প্রায় অনেক মানুষের খুব গভীর গোপন মনে যার সদর দরজার নিশানা নিজেরই জানা থাকেন না, সেখানে অজান্তে চির কালের জন্য হোক, খন্ড কালিন সময়ের জন্য হোক, ক্ষণ কালের জন্য হোক এক এক সময় এক জনই বা একের অধিক মানুষ বাস করে। একটি অপেক্ষায় থাকার পরে দীর্ঘ বুঝা পড়ার পড়ে বা অচমকা মনের মধ্যে একটি সংকেত দিয়ে বা বিনা সংকেতে একবার বা একাধিক বার মৃদু বা প্রচন্ড বেগে ঘন্টা বাজিয়ে দেয়।
তখন নিজের জানা হয়ে যায় গভীর গোপন মনের সদর দরজায় সেই অতীথি এসেছেন আর তখন থেকে চলে অতীথিকে আপন ও একান্ত করার এক প্রবল বাসনা। সেই বাসনায় ভর করে সে ধীরে ধীরে সারা মন জয় করে ফেলে বাকি রাখে কোন অংশই । কিন্তু কে সে ! কেন তার আগমন গভীর গোপন মনের সদর দরজা পেরিয়ে একেবার মূল ঘরে। জানা হয় না তার আগমনের উদ্দেশ্য কত দিনেই বা থাকবে মন জয় করে কবেই বা বিদায় নিবে নাকি মনের রাজ্য দখলে রাখবে জীবনের পুরোটা সময়।
গভীর গোপন মনে যে বসবাসের জায়গা করে নেয় সে মূলতঃ অনিয়মের পথ ধরে আসে , মনে চলাচলা করে, হিসাব নিকাশের কোন নিয়ম না মেনে।
মনের মধ্যে এই সব গোপন চলাচলের কথা অস্বীকার করা গেলেও আসলে অস্বীকার করা যায় না, দায় বদ্ধ হয়ে থাকতেই হয় নিজের কাছে, কারও প্রকাশ করার ক্ষমতা থাকে কারও ক্ষমতা থাকে না। মন একটি স্বাধীন রাজ্য, শাসন ভার নিজের হাতে সেখানে গোপন চলাচলের হিসাব-নিকাশ নেওয়ার নিজে ছাড়া আর অন্য কারও থাকে না।
নিজেকে শক্তিমান করতে, নিজের অর্থ নিজের কাছে ফুটিয়ে তুলতে, নিজেকে সুখময় শান্তুময় হিসাবে গড়ে তুলতে মনের মধ্যে গোপন চলাচলের প্রয়োজন পড়ে। বিচিত্র মনের বিচিত্র রূপ খুবই স্বাভাবিক।
তারিখ: মে ২৮, ২০১৮ (শ)
রেটিং করুনঃ ,