আগে থেকেই ভাবনায় ছিল দেশে ফিরে মল্লিকার মেয়েকে চকলেট দিতে চাইব, তাই ফোনে সন্মতি চাওয়া – আপনার মেয়েকে কিছু চকলেট দিতে চাই। মল্লিকা বুঝেছে কেন চকলেট দিতে চাই; তার উত্তর খুব সাবলিল আমার মেয়েকে চকলেট দিবেন সমস্যা কোথায়, আমার মেয়ে তো আপনারও মেয়ে। কবে দেশে ফিরলাম, কেমন কেটেছে এইসব জানতে চাইলো।
সুন্দর একটি প্যাকেটে করে বিশ্বস্ত একজনকে দিয়ে চকলেট পাঠালাম। পরে আর জানতে আর চাই নি মল্লিকার প্রতিক্রিয়া, নিস্বার্থ দান, যেখানে কোন প্রাপ্তি নেই।
তিন দিন পরে ফোন করে জানালো চকলেট পেয়ে মেয়ে খুব খুশি সে নিজেও খেয়েছে, তার বর্তমান কাজের খবর জানতে চাইলাম খুব সাবলিল উত্তর নতুন কাজ হাতে নিয়েছে, তবে একাই কাজ করতে চায় নতুন শাখায়। পুরাতনদের সাথে কাজ করতে অনেক সমস্যা, সবাই ঝামেলা করে, নানান বদ কৌশল সকলের মধ্যে। তবে সে একজন ব্যবস্থাপকের অধিনে কাজ করছে তা জানালো। পরে তার জন্য শীতের পোষাক চাইল তার মাপ মত। দিতে সন্মত হলাম বললাম একটু সময় লাগবে বললাম, তার জন্য পোষাক সংগ্রহে বেশ ঝুঁকি আছে । আবার কিছু পরেই পোষাক রেডি করে দিতে চাইলাম তবে নিজেকেই দিতে হবে তেমন কাউকে পেলাম না।
কথা হলো সিঁড়িতে মল্লিকা আসবে তখন তাকে দিব, সেই কথা মত তার পোষাক দিয়ে দিলাম। সামনা সামনি অনেক দিন পরে দেখা হলো কথা হলো অনেকের অগচরে, নিজের পড়নের পোষাক দেখালো যেমনটা তার চাই। বারবার বললাম আর বলতে হবে না আমি নিজেই দিয়ে দিবো।
পরে আবার ফোন করে বলল যেগুলি দিয়েছি কিছুটা আপত্তি আছে, পরে আরও সময় করে নিঁখুত পোষাক তার চাই।
আবার অনেকদিন পরে মল্লিকার সাথে ভালো একটা যোগাযোগের সুযোগ কিছুটা সাহস ও আপনা আপনি হয়ে গেল সেই সাথে তার বিশ্বস্ততার একজন গেলাম বলেই ধারণা যোগাযোগটা বেশ সাবলিল ভাবে থাকবে বলেই আশা। তবে তার আলাদা জগৎ আছে সেখানে টানাপোড়নের কারণ না হওয়াই ভালো।
মল্লিকার একা একা চলার মনোবল প্রথম থেকে মুগ্ধ করেছে, আমাকে করেছে অনুপ্রাণিত, সেই সাথে তার সাহস।
তারিখঃ ডিসেম্বর ২০, ২০১৯(শ)
রেটিং করুনঃ ,