রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য, জ্বালানি ও সারের মূল্য বেড়ে গেছে। ব্যাহত হচ্ছে বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থা। এই বাস্তবতায় বিশ্বব্যাপী মন্দা সৃষ্টি হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান ডেভিড ম্যালপাস। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় তিনি আরও বলেন, মন্দা এড়ানোর পথ খুঁজে পাওয়া আমাদের জন্য কঠিন।
এর আগে গত এপ্রিল মাসে বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাস ছিল, এ বছর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। গত মাসে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস পুরো এক শতাংশ হ্রাস করে তারা। কোনো ধরনের সুনির্দিষ্ট পূর্বাভাস ছাড়াই ম্যালপাস বলেন, ‘আমরা যদি জিডিপির দিকে তাকাই, তবে এ মুহূর্তে মন্দা এড়ানোর পথ খুঁজে পাওয়া কঠিন। জ্বালানির মূল্য যেভাবে বাড়ছে, তা-ই মন্দা উসকে দিতে যথেষ্ট।’
ম্যালপাস আরও বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর তাদের নির্ভরশীলতা কমানোর পথে হাঁটলেও ইউরোপের অধিকাংশ দেশ তেল ও গ্যাসের জন্য এখনো রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধের মতো পদক্ষেপের ফলে এ অঞ্চলে মন্দা দেখা দিতে পারে।
ক্রমবর্ধমান জ্বালানি মূল্যের কারণে ইতিমধ্যে বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ অর্থনীতির দেশ জার্মানির বোঝা বেড়ে গেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোও খাদ্য, জ্বালানি ও সারের ঘাটতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। করোনার কারণে চীনে আরোপিত লকডাউন বিশ্ব অর্থনীতির গতি আরও হ্রাস করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
চীনের প্রধান কয়েকটি শহরে আরোপিত লকডাউনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ম্যালপাস। সাংহাইয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মন্দা কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাসে লকডাউনের প্রভাব আছে। চীনের আবাসন খাত ইতিমধ্যে সংকুচিত হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই পূর্বাভাস ছিল, এ বছর চীনের প্রবৃদ্ধির হার কমবে। এরপর চলমান লকডাউনের কারণে সেই শঙ্কা আরও ঘনীভূত হয়েছে।
বুধবার চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং বলেন, ২০২০ সালের লকডাউনের চেয়ে চলমান লকডাউনে চীনের ক্ষতি আরও বেশি হবে।
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: মে ২৬, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,