থাইল্যান্ড ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন–নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে আবির্ভূত হতে চায়। সে লক্ষ্যে দেশটি এখন পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছে। উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের একটি জলাধারে ভাসমান বিশাল সৌর প্যানেল প্রকল্প তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ উবন রাতচাথানির সিরিন্ধর্ন বাঁধ প্রকল্পটি ইতিমধ্যে আলোচনায় এসেছে। খবর এএফপির।
ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটিতে ৭ লাখ ২০ হাজার বর্গমিটারের বেশি জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে সৌর প্যানেল। এটি মূলত হাইব্রিড সিস্টেম, যা দিনের বেলা সূর্যের আলোকে বিদ্যুৎ–শক্তিতে রূপান্তরিত করে আর রাতের বেলা জলবিদ্যুৎ তৈরির কাজ করে। বাঁধ কর্তৃপক্ষ একে বিশ্বের বৃহত্তম ভাসমান জল-সৌর প্রকল্প বলছে। থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ ২০৩৭ সাল নাগাদ এ ধরনের ১৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
থাইল্যান্ড ইতিমধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার থেকে বেরিয়ে আসার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। গত বছরে গ্লাসগোয় অনুষ্ঠিত কপ২৬ জলবায়ু সম্মেলনে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রাউত চান-ওচা ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন–নিরপেক্ষতা ও ২০৬৫ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যের কথা বলেছিলেন।
বিজ্ঞাপন
সিরিন্ধর্ন বাঁধ প্রকল্পটিতে গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে কার্যক্রম শুরু হয়। এতে ১ লাখ ৪৪ হাজার সৌরকোষ রয়েছে, যা ৭০টি ফুটবল মাঠের সমান। এখান থেকে ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়।
থাইল্যান্ডের বিদ্যুৎ উৎপাদন কর্তৃপক্ষের (ইজিএটি) ডেপুটি গভর্নর প্রসারসক চেরংচাওয়ানো বলেন, সৌর ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্প মিলিয়ে ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে একে বিশ্বের প্রথম ও বৃহত্তম হাইব্রিড বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বলা যায়।
ইজিএটির তথ্য অনুযায়ী, হাইব্রিড বিদ্যুৎ প্রকল্পের লক্ষ্য প্রতিবছর ৪৭ হাজার টন কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গমন হ্রাস করা এবং ২০৩৭ সাল নাগাদ ৩০ শতাংশ পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি নিশ্চিত করা।
সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ মার্চ ১০, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,