রসুন: গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন এক কোয়া রসুন খেলে এলডিএল বা ব্যাড কোলেস্টেরল ও টোটাল কোলেস্টেরল ৯ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রসুন রক্তচাপ কমাতেও সহায়ক। তবে রান্নায় রসুনের অনেক জৈব উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। তাই সুফল পেতে প্রতিদিন ১–২ কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়াই শ্রেয়।
আদা: আদা শরীরব্যথা কমাতে, বমি ভাব, অ্যাসিড রিফ্লাক্স, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা কমাতে এবং বিপাকে সাহায্য করে। প্রতিদিন আদার রস, আদা ও লেবু দিয়ে রং–চা খেলে গলাব্যথা ও সর্দি-কাশির উপশম হয়।
লবঙ্গ: গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা ও অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। লবঙ্গ চিবিয়ে রস খেলে, কিংবা আদা, দারুচিনি ও লবঙ্গ একসঙ্গে ফুটিয়ে চা পান করলে ঠান্ডাজনিত সমস্যা ও গলাব্যথা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
দারুচিনি: দারুচিনি ক্ষত ও ছত্রাকের সংক্রমণ সারাতে সাহায্য করে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। দারুচিনির গুঁড়া পানিতে গুলে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
এলাচি: এলাচি ফুসফুস ও কিডনির প্রদাহ, অ্যাজমা, দাঁত ও মাড়ির ব্যথা, ফোলা ভাব এবং গলাব্যথা কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হজমক্ষমতা বাড়াতেও এটি সাহায্য করে।
গোলমরিচ: গোলমরিচ খাবার পরিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম নিঃসরণে এবং ক্যালসিয়াম ও সেলেনিয়াম শোষণে সাহায্য করে। এ ছাড়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, প্রদাহজনিত সমস্যা, বিষণ্নতা ও শরীরের ব্যথা কমাতে এটি খুব উপকারী।
মধু: মধু হৃদ্রোগ, পেটের সমস্যা, ব্রংকাইটিস, অ্যাজমা, সর্দি-কাশি, ঠান্ডাজনিত সমস্যা উপশমে সাহায্য করে।
হারবাল টি: সবুজ চা, আদা চা, লেবু চা, ক্যামোমাইল চা, হিবিসকাস চা–সহ বিভিন্ন হারবাল বা ভেষজ চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সর্দি-জ্বর, কফ, ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করতে, ব্যথা উপশমে, বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে, ওজন কমাতে ও ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে এটি।
লেখক, পুষ্টি বিশেষজ্ঞ
ইবনে সিনা কনসালটেশন সেন্টার, বাড্ডা
সূত্র: প্রথম আলো
তারিখ: আগষ্ট ২৯, ২০২০
রেটিং করুনঃ ,