ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির উত্থান চলছেই। শুক্রবার বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন ভারতের আদানি গ্রুপের এই চেয়ারপারসন। তবে কিছুক্ষণ পরে আবার তৃতীয় স্থানে নেমে যান। ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, আদানির সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় বার্নার্ড আর্নল্ট ও আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
ফোর্বসের তাৎক্ষণিক সম্পদের তালিকা অনুযায়ী, আজ শুক্রবার (আমেরিকার স্থানীয় সময় অনুযায়ী) বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ফুলেফেঁপে উঠেছেন আদানি। তাঁর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফলে আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ১৫৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে ওঠে। এরপর তাঁর সম্পদ আবার ১৫২ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
ভারতীয় এই ধনকুবেরের চেয়ে এগিয়ে আছেন টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ক ও বার্নার্ড আর্নল্ট।
এই প্রথম এশিয়ার কোনো ব্যক্তি শীর্ষ ধনীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিলেন। বিশ্বের ধনীদের তালিকায় টেসলা–প্রধান ইলন মাস্কের পরেই এখন তাঁর স্থান। মাস্ক ও বেজোস দীর্ঘদিন ধরেই এই তালিকার শীর্ষে ছিলেন। তবে এ বছর গৌতম আদানি বিখ্যাত ফরাসি বিলাসবহুল ফ্যাশন সংস্থা লুই ভিতোঁর কর্ণধার বার্নার্ড আর্নল্টকে পেছনে ফেলে দিলেন।
শুক্রবার শেয়ারবাজার খুলতেই আদানি গ্রুপের পোয়াবারো হয়। বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্ট ও আদানি ট্রান্সমিশন রেকর্ড স্তরে পৌঁছে যায়। শেয়ারবাজারের এই মুনাফায় ভর করেই সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে আদানির সম্পদ ফুলেফেঁপে উঠেছে। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন তিনি।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত আদানির সম্পদ ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় যাঁরা ১০ নম্বরে আছেন, চলতি বছর তাঁদের মধ্যে কারও সম্পদ এত বৃদ্ধি পায়নি। ফলে বছরের শুরু থেকেই আদানি দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখাচ্ছেন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রিলায়েন্সের মুকেশ আম্বানিকে টপকে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির মুকুট ছিনিয়ে নেন আদানি। গত মাসে ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় বিল গেটসকে ছাপিয়ে যান। আদানির কাছে ‘হেরে গেছেন’ আমাজনের জেফ বেজোসও।
৬০ বছরের আদানি হলেন আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। বন্দর, অবকাঠামো-সংক্রান্ত বিষয়, তাপবিদ্যুৎ, আবাসনের মতো খাতে বিশাল বিনিয়োগ আছে আদানি গ্রুপের।
ঋণের বোঝা
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, আদানি গোষ্ঠীর সাফল্যের পেছনে আছে পাহাড়প্রমাণ ঋণের বোঝা। আদানির ঋণের পরিমাণ প্রায় ২.২২ লাখ কোটি রুপি। হিসাব বলছে, গত বছর বিশ্ব বাজারে আদানির ঋণের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৫২ লাখ কোটি রুপি। এক বছরে এই ঋণের পরিমাণ তো কমেইনি, উল্টে ৪২ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ২২ লাখ কোটি রুপি হয়েছে। এই ঋণের ভার মারাত্মক হতে পারে বলে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত।
সূত্র:প্রথম আলো।
তারিখ:সেপ্টম্বর ১৬, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,