বছর দুই আগে ঠিক এই সময়ে বা এই দিনগুলিতে নিজ পরিবার ও বন্ধু পরিবার নিয়ে মোট ছয় জন সহ মোট নয় দিনের ভারত ভ্রমনে ছিলাম, ছয়টি প্রদেশের উপর দিয়ে কথনও বাসে আর ট্রেনে মোট প্রায় ৫,০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া। দুই বছর আগের ২৬ শে অক্টোবর বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমরা ছিলাম কোলকাত শহরে কিছুটা বিশ্রামে। ২৭ শে অক্টোবর সকাল, দুপুরে আমরা ছিলাম বিহার প্রদেশে, ট্রেনে। ভারতের পশ্চিম বঙ্গের কোলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করে ভারতের হিমাচল প্রদেশ পর্যন্ত যার সীমানা ভারতের কাশ্মীর ও চীনের তিব্বত পর্যন্ত আমাদের ছিল ভ্রমণে পরিকল্পনা।
আমাদের দেশ কেউ হোক বা অন্য কোন দেশের কেউ হোক ভারতের তিন-চার টি প্রদেশ ভ্রমন করেছেন অথচ তাজ-মহল দর্শন করেন নি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়াটা বেশ কষ্টের। উত্তর প্রদেশের আগ্রা শহরের যমুনা পাড়ে ১৬৩২ থেকে ১৬৫৩ সালে ভালোবাসা প্রকাশে দামি দামি পাথরে গড়া বা সময়ের স্রোতে ভেসে বেড়ানো অমর কির্তি তাজ-মহল। ভ্রমনের অংশ হিসাবে মন বিশুদ্ধ হওয়া তাজ-মহলের কিছু ছবি শেয়ার করা হলো।
আগ্রায় শাহ্ জাহান গেট দিয়ে তাজ-মহলে প্রবেশ করতে হয়, প্রথমে চোখে পড়বে বাহন হিসাবে উট, ঘোড়া গাড়ি ও নানান যন্ত্র যান এখান থেকে তাজ-মহলে প্রায় আধা- কিলো মিটার দূরে।
তাজ-মহলে প্রবেশের আঙ্গিনা্
তাজ-মহলে প্রবেশের তোরণ
তাজ-মহল প্রবেশের মূল ফটক।
তাজ-মহলে প্রবেশের পরে।
খালি পায়ে তাজ মহলে হাঁটা, তীব্র রোদেও পাথর অনেক ঠান্ডা।
তাজ-মহলের মাঝামাঝি স্থান থেকে।
তাজ-মহল দাড়িয়ে আছে ঠিক যমুনা নদীর পাড়ে
পবিত্র কোরআনের আয়াতে তাজ-মহলের দেয়াল
দামি পাথরে খোঁদাই করা তাজ-মহলের দেয়াল।
সম্রাট শাহ জাহান ও মমতাজ মহলের সমাধি স্থলে যাওয়ার মূল দরজা আর নিরাপত্তাও বেশ কড়াকড়ি।
সম্রাট শাহ জাহান ও মমতাজ মহলের সমাধি স্থল, ছবি তোলা নিষেধ, তবুও ছবি তোলা, মহলটিতে সামান্যই আলো, সমাধি উপরে একটি শুধু ঝুলন্ত ঝাড়র বাতি সামন্যই যার আলো।
বেশ সময় ধরে তাজ-মহলের ভিতর আর বাহির দেখে দেখার, বুঝার আর জানার পূর্ণতা আসে নি।
তারিখঃ অক্টোবর ২৭, ২০১২
রেটিং করুনঃ ,