ছেলেটা ও মেয়েটা পার্কের একটি গাছ তলায় বসে নানান কথা বলতে বলতে ওরা প্রেমিক যুগোল হয়ে গেল। কথার ফাঁকে ফাঁকে ওরা বাদাম খেত।
মেয়েটা ( শ্রাবণী ) ছেলেটাকে (আষাঢ় ) বলল আচ্ছা বলতো বাদামের কোন অংশটা তুমি আর কোন অংশটা আমি !!
আষাঢ় বলল – আমি হচ্ছি বাদামের খোসাটা, তোমাকে লুকিয়ে রাখেছি আমার বুকের অনেক ভিতরে, যাতে তোমার পাড়ার দুষ্টু, বদমাশের হাড্ডিরা, পাতি মান্তনরা তোমাকে ডিসট্রাব করতে না পারে। আর তুমি হচ্ছো বাদামের ভিতরেরটা। আমার অন্তর, তোমার সেনানিবাস, তোমাকে নানান শত্রু থেকে রক্ষা করি। এই জন্যই তো তোমাকে আমি এত শত কোটি ভালোবাসি। আষাঢ়ের কথা শেষ হতে না হতেই সে রবীন্দ্র সংগীতের সুরে সুরে গাইতে থাকলো :
” ভালোবাসি, ভালোবাসি–
এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায় বাঁশি॥
আকাশে কার বুকের মাঝে ব্যথা বাজে,
দিগন্তে কার কালো আঁখি আঁখির জলে যায় ভাসি॥
সেই সুরে সাগরকূলে বাঁধন খুলে
অতল রোদন উঠে দুলে।
সেই সুরে বাজে মনে অকারণে
ভুলে-যাওয়া গানের বাণী, ভোলা দিনের কাঁদন-হাসি॥
( রবীন্দ্র নাথ )
আর এ দিকে আষাঢ়ের গান গাওয়া শেষ হতে না হতেই বেশ রেগে গিয়ে শ্রাবণী বলল – তা হলে তোমার এখন থেকেই বাদাম খাওয়া বন্দ, শেষে কিনা তুমি আমাকে তোমার সূচালো দাঁত দিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে খাবে। আষাঢ়ের বাদাম খাওয়া বন্দ আর ছেলেটা আষাঢ়ের ধারায় কাঁদতে থাকলো। আহা ছেলেটার কি যে কান্না !! আহা …….।
( নোট: যত দিন বেঁচে আছি এ-ধরায় শেষ বা শেষ দিন বলে কিছু নেই, লেখার কোন না কোন মঞ্চে আমরা লিখে যাব অবিরত। লেখার মঞ্চে সাময়িক লেখার অসুবিধা হলেও তা এক সময় কেটে যাবে আর এর জন্য দুঃখ করার কিছু নেই, লেখার জন আছে এক অনন্তঃ ভুবন যা সব সময় সম্ভবনার কথা বলে)
তারিখঃ সেপ্টম্বর ০৩, ২০১৪
রেটিং করুনঃ ,