কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে দৈনিক সংক্রমণ এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। প্রথম ঢেউয়ে দৈনিক সংক্রমণ কখনোই লাখ ছাড়ায়নি। টানা কয়েক মাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে (শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে) থাকায় অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে আবার শুরু হয়েছে দুশ্চিন্তা।
এই পরিস্থিতিতে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অর্থনীতিতে বিপদের এই আশঙ্কা মোকাবিলায় সরকার যথেষ্ট তৈরি। একদিকে কোভিড পরীক্ষা ও চিকিৎসা অবকাঠামো এখন আগের তুলনায় অনেক উন্নত। অন্যদিকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও মহামারির সঙ্গে মানিয়ে চলতে শিখেছে। টিকাদানের কারণে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইকোনমিক টাইমস সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।
নতুন করে কোভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধি, বিশেষত মহারাষ্ট্রে আংশিক লকডাউন জারি হওয়ায় অর্থনীতিবিদদের মধ্যে নতুন করে প্রবৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এখনো কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ অর্থনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করেনি। তবে অর্থনীতির ভিত যে এখনো দুর্বল তার লক্ষণ হচ্ছে, ফেব্রুয়ারিতে অবকাঠামো খাতের ৮টি প্রধান অঞ্চলের সংকোচন। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদেরা আশঙ্কা করছেন, এপ্রিল থেকে জুন—এই তিন মাসে ভারতের প্রবৃদ্ধি আবার ধাক্কা খেতে পারে।
দৈনিক সংক্রমণের অর্ধেকই হচ্ছে মহারাষ্ট্র থেকে। আর ভারতের জিডিপির ১৫ শতাংশই আসে মহারাষ্ট্র থেকে। সেই মহারাষ্ট্রে শপিং মল, রেস্তোরাঁয় বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, কোভিড মাথাচাড়া দেওয়ায় হোটেল-রেস্তোরাঁ, শপিং মলে যাতায়াত কমতে শুরু করেছে। যদিও বাড়ি থেকে অফিস যাতায়াত কমেনি। কিন্তু পরিবহন ও হোটেল-রেস্তোরাঁ খাত আবার ধাক্কা খেলে তার প্রভাব জিডিপির ওপরেও পড়বে।
সেই মহারাষ্ট্রে শপিং মল, রেস্তোরাঁয় বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, কোভিড মাথাচাড়া দেওয়ায় হোটেল-রেস্তোরাঁ, শপিং মলে যাতায়াত কমতে শুরু করেছে। যদিও বাড়ি থেকে অফিস যাতায়াত কমেনি। কিন্তু পরিবহন ও হোটেল-রেস্তোরাঁ খাত আবার ধাক্কা খেলে তার প্রভাব জিডিপির ওপরেও পড়বে।
এই আশঙ্কা নাকচ করে গতকাল ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিডের পরীক্ষা, চিকিৎসা অবকাঠামো, টিকাদানের সঙ্গে বাজেটে বিপুল পরিমাণে অবকাঠামো ও মূলধনি খরচে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। ফলে ২০২১-২২ অর্থবছরের ছবিটি যথেষ্ট উজ্জ্বল হবে। অবকাঠামো খাতের চাকা ইতিমধ্যেই ঘুরতে শুরু করেছে। নতুন অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে তার প্রভাব দেখা যাবে। গত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরিকাঠামো খাতে আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি খরচ হয়েছে।
সরকারের দাবি, রাজস্বের অবস্থাও এখন তুলনামূলক ভালো। গত বছরের এপ্রিল থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজস্ব ঘাটতি সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার ৭৬ শতাংশের মধ্যেই বেঁধে রাখা গেছে। আগের বছরের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি আয়কর রিফান্ড দিয়েও কেন্দ্রের নিট রাজস্ব আয় সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি।
এদিকে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে সরকার পাঁচ দফা কৌশল নিচ্ছে। এতে অর্থনীতির সংকোচন এড়ানো যাবে বলে তারা মনে করছে।
সূত্র: প্রথম আলো
তারিখ: এপ্রিল ০৭, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,