বর্ণিলা সূচনা কথা- পর্ব- তেতাল্লিশ
বেশ সময়কাল ধরে বর্ণিলার জীবন কিছুটা শুকায়েছিল মেরুডন্ডে সমস্যা চিকিৎসায় উপর থেকে স্বাভাবিক, ভিতরে আক্ষেপ কেন যে এই রোগ আমার হলো। সব মিলিয়ে বর্ণিলা স্বাভাবিক অলকের তেমন খেয়াল নেই তার চলাচলে; প্রায় তিনটা মাস চলে গেল তেমন কোন আগ্রহ রেখা নেই কিন্তু ম্লানতা নেই চেতনায়, এখনও উন্নত অবস্থানে।
বর্ণিলা নিজে, কর্ম দায়িত্বে উর্ধ্ব-মূখি, সুযোগ পেয়েছে সুযোগের ব্যবহারও করেছে কিন্তু দায়িত্ব পালনে অনেকটাই কর্তত্বপরায়ন, যেন দিশাহারা। কখনো উচ্চ-স্বর, অসালীন উচ্চারণ, হুমকি এইসব।
অলক এমন আচরণকে ভালো মনে নেয় নি তার বারবার মনে হয়েছে নিচু পরিবেশ আর স্বল্প-বুদ্ধির কারণে এই বহিঃপ্রকাশ।
কয়েকদিন পরে অলক স্বাভাবিক ভাবে নিল কারণ এখন জীবন কর্তত্বপরায়নের বৃত্তে বন্দি- এইভাবে যারা চলে তারাই এগিয়ে যায়। অলকও এখন আর কোন একক নীতিতে চলতে চায় না, একটি বহু-মূখি কৌশলে চলতে চায় সবার সাথে মিশতে চায়। অনুরাগ যে মানুষকে শুধু মাত্র ঠকিয়ে চলে….. তাই মন খোলা হয়ে চলতে চায়। কথা বন্দ রাখার যে একটি প্রবণতা ছিল যেখান থেকে বেড়িয়ে পড়াটাই এখন জরুরী। যেমনটা বর্ণিলা তেমনটাই হতে চায় অলক।
তারিখঃ ডিসেম্বর ২১, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,