চলার পথে পথে নানান কথা – ৩
চলার পথে ব্লগের একজন লেখক হয়ে যদি কোথাও লিখি বা বলি ” ভিক্ষুক তার ভিক্ষার পাত্রের মধ্যে থেকে অনেকটাই সুখি ” তখন উদ্ধৃত বাক্যটির কোন বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে বলে মনে হয় না।
অন্যদিকে বিখ্যাত একজন লেখক যদি কোথায় লিখেন বা বলেন যে ” ভিক্ষুক তার ভিক্ষার পাত্রের মধ্যে থেকে অনেকটাই সুখি ” তখন এ কথাটি একটি বিখ্যাত লেখা হয়ে যায়।
একজন ভিক্ষুক বা প্রায় অনেক ভিক্ষুকই জানে না যে প্রতি দিন, প্রতি দিন সপ্তাহে, প্রতি মাসে তার ভিক্ষার প্রাত্রে ঠিক কতটুকু ভিক্ষা পড়বে ! এর পরে সে নিশ্চিত থাকে যে সৃষ্টি কর্তার এই পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তা সঠিক ভাবে তাকে দেখভাল করবে।যিনি বা যারা ভিক্ষা প্রদান করেন বা ভিক্ষা ব্যবস্থা চালু রেখেছেন তারা জানেন না যে কতটুকু ভিক্ষা, জাকাত, গরীব মানুষকে অর্থ সহাযতা দিলে তার অর্থ ভান্ডার একে বারে তলানিতে এসে পড়বে না আর অর্থ সম্পত্তির হিসাব -নিকাশে ব্যস্ত হয়ে রিজেকে অ-সুখি করে তুলেন। তাদের জানা থাকে না যে কতটুকু সাহায্য ও দান খয়রাত করলে প্রকৃত জীবন যাপন করা যায় !
অনেক বিত্তশালীরা দান খয়রাতের বিষয়ে সঠিক অর্থ বের করতে সমর্থ হয় না বলে তারা অনেকটাই অ-সুখি থাকেন, সমাজের প্রতি, দেশের প্রতি নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে চলার মধ্যে যে সুখ অর্জন করা যায় না তা অনেকেরই অ-জানা, বরং নিজেকে অ-সুখি তৈরী করেন নিজে নিজে অর্থ সম্পত্তির পাহাড়াদার হয়ে।
মাদার তেরেছা যখন কোলকাতার রাস্তায় তার অনাথ শিশুদের জন্য অর্থ সহায়তা সংগ্রহে বের হয়েছিলেন একদিন একজন ভিক্ষুক তার ভিক্ষা লদ্ধ আয় থেকে মাদার তেরেছাকে দুই রুপি দান করেছিল। এই ক্ষেত্রে সমাজের ধনবানরা কতটুকু সুখি !!
রেটিং করুনঃ ,
ভাই দারুন তথ্য জানা হল, সবার মনে লোভ লালসা দূর হক, হে মানব শুদ্ধ হও।
সবার মনে লোভ লালসা দূর হক, হে মানব শুদ্ধ হও।
প্রাণ-বন্ত মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মান্নান ভাই, সেই সাথে হালকা শীতের অনেক শুভেচ্ছা।
আপনার এই সাধারণ বাক্যটি একদা
বানীেত রূপলাভ করবে, সেদিন আর
খুব বেশী দূরে নয়। আশায় থাকুন
রব্বানী ভাই। শিঘ্রই গুণী জনের
খাতায় আপনার নাম উঠবে।
তেব আফসোস!! এ দেশের মানুষ
গুণীজনের মূল্যায়ন মৃত্যুর আগে
করেনা।
রব্বানী ভাই। শিঘ্রই গুণী জনের
খাতায় আপনার নাম উঠবে।
সন্মান ও শ্রদ্ধা করি আপনার আশাবাদে তবে কোন কিছু না ভেবে এই সব লেখা,
যেগুলি লিখি তা দিয়ে কোন দিনও টাকা খরচ করে বই বের হবে না আমার। কিন্তু টাকা পয়সা ধার করেও অনেকে বই বের করছেন, জানি না কি উদ্দ্যেশে !
তবে এই ধরণের লেখা আরও লিখতে চাই নূরু ভাই তবে “খাতায় নাম উঠবে” না বললে বরং খুশি হই।
চিঠিঃ আমি অরণ্য খায়েশ ফেনা
অনেক ধন্যবাদ লেখালেখিকে জাগিয়ে তোলার জন্য।
ভাই এই বিষয়টা আমি সব সময় উপলব্ধি করি। ধনিরা ঠিকমত ভিক্ষা না দিলেও ভিক্ষুকরা না খেয়ে থাকেনা আবার ভিক্ষা দিয়েও কোন ধনির ধন কমেনা! জীবন চক্রের গোলক ধাধা বড়ই জটিল!
ধনিরা ঠিকমত ভিক্ষা না দিলেও ভিক্ষুকরা না খেয়ে থাকেনা আবার ভিক্ষা দিয়েও কোন ধনির ধন কমেনা! জীবন চক্রের গোলক ধাধা বড়ই জটিল!
খুব গুরুত্ব পূর্ণ ও সু-চিন্তিত একটি কথা বলেছেন আলভী ভাই, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।