প্রতিদিন দেখার মল্লিকাকে দেখার অধিকার হারিয়েছি, এখানে ওখানে খুঁজে দেখার কৌতহলটাও হারিয়েছি। এখন আর কোন কিছুর জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় না। জীবনের স্বাভাবিক ধারায় মেনে নিতে হচ্ছে না দেখার কৌতহলকটাকে। না দেখার সত্যটাকে একদিন মানিয়ে নিব বা মেনে নিতে হবে এটিতে বিশ্বাস আছে।
এক কথায় মল্লিকাকে ভুলে যাওয়ার প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছে, চোখের আড়াল হলে মনের আড়াল হয় আর সেই সূত্র ধরে একদিন ভূলে যাওয়া। না দেখাটা ভুলে যাওয়ার বড় হাতিয়ার। এই হাতিয়ারের ক্ষমতা থেকে খুব মানুষই মুক্ত থাকতে পারে অন্যদিকে অনুভূতির শক্তিও অনেক প্রবল ও প্রখর আর সে কারণে প্রিয় মানুষকে ভালোলাগার, বা ভালোবাসার মানুষকে দেখা হওয়া মধ্যে বা না হওয়ার মধ্যে কোন পার্থক থাকে না; তাদের যোগাযোগ থাকে অন্তরে, আত্মায়।
মল্লিকাকে যে আর কখনই দেখা হবে না তা কোন সমিকরণে আনা যায় না বা যাবে না, ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় কথাটি সত্য হলো। একটি বিভাগীয় কাজে মল্লিকা হঠাৎ আগের অফিসে তবে অকসাৎ ভাবে নয়, মল্লিকা আসবে সেটি জানা ছিল। আজ তার সেই কর্ম-স্থলের কাছাকাছি জায়গাটায় বেশ কিছু সময় কাটালো, দূর থেকে দেখা সেই শান্ত, গম্ভীরের ভূমিকায়।
কাজ শেষে গাড়ির অপেক্ষায় থাকার সময় আবারও দূর থেকে দেখা কিন্তু কোন কথা হয় নি। আজ আপাততঃ বিদায় মল্লিকা, আবারও কোন দিন দেখার আশায়, আবারও কোন দিন দেখার আশায়।
তারিখঃ ডিসেম্বর ০২, ২০২০
যাকে নিয়ে মহা উৎসবের আয়োজন ছিল সারা দিন মান অথচ চার বছরের মাথায় সবই আজ শুণ্য হিসাবে, নেই মাথা নেই খাতায় অথবা কোন অবসরে। চোখের আড়ালে সবই আড়াল হয়ে যায় – এটাই বাস্তবতা।
সবাই মেনে নেয় . মেনে নেওয়া হয়েছে খুব সহজেই।।
তারিখঃ ডিসেম্বর ০২, ২০২৪
রেটিং করুনঃ ,