বর্ণিলা সূচনা কথা- পর্ব- ৪৪ (চৌচল্লিশ)
ক্রমাগত বর্ণিলা অবর্ণিল হচ্ছে; ম্লান, শুকেয়ে যায় ফুল, শুকায়ে যাওয়া জীবন। মুখো-মন্ডোলে বিভ্রান্তির ছাপ তারপরও সহজ জাত হাস্যজ্জ্বৌল বিদ্যামান তবে ঘাটতি আছে সেখানে। পোষাকে কোন নতুনত্ব নেই সবই একঘুঁয়েমী, নিরানন্দ।
অলোকের সাথে কথা হলো এই উচ্ছ্বাসহীন জীবনের পিছনে যা তা কর্ম ক্ষেত্রের প্রত্যক্ষ প্রভাব, ঘরে ফিরার পথে, ঘরে অনবরত নানান প্রশ্ন দৈনিক কর্মের উপরে। কর্ম-ক্ষেত্র আর ঘর প্রায় একাকার যা ফুটে উঠেছে চলাচলে মুখো-মন্ডলে। কর্মে এই একাগ্রচিন্ত অবশ্যই একদিন ভালো সাফল্য এনে দিবে। বর্ণিলা জানে সময়ের কাজ সময়ে ঘর, কর্ম-ক্ষেত্র, রুটিন কাজ এগুলিকে ভাগ করে নিতে হয়। একঘুঁয়েমী কাজ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে বৈচিত্রতা প্রয়োজন সেটা যে জানে এবং করে, তবে এবার কর্ম-বলয় থেকে সহজে বের হতে পারছে না; আশা রাখা যায় সব কাটিয়ে একটি সাফল্যময় জীবনে প্রবেশ করবে আর তুলে আনবে একের পর এক সাফল্য। তখন আবার নানান বর্নে বর্ণিলা আবারো বর্ণিল হয়ে উঠবে, উঠবে আলোকিত হয়ে।
অলককে জানালো ছুটির দুই দিনে ঘর দুয়ার গুছাবে তার ভাবনা বাস্তব-মুখি। কিন্তু অলক থাকলো কল্পনায় আর ভয়ের উপর থেকে ভর করে হিসাবের খাতায় কেবল মিলছে এক ধরণের শূন্য যা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম।
নিজের জীবন নিয়ে চিন্তা পরিকল্পনার চেয়ে বড় হচ্ছে অভিজ্ঞতা; অভিজ্ঞতা সেই অর্জন করে যে পথে নেমেছে, ঝুঁকি নিয়েছে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে অলোক আজ বুঝতে পারে তার অভিজ্ঞতার ভান্ডার প্রায় খালি, অনেক কিছু জমে নি আর জমলেও সময়ের প্রবাহে তা অকেজো প্রায়।
বর্নিলার অভিজ্ঞতা ভান্ডার যেমন পরিপূর্ন হচ্ছে অলোক এখনো চায় তারও অভিজ্ঞতার ভান্ডার কানাকানায় পরিপূর্ণ হোক।।
তারিখ: জানুয়ারী ১৩, ২০২৩
রেটিং করুনঃ ,