এখন মধ্য চৈত্র আর প্রায় দুই সপ্তাহ পরে বাংলা নব বর্ষের সূচনা যা শুরু হবে পহেলা বৈশাখের মধ্য দিয়ে।
এগিয়ে যাওয়ার এই দেশে প্রতি বছরই পহেলা বৈশাখ আসছে নূতন ধারায় ও কাঠামোর মধ্য দিয়ে, আজ থেকে ৪৫ বছর আগে এ দেশে ( তৎকালিন পূর্ব পাকিস্থান) কী ভাবে পহেলা বৈশাখ পালিত হত তা আমাদের জানা নেই তবে এখন বলা যায় এ উৎসবের যাত্রা শুরু হয় মহা এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে।
দিনে দিনে এই উৎসবের আয়োজন মহা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানান আয়োজনের ব্যবস্থা করছে বিশেষ করে ফ্যাসন হাউজগুলি বৈশাখ কেন্দ্রিক পোশাক তৈরী করছেন যা দেশের অর্থনীতির চাকাকে আরও দ্রুত গতিতে চালিয়ে রাখতে সামর্থ হচ্ছে।
লক্ষণীয় যে নব-বর্ষ বা নুতন বর্ষের আগমন উপলক্ষ্যে বিশ্বের মধ্যে চীন এমন এক মহা উৎসবের আয়োজন করে থাকে যা সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়, বিশ্বের নানান দেশের বাজার অর্থনীতির উপর যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে। এই দেশটি নব-বর্ষ পালন উপলক্ষ্যে সে দেশের কলকারখানাগুলি প্রায় ১৪ দিন থেকে ২১ দিন বন্দ থাকে আর সারা বিশ্বে তখন তাদের দেশের পন্য সরবহরাহে বিঘ্ন ঘটে। নব-বর্ষকে কেন্দ করে চীন কেন এক মহা উৎসবর আয়োজন করে তা আমাদের জানা নেই তবে আমাদের দেশেও বাংলা নব-বর্ষের গুরুত্ব আরো বাড়বে এ আমাদের আশাবাদ, বাংলা মাসের ব্যবহারে আমাদের এখনও বড় ধরনের ঘাটতি আছে বাংলা মাসের তারিখের উপর ভিত্তি করে আমাদের কোন দিবসই পালন হয় না একমাত্র পহেলা বৈশাখ ছাড়া।
মাতৃ ভাষা দিবস, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস সবই ইংরেজী মাসের তারিখের উপর ভিত্তিতে নির্ধারণ হয়ে আছে। শুধু শিশুরা নয় আমরা বড়রা বা এমন কি যারা লেখালেখির মধ্যে থাকি তাঁরাও অনেক সময় বাংলা মাসের সঠিক তারিখটি বলতে পারি না। পহেলা বৈশাখের মধ্যে দিয়ে. বৈশাখ মাসের মধ্য দিয়ে আমাদের সকলের চেতনায় ফুটে উঠুক বাংলা চর্চার আসল রূপ। হাজার বছরের আমাদের বাংলা ঐতিয্যকে সঠিক ধারায় আমরা চালিত করতে পারব অনন্তঃ কাল ধরে এ বিশ্বাস আমাদের আছে তবে আরও কিছু দিবস আমাদের বাংলা তারিখে পালন করা বা নির্ধারণ হওয়া উচিত।
তারিখ: এপ্রিল ০১, ২০১৪
রেটিং করুনঃ ,