আজ ২৩শে এপ্রিল ছিল বিশ্ব বই দিবস, এই দিবসের মূল উদ্দোশ্য হলো সবার মধ্য বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ানো আর এই আগ্রহ বাড়াতে হলে সকলের বই কেনা আগ্রহের বাড়ানো পাশাপাশি বেশি বেশি করে বই কেনা।
আলোর পথে প্রবেশের দুয়ার হলো বই পড়া, বই কেনা কিন্তু এখানে মনে হয় আমাদের আগ্রহ কিছুটা কম অন্য পন্য ক্রয়ের তুলনায় বা ব্যবহারে। “ বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না।” “প্রিয়জনকে বই উপহার দিন।” “বই আলোর পথের পথ প্রদর্শক।” এ সবই বই নিয়ে কথা। গতকাল ২৩শে এপ্রিল ছিল বিশ্ব বই দিবস, এই দিবসের মূল উদ্দোশ্য হলো সবার মধ্য বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ানো আর এই আগ্রহ বাড়াতে হলে সকলের বই কেনা আগ্রহের বাড়ানো পাশাপাশি বেশি বেশি করে বই কেনা।
বই হচ্ছে একটি যুগের সাথে আর একটি যুগের সেতু যেখান দিয়ে পারাপার হচ্ছে দৈনিক কোটি কোটি মানুষ ” বই হচ্ছে সেটাই সেখানে থেকে আলো বেরিয়ে আসে আর এগিয়ে যায় বিজ্ঞান, সমাজ, মন ও মনন খুব দ্রুত বেগে।”
সৈয়দ মুজতবা আলীর বিখ্যাত উক্তি ” বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না ” বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়েছে এমন কারও নাম পরিচয় আমাদের জানা নেই। বছরের এই বিশ্ব বই দিবস দিনটিতে বই নিয়ে আমরা হয়তো একটু বেশি কথা বলি, বই পড়ার উপর গুরুত্ব দেই, নানান আলোচনা করি কিন্তু কে মনে রাখে এই দিবসের কথা, কে গুরুত্ব দেয় !! এ সব আমাদের আক্ষেপের কথা নয়।
বইয়ের কি কোন বিকল্প আছে !! জমি বেচে অনেকে দেউলিয়া হয়েছেন, কন্যার বিয়ে দিয়ে অনেকে দেউলিয়া হয়েছেন , ব্যবসায়ে পুঁজি হারিয়ে অনেকে দেউলিয়া হয়েছেন তবে আগেই বলেছি বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়েছে এমন কারও নাম পরিচয় আমাদের জানা নেই। তবুও নানান কারণে আমাদের বই কেনা হয় কম আর বই কেনা না হলে বই পড়ার অভ্যাস বা বই পড়া হয় কি করে !! এক কথায় হবে না।
ধরে নিলাম আমাদের একটি ধারাবাহিকতায় বই কেনা হয় হয়তো বই পড়াও হয় তবে ঘরে বই থাকার পরেও যে আমাদের বই পড়া কম হয় তার কতকগুলি কারণ আছে। ইদানিংএর সংযোজন ইন্টারনেটে, সেল ফোনে অবিরাম কথা বলা, ডিস এন্টিনার বদৌলতে বই পড়ার সংরক্ষিত সময় অনেক হরণ করেছে, তাই বই কেনার আগ্রহও কম। বিশ্ব বই দিবস পালনে মধ্য দিয়ে আমাদের বই কেনা ও পড়ার আগ্রহ বাড়বে এটা আমাদের সকল সময়ের আশাবাদ কিন্তু যে কেন উপায়ে আমাদের বই পড়া ও বই কেনা বাড়াতে হবে বরং অনেক অপ্রয়োজনীয় পন্য দ্রব্যাদি না কিনে। অনেক বলেন বই কেনা কোন সমস্যা না, ঘরে ব্ই সাজিয়ে রাখা, রক্ষনাবেক্ষণ করাটাই বড় ঝামেলার, এই যদি কারো মন মানসিকত হয় তবে আমাদের নিজেদের আবার নুতন করে ভাবা দরকার যে কোন সমাজ গড়তে যাচ্ছি আমারা !!
নিজের পয়সায় ব্ই না কিনে এক মহা মানব কী ভাবে পাঠাগার গড়ে তুলেছিলেন, তা অনেকেরই জানা। ছোট্ট হোক, বড় হোক নিজ ঘরের কোনে একটি পাঠাগার গড়ে তোলাই হোক আমাদের লক্ষ্য।
আমরা যারা এখন একটা পর্যায়ে এসেছি, নানান বই পড়ি, টুকটাক লিখি, লেখা প্রকাশ করি, পাঠক গড়ি, পাঠকের কাছে লেখা পৌঁছায়ে দেই আমরা কিন্তু ভালো করে বুঝি বই আমাদের উপরে উঠার মূল সিঁড়ি।
সময় ছুটেছে দ্রুত। পরিবর্তনও দ্রুত। অনেক কিছুই প্রযুক্তির দখলে। নিজেরা প্রযুক্তির সাথে যুক্ত হয়ে আজ আমাদের শিশুরাও প্রযুক্তির সাথে যুক্ত, তাঁদের মধ্যেও এখন অনেক পরিবর্তনের ছোঁয়া, সময়ে পরিবর্তন এসেছে, কোন কোন শিশু আমাদের চেয়েও ল্যাপ টপে, সেল ফোনে বেশ পারদর্শী। নানান ছবি, নানান গল্পের চেয়েও ল্যাপ টপ, সেল ফোন, ভিডিও গেম, বিদেশী কার্টন ওদের বেশি আকৃষ্ট করেছে।
একটি ল্যাপ টপের বদলে আমরা আমাদের শিশুদের প্রায় ৪০০ শত ভালো ভালো, মজার মজার, উন্নত জ্ঞান বিকাশের বই কিনে দিতে পারি। অন্তত ছোট্ট একটি পাঠাগার ঘরের কোনে গড়ে দিতে পারি। যা হবে তাঁদের উপরে উঠার, মন আলোকিত করার সত্যিকারের সিঁড়ি।
বিশ্ব বই দিবসের কথায় ফরে আসি,আমরা বেশি বেশি করে বই যদি না কিনি তবে লেখক, কবিদের বই কে কিনবে !! লেখার প্রতি আমাদের আগ্রহ কমবে না বাড়বে ! আমাদের জ্ঞানের পরিধী বাড়বে না কমবে !! আর যাই হোক না কেন আমাদের সু-কুমার বৃত্তির যে বিকাশ হবে না নিশ্চিত করে বলা যায়।
রেটিং করুনঃ ,