বর্ণিলা এখন অফিস সময়ে অলকের প্রতি মূহুর্তের দৃষ্টিতে বন্দী, বর্ণিলার বসার আসনটি অলকের প্রায় সামনে, প্রতি মূহুর্তে তার চলাচলা, পদক্ষেপ এখন নখে দর্পনে। এ এক মহা সৌভাগ্যের উপহার; এমন সুযোগটা অনেকের জীবনে নেই অলক তা ভালো করে বুঝে, উপলদ্ধি করে। প্রতি মুহুর্তের কথোপকথন, চলাচলের ভঙ্গিমা, নান্দনিক ও বাহারী পোষাক,কাজের প্রতি একাগ্রতা, হাস্যজ্জ্বোল চেহারায় যা ফুটে উঠে অলকের তা অনুপ্রেরণা এই বিশাল পৃথিবীতে ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য।
বর্ণিলা কখনও বাড়তি ভাবে নিজেকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে না, সেটি স্বাভাবিক সেটাই যেন তার চলার মন্ত্র; কাউকে আকৃষ্ট করার কোন বাড়তি কৌশল সে দেখায় নি বা তার নিজস্ব জগৎ ছাড়া বাড়তি কোন জগতের প্রতি তার কোন প্রচেষ্টা নেই।
বর্ণিলাকে একনিষ্ট, একান্ত ভাবে, খুব গোপনে আরও কতদিন দেখে যেতে পারবে এই চিন্তাটা অলককে বড় বিচলিত করে, তারপরও অলক বর্তমানকে খুব গুরুত্ব দিয়ে বর্ণিলাকে প্রতি ক্ষণ দেখার মধ্য দিয়ে যে অলকের সমুদ্র থেকে মহা মূল্যবান সম্পদের আহরন করে যাচ্ছে। হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি এখন অলককে বেশি ভাবায় না।
বর্ণিলাকে দেখার মধ্য দিয়ে যেন জীবনে তার যাবতীয় চাওয়া মিঠে যা্ছে। এক সময় অনেক কিছু থেমে যায় বর্ণিলাও হয় তো অলকের জীবন থেকে থেমে যাবে এটি খুব স্বাভাবিক তাই বলে অলক এখন বর্ণিলা বলয় থেকে দূরে সরিয়ে নিতে চায় না। বর্ণিলা একদিন প্রবল অপূণর্তার বিষয় হয়ে দাড়াবে এটি যেমন সত্য তেমনই সত্য একদিন বর্ণিলাকে হারানোর কষ্টকে বরণ করে নেওয়া।
বর্ণিলা আলো দিয়ে যাচ্ছে, আলোক ময় জীবনের আশা দিয়ে যাচ্ছে, সাহস বাড়িয়ে দিচ্ছে এটাই অলকের বড় পাওয়া বর্ণিলাকে কাছাকাছি পাওয়ার মধ্য দিয়ে।
[sb]তারিখ: ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২১ [/sb]
রেটিং করুনঃ ,