রাশিয়ায় দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে বুধবার দেশে ফিরেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ‘প্রিয় বন্ধু’ সিকে বিদায় জানাতে ক্রেমলিনের মূল ফটকে আসেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিদায়ের সময় পুতিনকে সি বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক ভূরাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে। আর এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁরাই।
সির এবারের মস্কো সফরজুড়ে আলোচনায় ছিল ইউক্রেন যুদ্ধ। বৈঠকে ইউক্রেন সংকট সমাধানে ‘দায়িত্বপূর্ণ সংলাপের’ কথা বলেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। এ ছাড়া নিজ নিজ দেশের পক্ষে পুতিন ও সি একটি চুক্তি সই করেছেন। সি বলেছেন, এ চুক্তি সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্কে ‘নতুন যুগের’ সূচনা করতে যাচ্ছে।
সির বিদায়ের সময় পুতিনের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে অনলাইন মাধ্যমে। তাতে পুতিনের উদ্দেশে সিকে বলতে শোনা যায়, ‘ঠিক এ সময়টাতে কিছু পরিবর্তন এসেছে। এমন পরিবর্তন আমরা ১০০ বছরেও দেখিনি। আর আমরা দুজনই সেই ব্যক্তি, যাঁরা এমন পরিবর্তনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
সির এমন কথার প্রতিক্রিয়ায় পুতিন বলেন, ‘আমি আপনার সঙ্গে একমত।’ এরপর সি করমর্দন করেন ও বলেন, ‘প্রিয় বন্ধু, নিজের যত্ন নেবেন।’ এ সময় পুতিন দুই হাত দিয়ে সির হাত ধরে বলেন, ‘আপনার যাত্রা নিরাপদ হোক।’ সির বিদায়ের মুহূর্তে দুই রাষ্ট্রনেতার এমন কথোপকথন হয়েছিল দুজন দোভাষীর সাহায্য নিয়ে।
এর আগে মঙ্গলবার মস্কোয় সি ও পুতিনের মধ্যে বৈঠক হয়। এতে ইউক্রেন যুদ্ধ, শান্তিপ্রক্রিয়া ও চীন-রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। সির সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে চীনের পক্ষ থেকে উপস্থাপিত ‘শান্তি প্রস্তাব’ ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ভিত্তি হতে পারে।
তবে ইউক্রেন সংকট নিরসনে সম্প্রতি উপস্থাপিত চীনের শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন। কিয়েভের পশ্চিমা মিত্ররাও এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর মস্কো সফর করলেন সি। এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর কিছুদিন আগেই সি ও পুতিন একসঙ্গে রাশিয়া এবং চীনের ‘বন্ধুত্বের সম্পর্কের কোনো সীমা নেই’ বলে ঘোষণা দেন।
সূত্র:প্রথম আলো।
তারিখ:মার্চ ২৩, ২০২৩
রেটিং করুনঃ ,