Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

বেশি কথা বললে সব বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকবো-শেখ হাসিনা (২০২৩)

Share on Facebook

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ যদি বলে রিজার্ভ রক্ষা করতে হবে, তাহলে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেই, পানি দেয়া বন্ধ করে দেই, সার দেয়া বন্ধ করে দেই। সব বন্ধ করে বসিয়ে রাখি, আমাদের রিজার্ভ ভালো থাকবে। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য শাসকদের ২৯ বছরের শাসনামলে দেশে কী উন্নয়ন হয়েছে এমন প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখন কেন হঠাৎ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে, সন্দেহ হয়। তিনি বলেন, আমার নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার অর্জন করে দিয়েছি। আজকে আমাকে ভোট শেখাতে হবে না। ভোট ডাকাতের মুখে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনে সন্দেহ হয়। আওয়ামী লীগের আন্দোলন সংগ্রামে মানুষ ভোট ও ভাতের অধিকার পেয়েছে। এখন নির্বাচন নিয়ে এত কথা কেন? প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি। কেউ জিজ্ঞেসও করেনি। ২০০৭-এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যে অভিজ্ঞতা, এরপর এটা কেউ চায়? গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে যোগদানের ফলাফল সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে বুধবার দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ১৭ই সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন। নিউ ইয়র্ক সফরে প্রধানমন্ত্রী ১৭-২২শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দেন। অধিবেশনের ফাঁকে অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা ২৩ থেকে ২৯শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশ কোথায় ছিল, কোথায় এনে দাঁড় করিয়েছি?
সংবাদ সম্মেলনে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার খান জানতে চান, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২ বছর আগে অনেক বেশি ছিল। কিন্তু আমাদের রিজার্ভ অনেক কমে গেছে। এ বিষয়ে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা। এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনার সময় আমদানি বন্ধ ছিল, যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। তখন তো রিজার্ভ বেড়েছিল। এরপর যখন সব খুলে গেল, সবকিছু আমদানি শুরু হলো। তখন রিজার্ভ কমবে, এটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি, তখন রিজার্ভ ১ বিলিয়নও ছিল না। ছিল শূন্য দশমিক সাত। আমি যখন ৯৬ সালে সরকার গঠন করি তখন রিজার্ভ ছিল বিলিয়নের নিচে। যেটুকু বেড়েছে, আমাদের সরকারই বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, এখন দেশের মানুষ যদি বলে রিজার্ভ রক্ষা করতে হবে, তাহলে আমি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেই, পানি দেয়া বন্ধ করে দেই, সার দেয়া বন্ধ করে দেই। সব বন্ধ করে বসিয়ে রাখি, আমাদের রিজার্ভ ভালো থাকবে। রিজার্ভ বেশি রাখা বেশি প্রয়োজন, নাকি দেশের মানুষের ভালো, মানুষের জন্য কাজ করা বেশি প্রয়োজন। যেসব আঁতেল, জ্ঞানীগুণী কথা বলেন। তারা কী জানেন, আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছি, তখন রিজার্ভ কতো ছিল? বাংলাদেশ কোথায় ছিল, কোথায় এনে দাঁড় করিয়েছি? যতটুকু রিজার্ভ প্রয়োজন, আমাদের আছে। তিনি বলেন, ২০০ ডলারে গম কিনতাম, তা এখন ৬০০ ডলার। ৮০০ ডলারের পরিবহন খরচ এখন ৩-৪ হাজার ডলার লাগছে। রিজার্ভ নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলতে পারে। আমি তো বলেছি যে যদি এত বেশি কথা হয়, যখন সরকার গঠন করেছিলাম, রিজার্ভ ওইখানে রেখে তারপর ইলেকশন করবো। পরে আবার বাড়াবো। কিন্তু, করে দেখাবো যে এই ছিল। বিদ্যুৎ শতভাগ থেকে কমিয়ে ওই ২৮ ভাগে নিয়ে আসবো। সবাই একটু টের পাক যে কী ছিল। আমরা তো ভুলে যাই। আমি বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে বলেছিলাম, প্রতিদিন যেন কিছু লোডশেডিং দেয়, তাহলে মানুষের মনে থাকবে যে লোডশেডিং আছে। পয়সা খরচ করে তেল কিনে জেনারেটর চালাতে হবে। তখন আক্কেলটা ঠিক হবে যে, না এই অবস্থা তো ছিল। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা তো ভর্তুকি দিচ্ছি। কেন আমরা ভর্তুকি দেবো। বিদ্যুৎ ব্যবহার করতেছে সবাই, ভর্তুকির সুযোগ নিচ্ছে অর্থশালী বড়লোকরা। এখন একটা স্লট ঠিক করবো কতোটুকু সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে। তাদের জন্য আলাদা দাম। তার থেকে বেশি যারা করবে তাদের জন্য আলাদা দাম। ইতিমধ্যে আমি নির্দেশ দিয়েছি ওইভাবে একটা স্লট করতে। যে বেশি ব্যবহার করবে, তাকে বেশি দামে কিনতে হবে। তিনি বলেন, বেশি কথা বললে সব বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকবো। ইলেকশনের পর যদি আসতে পারি, তাহলে আবার করবো। সব গুছিয়ে দেয়ার পর এখন ইলেকশনের কথা, ভোটের কথা, অর্থনীতির পাকা পাকা কথা শুনতে হয়। আমি এসব শুনতে রাজি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার ৭৭ বছর বয়স। ১৫ বছর বয়স থেকে মিছিল করি। এ পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। সবাইকে হারিয়েছি। আমি এখানে কিছু পেতেও আসিনি, নিতেও আসিনি। আমি এসেছি দেশের মানুষকে দিতে। আজ দেশ একটা মর্যাদা পাচ্ছে সারা বিশ্বব্যাপী। আগে বাংলাদেশ শুনলে সবাই নাক সিটকাতো। এখন বাংলাদেশ শুনলে আলাদা মর্যাদা দিয়ে তাকায়। উন্নয়নের রোল মডেল এটা মাথায় রাখতে হবে। এটা বাতাসে হয়নি। এটা আওয়ামী লীগ সরকার আছে বলে, দেশের উন্নতি করেছি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছি। যে কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। এখন তো কেউ না খেয়ে কষ্ট পায় না। মানুষের খাবার গ্রহণ বেড়েছে। আমাদের উৎপাদনও বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী কিন্তু প্রচণ্ড খাদ্যমন্দা। কেউ বলবে, কেউ বলবে না। আমি নিজে কয়েকটা দেশ দেখলাম। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্ডিয়া, আমেরিকা, ইংল্যান্ডের সাধারণ মানুষের খবর নেয়ার চেষ্টা করেছি। প্রতিটি জায়গায়ই ইনফ্লেশন অনেক বেশি। কাজেই আমাদের খাদ্য আমাদের উৎপাদন করতে হবে।

এখন নির্বাচন নিয়ে এত কথা কেন?
আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য শাসকদের ২৯ বছরের শাসনামলে দেশে কী উন্নয়ন হয়েছে এমন প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখন কেন হঠাৎ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে, সন্দেহ হয় রে। তিনি বলেন, ভোট ডাকাতের মুখে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনে সন্দেহ হয়। আওয়ামী লীগের আন্দোলন সংগ্রামে মানুষ ভোট ও ভাতের অধিকার পেয়েছে। এখন নির্বাচন নিয়ে এত কথা কেন? প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে খুব বেশি কথা শুনি। যারা ভোট চুরি ও ডাকাতি করেছে, তাদের কাছ থেকে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনতে হয়। সব যায়গায় এটা প্রচার করে বেড়াচ্ছে। সামরিক স্বৈরশাসক যখন ছিল, তখন তো আমরা সংগ্রাম করেছি, মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে। আমরা ক্ষমতায় এসে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করেছি। জনগণের ভোটের অধিকার আওয়ামী লীগই তাদের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আজকে বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে। এর আগে তো অনেকে ক্ষমতায় ছিল, তারা মানুষকে কী দিয়েছে? মানুষ একবেলাও ঠিকমতো খেতে পারতো না। এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ ভোট ও ভাতের অধিকার পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা হঠাৎ এবং অন্যান্য দেশ আমাদের দেশের নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ কিনা প্রশ্ন তোলে, আমার প্রশ্নটা হচ্ছে, যখন মিলিটারি ডিকটেটর ছিল, যখন আমরা সংগ্রাম করেছি, জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। আমরা সংগ্রাম করেছি ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য। আমরা স্লোগান দিয়েছি আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বার বার একই বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা বাস্তব অবস্থাটা বোঝে কিনা আমি জানি না, কিন্তু তাদের একই কথা, মানে ভাঙা রেকর্ড বাজিয়েই যাচ্ছে। সেটা আমি স্পষ্ট বলে আসছি। কেন, ভোটের জন্য তো আমরা সংগ্রাম করলাম, রক্ত দিলাম, আমার নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার অর্জন করে দিয়েছি। আমাকে ভোট শেখাতে হবে না।

তারা আবার বিরোধী দল কিসের?
সংসদের বাইরের কোনো দলকে বিদেশে বিরোধী দল হিসেবে মনে করা হয় না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিএনপি’র প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, যাদের নির্বাচন করার মতো সাহস নেই, যারা নির্বাচন করে সংসদে আসতে পারে না, তারা আবার বিরোধী দল কিসের? গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংসদ সদস্য হিসেবে বিরোধী দলে যাদের আসন তারাই বিরোধী দল। আর রাস্তায় কে ঘেউ ঘেউ করে বেড়ালো, সেটাতে কিন্তু বিদেশে কখনো বিরোধী দল হিসেবে ধরে না। এটা সবার মনে রাখা উচিত। বিরোধী দলের প্রয়াজনীয়তার কথা বলে তিনি বলেন, অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বী থাকতে হবে। বিরোধী দল থাকতে হবে। কিন্তু বিরোধী কে? যাদের সংসদে একটি সিট নেই তাদের বিরোধী দল হিসেব করে তো রাখা যায় না। বলা যায় না।

তাদের মিথ্যা কথায় কেউ কান দেবেন না
বিএনপি’র উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলেছে আমি খালি হাতে ফিরে এসেছি এইতো? আমি কোনো উত্তর দিতে চাই না। আমি শুধু দেশবাসীকে বলতে চাই, বিএনপির নেতারা মাইক লাগিয়ে কী হারে মিথ্যা কথা বলে, সেটি আপনারা জেনে নেন। মিথ্যা বলা তাদের অভ্যাস। তাদের সবকিছুকেই খাটো করে দেখার চেষ্টা থাকে। এটার বিষয়ে দেশবাসী যেন একটু সচেতন থাকে। তাদের মিথ্যা কথায় কেউ কান দেবেন না। মিথ্যা কথা কেউ বিশ্বাস করবেন না। এটাই আমার আহ্বান। বিএনপিকে আন্দোলনের সুযোগ দেয়ার প্রতি ইঙ্গিত তরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তো ওদের খুলে দিয়েছি, তোমাদের যা খুশি করো। কাজের মাধ্যমে মানুষের হৃদয় অর্জন করে আসো। তিনি বলেন, এতগুলো টেলিভিশন খুলে দিয়েছি। টকশোতে যে যা পারছেন, টক কথা মিষ্টি কথা বলে যাচ্ছেন। খুব বলেন, কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সারাদিন কথা বলার পর যদি বলেন আমাদের কথা বলতে দেয় না, আর বিএনপি’র তো মাইক একটা লাগানো থাকে। আর বলেন আমাদের মিটিং-মিছিল করতে দেয়া হয় না। যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, আমাদের সঙ্গে কী আচরণ করতো? আমরা যদি তার একটা কণাও করতাম তাহলে তো ওদের অস্তিত্বই থাকতো না, থাকবে অস্তিত্ব? থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী বিএনপি’র আন্দোলন নিয়ে বলেন, তারা তো বারবার তারিখ দিয়েই যাচ্ছে। এই তারিখে ফেলে দিবে, ওই তারিখে ফেলে দেবে। তারা আন্দোলন করুক। জনগণের জানমালের কোনো ক্ষতি যদি করা হয়, সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। প্রধানন্ত্রী বলেন, বিএনপি আন্দোলন করছে এটা খুব ভালো। কারণ এতে করে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হচ্ছে। আমি তো খবর রাখি কোন এমপি কতোবার এলাকায় যায়। আগে যারা এলাকায় যেতো না কিংবা একটু পিছিয়ে ছিল তারা এখন সক্রিয় হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বিএনপি’র প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা জানে নির্বাচন করে জনগণের ভোট পাবে না, তারাই সব জায়গায় ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে। কারণ তাদের তো কোটি কোটি টাকা। ক্ষমতায় থেকে এত বেশি টাকা মানি লন্ডারিং, এত বেশি টাকার মালিক হয়ে গেছে তারা অবাধে সেই টাকা খরচ করে যাচ্ছে এবং সব জায়গায় একটা প্রচার। আর এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তারা বাস্তব অবস্থাটা বুঝে কিনা- আমি জানি না, কিন্তু তারা এই একই কথা, মানে ভাঙা রেকর্ড বাজিয়েই যাচ্ছে। সেটা আমি (যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যে সফরে) স্পষ্ট বলে এসেছি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্যাংশন দেয়, আবার নিরাপত্তা চায়
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস্‌ নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূতকে তারা কতোটা নিরাপত্তা দেয়, আমি (মার্কিন নিরাপত্তা) উপদেষ্টার সামনে এ প্রশ্নটা করেছি। তাদের দেশে যত্রতত্র মানুষ গুলি করে হত্যা করে। এগুলো নিয়ে প্রশ্ন নেই। আমাদের এখানকার নিরাপত্তা নিয়ে এত কথা কেন? তিনি প্রশ্ন করেন, তারা আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্যাংশন দেয়, আবার নিরাপত্তা চায়, এটা কেমন? প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের নিরাপত্তায় পুলিশ দরকার। এজন্য (প্রটোকলের) কিছু পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর বদলে তো গানম্যান দেয়া হয়েছে।

খালি টাকা কামালে হবে না
সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনাদের সার্ভিস দেয়, তাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টিও তো দেখতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তো ওয়েজবোর্ড দিয়েছি। বেসরকারি টেলিভিশনের মালিকদের দায়িত্ব ওয়েজবোর্ড কার্যকর করা। বেসরকারি টেলিভিশনের মালিকদের বলবো, খালি টাকা কামালে হবে না। যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনাদের সার্ভিস দেয়, তাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টিও দেখতে হবে। তিনি বলেন, টেলিভিশন-রেডিও বেসরকারিভাবে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যার কারণে অনেকে কাজের সুযোগ পেয়েছে। অনেকে এটা সাহসও করেনি। আমাকেও বলেছে, আপনার বিরুদ্ধেই বলবে। আমি বলেছি, বললে বলবে। আমি খারাপ করলে বলবে। জাতীয় সংসদে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণের কাছে কার গ্রহণযোগ্যতা বেশি। মানুষের সঙ্গে যারা কাজ করেছে। কারা মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে, মনোনয়নে আমরা সে বিষয়টি মাথায় রাখি।

মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি চাপ সৃষ্টির রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না হয়
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি যাতে উন্নয়নশীল দেশের ওপর চাপ সৃষ্টির রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না হয়, সেজন্য বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জাতিসংঘে ২২শে সেপ্টেম্বর আমার বক্তব্য দিয়েছি। সেখানে বলেছি, মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি যাতে উন্নয়নশীল দেশের উপর চাপ সৃষ্টির রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না হয়, আমি সে দাবি জানিয়েছি। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছি যে, আমার সরকার সংবিধানের আলোকে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে যাচ্ছে ও করে যাবে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অপব্যবহার, বিদ্বেষ সৃষ্টি এবং উগ্রপন্থা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরি। চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমার সরকারের ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এ অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।

সূত্র:মানবজমিন।
তারিখ: অক্টোবর ০৭, ২০২৩

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

,

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪,সোমবার

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ