বিবিহিত জীবনের সংসার শুরুর টিপসঃ
– বাড়িতে নতুন বউ তোলার পর তাড়াহুড়া করে বিয়ে করা বউকে নিজের ঘরে প্রবেশ না করা। যতগুলি আনুষ্ঠানিকতা আছে সব শেষ করে, ভাবীরা যখন ঘরে প্রবেশের সংকেত দিবেন ঠিক তখন বউকে নিয়ে নিজের ঘরে প্রবেশ করা
– বিয়ের প্রথম রাতে, একা ঘরে বউ এর প্রথম হাতে হাত পড়লে বউ ঐ সময় জীবনের সব চেয়ে সুন্দরী হয়ে উঠে। আর ওটাই উপযুক্ত সময়, বউকে বলা যে, তুমি বিশ্বের সব চেয়ে সুন্দরী। ( কথাটা যে যার মত ঢঙে বলতে পারে) আর না বললে এর খেশারত সারা জীবন দিতে হবে। হীরক খন্ড দিয়ে পরে মুড়িয়ে দিলেও কোন কাজ হবে না।
– বিয়ের প্রথম রাতে একটা জ্যান্ত বা পুতুল বিড়াল মেরে জানালা দিয়ে ফেলে দেওয়া ।
– মোবাইল ফোন বন্দ করে রাখা।
– গরমের সময় বিয়ে হলে ফ্যান, এসি বন্দ রাখা এবং শীতের সময় বিয়ে হলে লেপ কম্বল ব্যবহার না করা।(দর্শনটি পরিষ্কার না হলে বিয়ের পরে বার্তায় জানাবেন।)
– এক জগ পানি আর একটি গ্লাস রাখা।
– সারা ঘর জুড়ে সুগন্ধি ওয়ারা অনেক গুলি ফুল রাখা।
– ঘরে কোন আয়না না রাখা। কারো কোন ছবি না রাখা। একটা চাবি ওয়ালা ওয়ারড্রপ রাখা।
– ঘরে কোন ঘড়ি না রাখা।
– পুরানা দিনের বা কোন ভারি কথা না বলা।
-ঘুমের কোন প্রশংগ না তোলা।
– প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট চাবি ওয়ালা ওয়ারড্রপের ডয়ারে রাখা।
– কোন রকমের দীর্ঘশ্বাস না ফেলা
– বিয়ে বা ভালোবাসা একটি রসায়ন শাস্ত্র এবং পদার্থ বিদ্যার মত এমন কথা প্রথম রাতে না বলা।
– প্রেমের বিয়ে না অভিভাবকের পছন্দের বিয়ের মাধ্যমে “বউ” এটি বুঝতে না দেওয়া।
– অথৈই সাগরে বা দীঘিতে পড়েছেন এমনিটি বুঝতে না দেওয়া।
– অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়- এমন কথা না বলা।
– রাতটিকে স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা না করা।
– ডিম লাইট না জ্বালিয়ে একটা চিকন ধরনের মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখা। চিকন ধরনের মোমবাতিতে আলোটা যাতে খুব হালকা হয়। আলোটাকে খুব নরম নরম মনে হয়।
– আর নূতন বউটাকে যেন সব সময় চাঁদের আলোর মত নরম একটা পরীর মত মনে হয়।
আর যাদের ঘরে বউ আছে অথচ উপরের টিপস গুলি ফলো করা হয়নি এতদিনেও। তারাও দু একটি ফলো করতে পারেন আজ।
চিকন ধরনের মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখাটা নিজের কাছে আজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও দার্শনিক ধরণের মত মনে হচ্ছে। বাসায় ফিরার পথে চিকন ধরনের একটা মোমবাতি কিনব ভাবছি আজ।। আর এবার নিজের জন্যও বহুকাল বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করছে।।
রেটিং করুনঃ ,