ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বাংলাদেশের জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
পিটার হাস আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন পরিচালনার স্বার্থে তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আনুষ্ঠানিক না হলেও বাংলাদেশে যে নির্বাচনের প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে পত্রিকায় চোখ বুলালেই সেটা দেখতে পাই।
তাই এখন থেকেই (নির্বাচনের বিষয়ে) আমাদের দিক থেকে অবাধ, সুষ্ঠু এবং আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন হচ্ছে কিনা সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখাটা জরুরি।
আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিকাব টক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পিটার হাস এমন মন্তব্য করেন। ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শ্রীলঙ্কার চলমান অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশও এ ধরনের ঋণের ফাঁদে পড়তে পারে এমন মন্তব্য করা হচ্ছে। এ বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন জানতে চাইলে পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশ কিন্তু শ্রীলঙ্কা নয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি তার নিজের মতো। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট ভালো করেছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বেশ ভালো। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে এর শর্তগুলো কেমন তা নিয়ে বাংলাদেশ যথেষ্ট সচেতন।
বাংলাদেশের ঋণের ক্ষেত্রে চীনের হার তুলনামূলকভাবে বেশ কম।
পিটার হাস আরও বলেন, বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের বড় অংশ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), বিশ্ব ব্যাংক ও জাপান। তাই শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এক করে দেখার সুযোগ নেই। তবে বাংলাদেশের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে না এমনটা নয়।
টাকার অবমূল্যায়ন, খাদ্যপণের মূল্যবৃদ্ধি, সামগ্রিকভাবে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে বৈশ্বিক বাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সব মিলিয়ে বাংলাদেশের জনগণের ওপর খরচের বোঝা বাড়বে। মৌলিকভাবে বলতে গেলে শ্রীলঙ্কার তুলনায় বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জগুলো আলাদা।
ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দীন।
জবাবদিহি ছাড়া র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই: পিটার হাস।
ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, জবাবদিহি নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানবাধিকার আইন মেনে চলা ছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিকাব টক অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিকাব) আয়োজনের ওই অনুষ্ঠানে পিটার হাস বলেন, র্যাবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সুরাহায় সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা ও বাহিনীটিকে জবাবদিহির আওতায় আনার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। জবাবদিহি ছাড়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। র্যাবকে মানবাধিকার আইন মেনে চলতে হবে।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র র্যাবকে কার্যকর একটি বাহিনী হিসেবে দেখতে চায় বলেও জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, আগামী ২ জুন ওয়াশিংটনে দুই পক্ষের মধ্যে অর্থনীতি বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের সংলাপ অনুষ্ঠান হবে। সেখানে শ্রম অধিকার গুরুত্ব পাবে।
বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পাওয়া এবং উন্নয়নবিষয়ক তহবিল থেকে আর্থিক সুবিধা পেতে হলে পূর্ণাঙ্গ শ্রম অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বাস্তবায়ন করতে হবে।
ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দীন।
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: মে ৩১, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,