কবি গুরু, বিশ্ব কবি আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে যে নামেই ডাকি না কেন তিনি আমাদের প্রতি মূহুর্তের কবি। তাই অনেকটাই হঠাৎ করেই কবির কথা মনে পড়ে গেল যদিও আজ কবি নিয়ে বিশেষ কোন দিন না।
আমাদের না দেখা কবিকে আমাদের লক্ষ-কোটি শ্রদ্ধা। তিনি স্মৃতির বাইরে থেকে আমাদের হৃদয়ে সদা আলোকিত। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিখ্যাত লেখক বিশ্বকবিকে নিয়ে স্মৃতি চারণ মূলক লেখা লিখেছিলেন তার কিছু অংশ বিশেষ তুলে ধরা হলো, সেই সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজের লেখা কিছু স্মৃতি কথা।
ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী লিখেছেন-
জানি না কোন সূত্রে, বৃহৎ পরিবারের ভিতর ভাইয়েদের মধ্যে রবি কাকা ও জ্যোতিকাকা মশায়ের ( জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর) এবং বোন দের মধ্যে স্বর্ণপিসিমার ( স্বর্ণকুমারী দেবী ) সঙ্গে বাবার (সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর) বেশী ঘনিষ্ঠতা ছিল। জ্যোতিকাকা মশায় ছেলে বেলায় মায়ের সঙ্গে বোম্বাই চলে যান এবং রবি কাকাও তো বাবার সঙ্গে বিলেত যান। সেখান থেকেই আমাদের সঙ্গে বিশেষ ঘনিষ্ঠতার সূত্রপাত হয়। যখন যা আবাদার করাতাম তখনই তিনি ( রবি কাকা ) পূরণ করতেন। একবার মনে আছে হাজারিবাগে কনভেন্টে আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁকে ধরি।
রবি কাকা বলা মাত্র আমাদের নিয়ে যেতে রাজি হলেন……………………………..। ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী।
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় লিখেছেন –
বড় একটা বুনিয়াদি পরিবারের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথের শিশুকাল কাটে, আরও পাঁচটি শিশুর মতই।
ধনী গৃহের রেওয়াজ মতে শিশুদের দিন কাটে ঝ-চাকরদের হেপাজতে। মাতা সারদাদেবী এই বৃহৎ পরাবারের কর্ত্রী – সব সময় মন দিতে হয় সংসারের কাজে- কর্তা থাকেন বিদেশে। পুত্র- বধূরা ও কন্যারা নিজ নিজ সন্তান সামলাতে ব্যস্ত।
পড়া শুনা চলে ঘরেই মাধব পন্ডিতের কাছে। কিন্তু একদিন বড় ছেলেদের স্কুলে যেতে দেখে বালক রবি কান্না জুড়লেন, তিনিও স্কুলে যাবেন। মাধব পন্ডিত এক চড় কষিয়ে বললেন, ‘ এখন স্কুলে যাবার জন্য কাঁদিতেছ, না -যাবার জন্য ইহার চেয়ে অনেক বেশী কাঁদিতে হইবে।’…………………….। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়।
সুনীতকুমার চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন-
কোলকাতা থেকে মাদ্রাজ -চল্লিশ ঘন্টার এই রেল যাত্রা আমরা বেশ আনন্দই করেছি। কবি আমাদের পাশের গাড়িতে একখানা কামরায় তিনি একা ছিলেন। খড়গপুরে কবির গাড়িতে একদল কলেজ আর স্কুল ছেলে ঢুকে পড়েছিল। এরা মেদেনীপুর থেকে আসছে। কবি আসছেন মনে করে কালকেও এসেছিলেন, আজ এঁর দেখা পেয়েছেন। Autograph hunting বা বড়ো লোকদের হস্তাক্ষর সংগ্রহের বাতিক দেখলুম ভীষণ সংক্রামক হয়ে পড়েছে। ছেলেরা চায় কবির হস্তাক্ষর, – তাঁর সামনে বাঁধানো খাতা, এক্সাসাইজ বুক, ঘরে সেলাই করা খাতা……………………………। সুনীতকুমার চট্টোপাধ্যায়।
প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবিশ লিখেছেন-
পঞ্চাশ বছরের জন্মোৎসবের আগে আমি প্রায় দুই মাস শান্তি নিকেতনে ছিলাম। কবি তখন থাকতেন অতিথিশালার পূর্ব দিকের ঘরে। সবচেয়ে ছোট এই ঘর। সামনে খোলা ছাদ। আমি থাকি পশ্চিম দিকের ঘরে। সে আমলে বাইরের লোকের আসা যাওয়া কম। কবির জীবন যাত্রাও অত্যন্ত সরল ও নিরাড়ম্বর। সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই সামান্য কিছু খেয়ে নিয়ে খোলা বারান্দায় গিয়ে বসতেন।আশ্রমের অধ্যাপকরা কেউ কেউ দেখা করতে আসতেন। ক্রমে সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনিয়ে উঠত। অধ্যাপকরা একে একে চলে যেতেন। রাত হয় তো এগারোটা বারোটা বেজে গিয়েছে, তখনও কবি অন্ধকারের মধ্যে চুপ করে বসে আছেন। আমি ঘুমোতে চলে যেতুম। আবার সূর্য উঠার আগেই উঠে দেখি কবি পূর্ব দিকে মুখ করে ধ্যানে মগ্ন………………………..। প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবিশ।
কাননবিহারী মুখোপ্যাধায় লিখেছেন-
১৮৭৩ সাল। কবির বয়স তখনো পুরো বারো হয় নি। মহর্ষী অনেকদিন পরে কোলকাতায় ফিরে এলেন। তখন তিনি প্রায়ই দেশ ভ্রমণে বাইরে বাইরে কাটাতেন। রবীন্দ্রনাথ মহর্ষীর ঘরে হাজির হতেই তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আমার সঙ্গে হিমালয়ে বেড়াতে যাবে !
এ কথা শুনে কবি যেন হঠাৎ আকাশ ভাঙ্গা চাঁদ হাতে পেলেন……………………………কাননবিহারী মুখোপ্যাধায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের কথা নিজেই লিখেছেন-
পূর্বে যে-শাসনের মধ্যে সংকুচিত হইয়া ছিলাম হিমালয়ে যাইবার সময়ে তাহা একেবারে ভাঙিয়া গেল। যখন ফিরিলাম তখন আমার অধিকার প্রশস্ত হইয়া গেছে। যে-লোকটা চোখে চোখে থাকে সে আর চোখেই পড়ে না; দৃষ্টিক্ষেত্র হইতে একবার দূরে গিয়া ফিরিয়া আসিয়া তবেই এবার আমি বাড়ির লোকের চোখে পড়িলাম।
ফিরিবার সময়ে রেলের পথেই আমার ভাগ্যে আদর শুরু হইল। মাথায় এক জরির টুপি পরিয়া আমি একলা বালক ভ্রমণ করিতেছিলাম— সঙ্গে কেবল একজন ভৃত্য ছিল— স্বাস্থ্যের প্রাচুর্যে শরীর পরিপুষ্ট হইয়া উঠিয়াছিল। পথে যেখানে যত সাহেব-মেম গাড়িতে উঠিত আমাকে নাড়াচাড়া না করিয়া ছাড়িত না।
বাড়িতে যখন আসিলাম তখন কেবল যে প্রবাস হইতে ফিরিলাম তাহা নহে— এতকাল বাড়িতে থাকিয়াই যে-নির্বাসনে ছিলাম সেই নির্বাসন হইতে বাড়ির ভিতরে আসিয়া পৌঁছিলাম। অন্তঃপুরের বাধা ঘুচিয়া গেল, চাকরদের ঘরে আর আমাকে কুলাইল না। মায়ের ঘরের সভায় খুব একটা বড়ো আসন দখল করিলাম। তখন আমাদের বাড়ির যিনি কনিষ্ঠ বধূ ( কাদম্বরী [কাদম্বিনী] দেবী(১৮৫৯-৮৪), জ্যোতিরিন্দ্রনাথের পত্নী) ছিলেন তাঁহার কাছ হইতে প্রচুর স্নেহ ও আদর পাইলাম…………………………..
শিশুবয়সে অন্তঃপুর যখন আমাদের কাছে দূরে থাকিত তখন মনে মনে সেইখানেই আপনার কল্পলোক সৃজন করিয়াছিলাম। যে-জায়গাটাকে ভাষায় বলিয়া থাকে অবরোধ সেইখানেই সকল বন্ধনের অবসান দেখিতাম। মনে করিতাম, ওখানে ইস্কুল নাই, মাস্টার নাই জোর করিয়া কেহ কাহাকেও কিছুতে প্রবৃত্ত করায় না— ওখানকার নিভৃত অবকাশ অত্যন্ত রহস্যময়— ওখানে কারো কাছে সমস্ত দিনের সময়ের হিসাবনিকাশ করিতে হয় না, খেলাধূলা সমস্ত আপন ইচ্ছামত। বিশেষত দেখিতাম, ছোড়দিদি ( বর্ণকুমারী দেবী) আমাদের সঙ্গে সেই একই নীলকমল পণ্ডিতমহাশয়ের কাছে পড়িতেন কিন্তু পড়া করিলেও তাঁহার সম্বন্ধে যেমন বিধান, না করিলেও সেইরূপ। দশটার সময় আমরা তাড়াতাড়ি খাইয়া ইস্কুল যাইবার জন্য ভালোমানুষের মতো প্রস্তুত হইতাম— তিনি বেণী দোলাইয়া দিব্য নিশ্চিন্তমনে বাড়ির ভিতর দিকে চলিয়া যাইতেন দেখিয়া মনটা বিকল হইত। তাহার পরে গলায় সোনার হারটি পরিয়া বাড়িতে যখন নববধূ ( কাদম্বরী দেবী) আসিলেন তখন অন্তঃপুরের রহস্য আরো ঘনীভূত হইয়া উঠিল। যিনি বাহির হইতে আসিয়াছেন অথচ যিনি ঘরের, যাঁহাকে কিছুই জানি না অথচ যিনি আপনার, তাঁহার সঙ্গে ভাব করিয়া লইতে ভারি ইচ্ছা করিত। কিন্তু কোনো সুযোগে কাছে গিয়া পৌঁছিতে পারিলে ছোড়দিদি তাড়া দিয়া বলিতেন, “এখানে তোমরা কী করতে এসেছ, যাও বাইরে যাও।” — তখন একে নৈরাশ্য তাহাতে অপমান, দু’ই মনে বড়ো বাড়িত…………………………………রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
কবি গুরুর জীবনের শেষ দিনগুলিতে তাঁর খুব কাছে থাকা শান্তিদেব ঘোষ লিখেছন-
জিজ্ঞাসা করেছিলাম বর্ষার গান রচনা করতে তাঁর ইচ্ছা আছে কিনা ! বলেছিলেন ‘ ইচ্ছা খাকলেও পেরে উঠব না, গলায় সে শক্তি নেই, ভাবতেও পারি না।’ এই সময় থেকে তাঁর অসুস্থ্যতা বেড়েই উত্তরোত্তর চলেছিল। তবু এতো শীঘ্র যে তিনি লোকান্তরিত হবেন আমরা অনেকেই তা কল্পনাও করি নি। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলো কোলকাতাররয়, আর ফিরলেন না। তখন মনে হলো, এই জন্যই হয় তো তিনি বর্ষা মঙ্গল করার জন্য এতো চঞ্চল হয়ে উঠেছিলেন। অন্তরে মৃত্যুর ডাক শুনেছিলেন নিশ্চয়ই, বুঝেছিলেন এমন বর্ষার ঋতু এবার তাঁর কাছে বৃধাই হবে যদি না সত্তর আয়োজন হয়- আমরা তাঁর সেই ঈঙ্গিত ধরতে পারি নি।…………………………….শান্তিদেব ঘোষ।
কবিগুরুর একজন ভক্ত যিনি প্রায় সময় কবিগুরুকে খুব কাছে থেকে দেখেছেন সেই রানী চন্দ লিখেছেন-
গুরু দেব চলে গেছেন, এখন তাঁর স্মৃতি নিয়ে দিন কাটছেে।শেষ দশ বছর তাঁর খুব কাছেই ছিলুম। তাঁকে প্রণাম করেই দিনের কাজে হাত দিতুম, সকালে উঠে তাঁর মুখেই আগে দেখতুম জানালা দিয়ে। অতি প্রত্যূষে অন্ধকার থাকতে উঠে বাইরে এসে একটি চেয়ারে বসতেন পূর্ব মুখো হয়ে, কোলের উপর হাত দুঁখানি রেখে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রাতরাশ শেষ করেই লেখা শুরু করে দিতেন। কোন দিন দেখতুম বসেছেন কোণার্কের বারান্দায়, কোন দিন তাঁর অতি প্রিয় শিমূল গাছের তলায়, কোন দিন মৃন্ময়ীর চাতালে, কোন দিন শ্যামলীর বারান্দায়- আম গাছের ছায়ায়, কোনদিন বাতাবিলেবুর গাছটির পাশে। সে যেন দেবমূর্তি দর্শন করতুম রোজ। মানস চোখে প্রতি দিনকার সে সব মূর্তি এখনো দেখি, আরো দেখবো যতদিন বাঁচব।………………………………….রানী চন্দ।
রানী চন্দের মত আমরাও কবিগুরু বা বিশ্ব কবি বা আমাদের রবি ঠাকুর কিম্বা আমাদের বাংলায় নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর ইংরেজদের কাছে টগোরকে আমরা প্রতি ক্ষণে দেখি, আমাদের হৃদয়ে নানান সুরে গানে, ছন্দে বেজে উঠেন তিনি। তাই তো তিনি তাঁর বিখ্যাত গানে লিখেছেন-
“তখন কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি।
সকল খেলায় করবে খেলা এই আমি– আহা,
নতুন নামে ডাকবে মোরে, বাঁধবে নতুন বাহু-ডোরে,
আসব যাব চিরদিনের সেই আমি।
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে॥” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রেটিং করুনঃ ,
বিশ্ব কবিকে নিয়ে স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে অনেক মণিষির কথা গুলি তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, রবীন্দ্রনাথকে আমার তেমন করে পড়া হয় নি, এখন আগ্রহ বাড়ছে বেশ.
ধন্যবাদ আপা, আমার তেমন কিছু পড়া হয় নি, কিছুটা পড়া হয়েছে রবীন্দ্র রচনাবলি আর তখন থেকেই কবির লেখার প্রতি বেশ আগ্রহ সেই সাথে কিছু লেখার মধ্যে রবীন্দ্রনাথের কিছু লেখা যোগ করে দেই।
বিশ্ব কবিকে নিয়ে লেখাটি প্রসংশার দাবিদার তবে আর দুই একটি মন্তব্য করলেই আপনিও অর্জন করবেন খুব শীঘ্রই :2nd:
আশা রাখি হাত ছাড়া হবে না।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আর এই মন্তব্যের মধ্য দিয়েই এখন আমার হাতে :2nd:
ধন্যবাদ। পোষ্টটি দারুনভাবে সাজিয়েছেন। প্রিয় কবির স্মৃতিময় এই লেখাটি অনেক ভালো লেগেছে।
পোষ্টে +++++
সু-চিন্তিত মতামতের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, লেখায় যে কোন মন্তব্য লেখায় উতসাহ যোগায়।
দারুন একটি পোষ্ট।
রবি ঠাকুরের গান আমাকে সবথেকে বেশি টানে। অন্য লেখা পড়েছি তবে অতটা পড়া হইনি।
ধন্যবাদ রব্বানী ভাইকে।
সুন্দর মন্ত্যব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, সেই সাথে আরও বলি যে, লেখায় যে কোন মন্তব্য লেখায় উতসাহ যোগায়।
অসাধারণ!!! এ যে এক ইতিহাস!!
আসলেই কবিগুরুকে নিয়ে লিখলে, সে লেখা ইতিহাসই হয়ে রয়!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ রব্বানী ভাই!!
আসলেই কবিগুরুকে নিয়ে লিখলে, সে লেখা ইতিহাসই হয়ে রয়!!
খুব সত্য কথা বলেছেন আসলে কবিগুরু আমাদের লেখার জগতে তিনি আমাদের জন্য উপরে উঠার একটি সিঁড়ি, কোন লেখায় যদি তাঁর কোন বাক্য বা লাইন যোগ করে দেওয়া যায় তখন আমাদের লেখাটির মানও তখন বেশ বেড়ে যায়।
বিশ্ব কবিকে নিয়ে যে ভাবে বিভিন্ন মণিষির কথাগুলি সংগ্রহ করে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন তা সত্যি প্রশংসার দাবিদার।
স্মৃতি চারণ মূলক লেখাগুলি পড়ে বেশ আবেগ প্রবণ হয়ে পড়লাম কবির প্রতি।
ঠিক কথাই বলেছেন আবেগ প্রবণ হওয়ারই কথা নানা দিক দিক দিয়ে কবিগুরুকে অনেক দুখের মধ্য দিয়ে পথ চলতে হয়েছে আর সে কারণেই হয় তো তিনি বিশ্ব কবি রূপে আজ আমাদের মাঝে।
রানী চন্দের মত আমরাও কবিগুরু বা বিশ্ব কবি বা আমাদের রবি ঠাকুর কিম্বা আমাদের বাংলায় নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর ইংরেজদের কাছে টগোরকে আমরা প্রতি ক্ষণে দেখি, আমাদের হৃদয়ে নানান সুরে গানে, ছন্দে বেজে উঠেন তিনি।