ভারত ভ্রমনের অংশ হিসাবে দুই বছর আগের ২৮ই আক্টবর বিকেল সোয়া পাঁচটায় দিল্লি থেকে পর্যটক বাসে করে হিমাচল প্রদেশের মানালি শহরে দিকে রওয়ানা হলাম, প্রায় শতাধিক কিলো মিটার সমতল ভূমি পাড়ি দেওয়ার পর শুরু হলো পাহাড়ি পথ আর এই পথ পাড়ি দিতে সময় লেগেছে প্রায় নয় ঘন্টা, পাহাড়ের ধার ঘেষে বাস চলার সময় মনে হয়েছে ছো্ট্ট একটা প্লেনে করে যেন ভেসে চলেছি এক অজানা পথে, পাহাড়ের ধার ঘেষে ঘেষে ক্রমেই উঁচুতে উঠা।
রাতে ও গভীর রাতে সারা পথেই দেখেছি এমন দৃশ্য সারা পাহাড় জুড়ে বৈদ্যুতিক বাতির আলো, আর বাস চলেছিল পাহাড়ী পথ ঘুরে ঘুরে তাপ মাত্রা ছিল তখন প্রায় পাঁচ ডিগ্রী।
ভূ-স্বর্গের শহর মানালিতে প্রথম যখন আমরা পা রাখলাম তখন সকাল সোয়া সাতটা আর তাপ মাত্রা ৭ ডিগ্রী, পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপ মাত্রা বেড়ে ৮ থেকে ৯ ডিগ্রী। শহরটি সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ৬,৭২৬ ফিট উচ্চতায়।
মানালিতে ঝকঝকে সকাল আমাদের হোটেল থেকে তোলা ছবি।
হোটেলে কিছুটা বিশ্রামের পরে শুরু হল আমাদের যাত্রা – মানালিতে পাহাড়ের পাশে, রাস্তার পাশে ঝর্ণা ধারায় নদী। নদীটির নাম বিয়াশ।
মন মুগ্ধ করা পাহাড়, নীল আকাশ আর মেঘের খেলা।
মানালিতে আদিবাসীদের পাহাড়ে নির্মিত বসবাসের মন মুগ্ধকর বিলাসী কুঠি বাড়ি।
মানালিতে থেকে এবার রওয়ানা দিয়ছি রোটাং পাসে যা সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ১৩,০৫০ ফিট উচ্চতায়। মাঝ পথে সামান্য একটু সমতল ভূমি – সোলাং ভ্যালি। শিশুদের জন্য খেলার জায়গা, খেলনা, ঘোড়া, ছবি তোলার স্পট। এখানে এসে এই সমতল ভূমিটুকুর গুরুত্ব বুঝলাম, পাহাড়ের বনে আসলে সমতুল ভূমি পাওয়া খুবই ভাগ্যের বিষয়।
ভ্রমণের তারিখ: আক্টবর ২৯, ২০১২
রেটিং করুনঃ ,