Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

বাংলাদেশকে চীন চায় যুক্তরাষ্ট্র-ভারত জোটের বিরুদ্ধে (২০২১)

Share on Facebook

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ভারতসহ চারটি দেশের কৌশলগত অনানুষ্ঠানিক নিরাপত্তা সংলাপ বা কোয়াড নিয়ে চীন তার উদ্বেগের কথা বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন অব্যাহত রাখার স্বার্থে বাইরের শক্তির এমন ‘সামরিক জোটের’ বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে পাশে পেতে চায় চীন। তবে চীনের প্রস্তাবে বাংলাদেশ কোনো সাড়া দেয়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি ঢাকা সফরের সময় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে কোয়াড নিয়ে বেইজিংয়ের অস্বস্তির কথা জানান। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলে কোয়াড যাতে আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে, সে জন্য দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও বেইজিংয়ের প্রত্যাশা তুলে ধরা হয়েছে।

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের উপস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কৌশলগত জোট ‘কোয়াড’ নামে পরিচিত।

গত মঙ্গলবার প্রায় সাত ঘণ্টার সফরে ঢাকায় আসেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এ সময় তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন। সফরের শুরুতে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এই প্রথম চীনের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে শ্রদ্ধা জানাতে গেলেন। এমনকি ২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে এলেও তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা জানাতে যাননি। এবার সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় এসে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী চীনের গুরুত্বপূর্ণ একজন মন্ত্রীর প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাওয়াটা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

ঢাকা সফরের সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কোয়াড নিয়ে কোনো আলোচনা করেছিলেন কি না, তা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ২৭ এপ্রিল রাতে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া ঢাকা থেকে ‘বাংলাদেশ, চীন সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাইরের কোনো শক্তির সামরিক জোট গঠনের চেষ্টা এবং আধিপত্য বিস্তার রুখতে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে দুই পক্ষের যৌথ প্রয়াস চালানো উচিত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত বৃহস্পতিবার তাঁর দপ্তরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে কোয়াডের প্রসঙ্গটি আলোচনায় তুলেছেন বলে জেনেছি। তিনি চীনের অবস্থানের কথা বলে গেছেন। তিনি যা বলেছেন, তা বাংলাদেশ সমর্থন করে এমনটা নয়। তিনি যা বলেছেন বাংলাদেশ শুনেছে। কৌশলগত উদ্যোগের বিষয়ে বাংলাদেশ সব সময় বলে আসছে দেশের স্বার্থ সমুন্নত রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপাদান থাকলে বাংলাদেশ তাতে যুক্ত হবে। কোনো উদ্যোগে নিরাপত্তার বিষয়টি থাকলে বাংলাদেশ তাতে যুক্ত হবে না।’

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের একপর্যায়ে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি বেইজিং-দিল্লি এবং বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্কের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। এ সময় জেনারেল ওয়াং গালোয়ান উপত্যকায় ভারতের সঙ্গে গত বছরের সীমান্ত সংঘাতের প্রসঙ্গ টেনে উল্লেখ করেন, ভারত সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করায় সেখানকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তবে দুই পক্ষ আলোচনা করে সীমান্তে এখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখেছে।

জানা গেছে, এরপর বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে গিয়ে জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি মার্চে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে আয়োজিত কোয়াড শীর্ষ নেতাদের ভার্চ্যুয়াল আলোচনার কথাটি তোলেন। অবাধ ও মুক্ত ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরের নামে চীনবিরোধী একটি জোট হচ্ছে বলে রাষ্ট্রপতির কাছে মন্তব্য করেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। মার্কিন উদ্যোগ ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলের (ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি—আইপিএস) বিরোধিতার কোনো ইচ্ছে চীনের নেই। চীন এ অঞ্চলের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে চায়। তাই উন্নয়নের স্বার্থে শান্তি ও স্থিতিশীলতা জরুরি। চীন কারও সঙ্গে সংঘাতে যেতে চায় না। তাই এ অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখার স্বার্থে বাংলাদেশকে পাশে চায় চীন।

তবে সরকারের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন, চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন আকাঙ্ক্ষা বা প্রত্যাশার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি কোনো মন্তব্য করেননি।

সূত্র: প্রথম আলো
তারিখ: মে ০১, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ