মল্লিকার সাথে তাপসের সম্পর্কটা আরও বেশ সময় জুড়ে পাকা পোক্ত থাকার কথা, এই ক্ষেত্রে সম্পর্ক পাকাপোক্ত থাকার কারণ কোন বাঁধা না মানা, গ্রোত্রের কথা বিবেচনায় না আনা নিজ সন্তানের কথাও, একটাই লক্ষ্য একত্রে বসবাস তার পর যেদিন সব বাসি ফুলের মত হবে তখন সম্পর্ক বিচ্ছেদের কারণ দেখা দিতে পারে এর আগে আর নয়।
জীবনের এই সময়টিতে লোক লজ্জা, সামাজিকতা সবই ধীরে ধীরে ফুরিয়ে যায়, তাদেও গিয়েছে, সময়টা এখন এমন যে কাউকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই লক্ষ্য একটাই একত্রে বসবাস এক নাগাড়ে মাঝে মাঝে বসবাস যা কেবল শরীরে আরও আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সেই আগুন নিভানোর চেষ্টা ঘন ঘন ফোনে কথা বলে, প্রযুক্তির বদৌলতে নিজেদের ছবি দেখে দেখে।
আজ দেখলাম অফিসের সিঁড়িতে তারা খানিক সময়ের জন্য দেখা করেছে কেউ না দেখলেও তা আমার চোখে ধরা পড়েছে, তাঁদের মধ্যে দেওয়ার হওয়ার বাসানাকে তাদের পক্ষ্যে দমিয়ে রাখা বেশ কঠিন। কিছু পরেই বেলকনিতে দাঁড়িয়ে কারও সঙ্গে মল্লিকা কথা বলছিল, জায়গাটাতে অনেকে ব্যক্তিগত কথায় বলে থাকে। আর মল্লিকা প্রায়ই সেখানে গিয়ে কথা বলে।
অফিসে এখন মল্লিকার কোন কাজ নেই, সারা দিন টেবিলে বসে থাকা মাঝে মাঝে ইন্টারনেটে ভিজিট আর মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকা। অনেক দিন ধরে কাজ না করতে করতে কাজের অনেক ধরনেই তার জানা নেই, পিছিয়ে পড়েছে নিজের অজান্তে।
অনেক একা হয়ে পড়ার কারণে মল্লিকা সব সময় সঙ্গ খুঁজে তার পরিবারের চোখ নজর এড়িয়ে, তাই সে আর তাপসকে ছাড়া অন্য কারো কথা ভাবতে পারে না। রাত বারোটার পরে তাপসের সাথে কথা বলে বার্তা বিনিময় করে ঘুমিয়ে যাওয়া, আবার সকাল ছয়টায় ঘুম থেকে উঠে তাপস কোন বার্তা দিয়েছে কিনা তা যাচাই করে নেওয়া।
বড় একটা একঘুমিয়ার জীবন এখন মল্লিকার যদিও যে চাই এক বৈচিত্রময় জীবন, তাই তাপসকে জীবনের সাথে অনেক পরিমানে জড়িয়ে নেওয়া। তাদের এই জীবন ধারাটা একটি বৈধ জীবন ধারা নয় আর এর কোন খানে সমাপ্তি সেটিও তাদের জানা নেই লাভ-লোকসানের কথা বিবেচনা না করে দিনের পর দির পার করিয়ে দেওয়া।
তারিখঃ জানুয়ারী ০৭, ২০২০ (শ)
রেটিং করুনঃ ,