যার বিত্ত ছিল না, তার একদিন বিত্ত হবে না এমন নিশ্চিত করে বলা যায় না, নিঃশ্ব বা প্রায় নিঃশ্ব দশা থেকে বিত্তবান অনেকে হয়ে যান। বিত্তবান হলে বিভিন্ন জন ও প্রতিষ্ঠানকে দান করার একটি প্রশ্ন দাড়ায় কিন্তু মনে চিন্তায় বিত্ত না থাকলে যতই সে দান করার প্রত্যয়ে দান করার কথা যতই ভাবুক না কেন মন থেকে দারিদ্রতা দূর করতে পারে না অবশেষে আর তার দানবীর হয়ে উঠতে পারে না। ইতিমধ্যে যতটুকু দান করা হয়ে গেছে মনের দারিদ্রতার কারণে তার দানটুকু বিফলেই যায় না বরং বিদ্রুপতার সৃষ্টি করে।
দান করার মন নিয়ে নিজেকে যে তৈরী করতে পারে না যতই সে দান করে যাক না কেন! সে দানে কোন অর্থ থাকে না। ধরা যাক একজন বহু অর্থ বিত্তের অধিকার হয়ে বহু অর্থ সম্পত্তি দান করার পরও শুধু মাত্র মনের দারিদ্রতার কারণে তার আর দানবীর হওয়া হলো না। একজন যিনি ভিক্ষা বৃত্তির মাধ্যমে জীবন যাপন করতেন কিন্তু একজন অসহায় শিশুকে বাঁচানোর জন্য যখন সর্ব স্তরের মানুষ সাহায্য প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছে তা দেখে সেই ভিক্ষুক তার অর্জিত ভিক্ষার ভান্ডার থেকে কিছু অর্থ শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য দান করে দিলেন এখানে এই ভিক্ষুক একজন বড় দানবীর।
মনের দারিদ্রতার কারণে মানুষ যতই দান করুক না কেন তার কোন দানই অর্থ বহ হয় না, তাই দান করার আগে সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন মনের দারিদ্রতা দূর করা অথবা তার সব কিছুই বিলিয়ে দেওয়ার পরেও তার দান হিসাবে স্বীকৃতি পায় না।
মনের দারিদ্রতাই দূর করাটাই বড় কথা, মন পরিষ্কার করার মধ্য দিয়ে দানের সূচনা হয়। দান করলেই সব দান রূপে প্রতিষ্ঠা পায় না।
তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০১৯
রেটিং করুনঃ ,