Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

বিএনপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকে আবার জেলে পাঠানো হবে: শেখ হাসিনা (২০২২)

Share on Facebook

বাসস ঢাকা

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বিএনপিকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি যদি বাড়াবাড়ি করে, তবে খালেদা জিয়াকে আবারও জেলে পাঠানো হবে।

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা হয়। সেখানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদি বিএনপি বেশি বাড়াবাড়ি করে, তবে খালেদা জিয়াকে আবারও জেলে পাঠানো হবে।’

আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) অসুস্থ, বয়োবৃদ্ধ; তাঁর বোন, ভাই, বোনের জামাই আমার কাছে এসেছেন, আবেদন করেছেন। আমরা তাঁর সাজাটা স্থগিত করে তাঁকে বাড়িতে থাকার সুযোগ দিয়েছি। মানবিক কারণেই দিয়েছি। কিন্তু যদি ওরা বেশি বাড়াবাড়ি করে, বিএনপি যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে, তাহলে আবার জেলে পাঠিয়ে দেব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে তাদের (বিএনপি) কী অবস্থা, আজকে তাদের গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হবে। যে দলের জন্ম সামরিক শাসকের পকেট থেকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর দ্বারা, তারা আবার গণতন্ত্র কী উদ্ধার করবে? সেটাই আমার প্রশ্ন। আবার সেই কথা শুনে কিছু লোক তাদের সাথে তাল মিলায়। এদের জ্ঞান-বুদ্ধি কোথায় থাকে? তারা কি বাস্তবটা বুঝতে পারে না? আর নেতৃত্ব কোথায়? বিএনপি যে লাফালাফি করে, তাদের নেতা কই?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত, তাঁর সাত বছরের সাজা হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা, এতিমদের নামে বিদেশ থেকে যে মোটা অঙ্কের টাকা এসেছিল, সেই একটি টাকাও এতিম পায় নাই বা ওই ট্রাস্টের সব টাকা গেছে নিজের নামের নিজের অ্যাকাউন্টে। সেখানেও সে ধরা খেয়েছে এবং মামলা হয়েছে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার সেই মামলা দিয়েছে এবং ১০ বছরের জেল হয়েছে। তাদেরই প্রিয় ইয়াজউদ্দিন, মইনউদ্দিন ও ফখরুদ্দীন গং এই মামলা দিয়েছে।’ অন্যদিকে তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।

দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুরুতে বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার খুনিদের জিয়াউর রহমান বিদেশে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসিত করলেও ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তাদের বের করে দেয়। কিন্তু ২০০১ সালে খালেদা জিয়া যখন বিচারের রায়ের তারিখ পড়েছে, খুনি বিচারের কাঠগড়ায়, সেই সময় খুনি খায়রুজ্জামানকে, যে ৩ নভেম্বর জেলহত্যায়ও জড়িত, তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাকরি এবং প্রমোশন দেয় এবং মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার করেও পাঠায়। খুনি পাশাকে বিদেশে মৃত অবস্থায় প্রমোশন দেয় এবং তার ভাতা ও সব ধরনের বেনিফিট পরিবারকে দেয়। তাহলে কী করে অস্বীকার করবে এ হতাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত নয়। ৩ নভেম্বর বা ১৫ আগস্টের হত্যার সঙ্গে জিয়া যে জড়িত নয়, তা কীভাবে অস্বীকার করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে খুনি রশিদকে ভোট চুরি করে খালেদা জিয়া পার্লামেন্টে বসানোর মাধ্যমে খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। আর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়া যে সম্পূর্ণভাবে জড়িত, তাতে আর কোনো সন্দেহ নেই। কারণ, সংসদে এ নিয়ে আওয়ামী লীগকে আলোচনা করতে দেওয়া হয়নি। উল্টো খালেদা জিয়া বলেন তিনি (শেখ হাসিনা) ভ্যানিটি ব্যাগে গ্রেনেড নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। অর্থাৎ একটি অপরাধ করার পর পরে সেই অপরাধটা অন্যের ঘাড়ে চাপানোর ট্রিকসটা তাঁরা ভালোভাবেই জানেন।’

ক্ষমতায় থাকাকালে অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী নির্বাচন এবং তাঁদের গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সিআরআই তছনছ এবং ফাইলপত্র ও কম্পিউটার সিজ করে নেওয়ার উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্টির কাজও করতে দেবে না। এই হলো খালেদা জিয়ার গণতন্ত্রের নমুনা। আমাদের দলের ওপর যে অত্যাচার তারা করেছে, কই আমরা তো তার প্রতিশোধ নিতে যাইনি। আমরা আইনগতভাবেই যা করার করেছি। খুনিদের বিচার করেছি। আর যে খুনিদের তারা রক্ষা করেছে, যুদ্ধাপরাধী যাদের ফাঁসির রায় হয়েছে, তাদের কেবিনেটের মন্ত্রী করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বিএনপির অপতৎপতার সমালোচনা করে আরও বলেন, ‘দেশের জনগণ কি একটু ভেবে দেখেছে এই লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদীরা (বিএনপি-জামায়াত) ক্ষমতায় আসলে দেশের অবস্থা কী হবে? করোনা মহামারিসহ দুঃসময়ে বিএনপির অস্তিত্ব কোথায় ছিল? তারা তো জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি। বিএনপি যে এত লম্ফঝম্প করছে আর স্বপ্ন দেখছে জনগণ ভোট দিয়ে ভরে দেবে—এত সহজ নয়। দেশের জনগণ কি বিএনপির শাসনামলের হাওয়া ভবন, দুঃশাসন, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, দুর্নীতি, লুটপাট, নির্যাতনের কথা ভুলে যাবে? ভুলবে না। দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গেই আছে, বাংলাদেশকে আর কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমান রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে। তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে সাড়ে তিন হাজার মানুষকে দগ্ধ করেছে, শত শত মানুষকে পেট্রোলবোমা মেরে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। যত কিছু ধ্বংসাত্মক কাজ করতেই তারা (বিএনপি) পারদর্শী। বিএনপি-জামায়াত জোটের সেই ভয়াল দুঃশাসন, অত্যাচার-নির্যাতন, হাওয়া ভবনের কথা কি দেশের জনগণ ভুলে যাবে? কেন দেশের জনগণ তাদের পাশে থাকবে?’

সূত্র:প্রথম আলো।
তারিখ:নভেম্বর ০৩, ২০২২

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

,

নভেম্বর ২৫, ২০২৪,সোমবার

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ