প্রায় নিয়মিত ও অনিয়মিত ভাবে চতুর্মাত্রিকের আঙ্গিনায় লিখে থাকি ! কোন কোন লেখকের লেখায় মন্তব্যও করে থাকি চলমান ধারায় বা বে-ধারায়।
লেখার বিপক্ষ্যে একটি কারণ তা হলো চতুর্মাত্রিকের আঙ্গিনায় কিছুটা যেন আলো থাকে, যদিও বুঝি যুগের প্রবল বেগে ধাবমান প্রযুক্তি বিপ্লব আমাদের লেখার ধারাকে অন্য দিকে প্রবাহিত করে নিচ্ছে যার বিপক্ষ্যে টিকে থাকাটা বড় সংগ্রামের। সংগ্রামী হওয়াটা এখন প্রায় ডুমুরের ফুলের দশা। নিজ নিজ স্বার্থে, লাভ গননায় ব্যস্ত সকলে! কার সময় জুটে ব্লগে লিখার, যদিও বিশ্বে লেখার ব্লগ এখনও টিকে আছে। আমাদের দেশে ব্লগ লেখকের সূচক নিন্ম-মুখি হতে শুরু করে ছিল ২০১৩ এর শুরু থেকে যা প্রবল বেগে।
পুরাতন ব্লগাররা চলে গিয়েছেন আর ফিরে আসেন নি অনেকেই, আর নতুনরা এসে সে জায়গাও পূরণ করেন নি। ব্লগে লেখার যে প্রবল চর্চা ছিল তাতে করে নবীন লেখকদের লেখার মান বাড়িয়েছে লেখার সাহস বাড়িয়েছে, লেখার গতিও বাড়িয়েছিল সেই সাথে মেধারও।
আমি লিখি যাতে আমার লেখার চর্চা থাকে, লেখার সুবাধে পড়ার চর্চাটাও থাকে কিন্তু দুই এক জনের সাথে ব্লগিং করাটা অনেক কঠিন পর্ব, যেখানে লেখক নেই, পাঠক নেই, মন্তব্যকারি নেই।
তারপরও চতুর্মাত্রিকের আঙ্গিনায় আমার লেখার আগ্রহটা থাকুক পুরানো লেখকদের লেখা পড়ার আগ্রহটাও থাকুক!
লেখকহীন ও পাঠকহীন এই চতুর্মাত্রিকের আঙ্গিনা আবারও ঝলমল করে উঠবে এই আশা করি না সেই সাথে এটাও মনে করি না যে চতুর্মাত্রিকের আঙ্গিনা আরও বহু সময় ধরে চালু থাকবে। এটিকে চালু করে না রাখার ব্যর্থতাটা আমাদের।
তারিখ: সেপ্টম্বর ০১, ২০১৯
রেটিং করুনঃ ,