যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী শুক্রবার পোল্যান্ড সফর করবেন। এর আগের দিন ব্রাসেলসে তিনি ন্যাটো জোট ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। হোয়াইট হাউস এ কথা জানিয়েছে বলে আজ সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ওয়ারশতে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে দুদার সঙ্গে বৈঠক করবেন বাইডেন। ইউক্রেনের যুদ্ধে মানবিক সহায়তা নিয়ে কথা বলবেন তিনি। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে ছেড়ে যাওয়া প্রায় অর্ধেক মানুষ সীমান্তবর্তী দেশ পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে।
হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘রাশিয়ার অন্যায্য ও বিনা প্ররোচনায় চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে ইউক্রেনে সৃষ্ট মানবিক এবং মানবাধিকার সংকট আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে মোকাবিলা করবে, প্রেসিডেন্ট সে বিষয়ে আলোচনা করবেন।’
আজ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে বাইডেনের ফোনালাপের কথা রয়েছে।
ন্যাটো সামরিক জোট, ইউরোপিয়ান কাউন্সিল এবং জি–সেভেনের বৈঠকে অংশ নিতে আগামী বুধবার ব্রাসেলস যাবেন বাইডেন। তবে এই সফরে তাঁর ইউক্রেন সফরের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে হোয়াইট হাউসের নারী মুখপাত্র জানিয়েছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন বাইডেন।ইউক্রেনে রুশ হামলার অন্যতম ইস্যু ছিল কিয়েভের ন্যাটো জোটের সদস্য হওয়ার পদক্ষেপ। ইউক্রেনের ন্যাটো জোটের সদস্য হওয়া নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে নিয়ে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। শুরুতে ন্যাটো জোটের সদস্য হওয়ার বিষয়ে অনড় মনোভাব দেখায় ইউক্রেন। তবে হামলা শুরুর পর সুর নরম করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে কিয়েভ ন্যাটো জোটের সদস্য হওয়ার পথ থেকে সরে আসতে রাজি বলেও জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। চলমান যুদ্ধে ন্যাটোর ভূমিকায় হতাশা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনকে সদস্য করতে ভয় পায় ন্যাটো।
ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি না জড়ালেও কিয়েভকে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে ন্যাটো ও ইইউর সদস্যদেশগুলো। অবশ্য ইউক্রেনের আকাশসীমায় নো-ফ্লাই জোন ঘোষণায় দেশটির প্রেসিডেন্ট অব্যাহতভাবে আহ্বান জানিয়ে এলেও সাড়া দিচ্ছে না ন্যাটো। এতে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের ঝুঁকি আছে বলে মনে করছে তাঁরা।
ইউক্রেনে রুশ হামলা আজ ২৬তম দিনে গড়িয়েছে। কয়েক দফার সংলাপে দুই পক্ষ কিছুটা অগ্রগতির কথা জানালেও সহসাই যুদ্ধ বন্ধের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ন্যাটো ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই সংকট মোকাবিলায় পশ্চিমা দেশগুলোর কৌশল পর্যালোচনার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: মার্চ ২১, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,