বসে কাটিয়ে দেওয়া। অন্য কেউ না বুঝলেও সে বুঝে এটি কি ভয়ানক নির্যাতন! অথচ কারো অধিনত্বে না থাকার কারণে তার একা হয়ে যাওয়া অফিসে তার এক ঘরা জীবন যাপন।জীবনের প্রয়োজনে, কাজে প্রয়োজনে অনেকের সাথে মানিয়ে নিয়ে কর্ম-ব্যস্ততার মধ্যে থেকে চাকুরী জীবনে একটি উন্নত ও সন্মানিত পথ ধরে চলতে পারতো, এই খানে সে কৌশলী হতে পারে নি।
নিজে থেকে একবার বলল আর কারো সাথে কাজ করার ইচ্ছা নেই, একা একা কাজ করতে চাই কারো অধিনে থেকে নয়। চেষ্টা করে যাচ্ছে অনেক আশা আছে। তবে ষ্পষ্ট করে বলে নি কবে তার কাজ আসবে।
জীবনের পথে এক দৃঢ়তা নিয়ে চলা, মাথা উঁচু করে থাকা গুছিয়ে কথা বলা এক ধরণের কঠোরতা, সরলতা বেশ আকৃষ্ট করেছে এই সব বৈশিষ্টের কারণে তাকে অনুশরণ করার একটি ইচ্ছা সব সময়ই থেকেছে।
অফিসের কঠিন পর্যবেক্ষন ধারার মধ্যে আর কতদিন চাকুরীতে থাকতে পারবে তা বলা খুব মুশকিল, তার শত্রুর সংখ্যাও বাড়ছে, দিনে দিনে বাড়ছে তার উপর নজরদারীর মাত্রাও। হয়তো সব পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জ্ঞান অভিজ্ঞতা তার সবই আছে, তার চাকুরীটা খুব প্রয়োজন আপাততঃ মেয়েকে বড় করাটা জরুরী আর যতদিন তার বিদেশে যাওয়া না হয়! খুব যত্নশীল হয়ে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসে আসার বিষয়ে বেশ সচেতন।
তারিখঃ ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯ (শ)
রেটিং করুনঃ ,