বর্ণিলা সূচনা কথা- পর্ব-আঠাশ।
অলক বুঝতে পারে বর্ণিলার ভীতরে অনেক চাপ বিদ্যামান, কর্মক্ষেত্রেও বেশ প্রতিবাদিও হয়ে উঠে, মুখে যে উচ্ছ্বাস তা মনের ভীতর থেকে কিছুটা হলেও কষ্ট করে আনা যা তার কর্ম উদ্দিপনা বাড়ায়, কাজে শক্তি যোগায়। অফিসে যাওয়া আসাটা প্রায় অনিশ্চিত। রুটিন মত অফিস থেকে বের হতে পারে না বা হয় না।
পাখির কিচিমিচির বা কলকল শব্দ এখন প্রায় ম্লাণ। সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না তার ওয়ার্ক ষ্টশনে, মুখোমন্ডল আরো ম্লাণ, মুখে মলিন ভাব, তবে কাজের ক্ষেত্রে এখনও যে সে একনিষ্ট, একাগ্র চিত্ত এখানে কোন ভাটা পড়ে নি।
ফোনালাপে সাংসারিক একটি সংকটের সূচনা জানান দিল, উদয়মান এই সংকটে ভুগছিল কয়েকদিন ধরে বা এখনো ভুগছে (ভালো হতে চাই না, আরো খারাপ হতে চাই) সংলাপে অনেক দৃঢ় চিত্তের মনে হলো যেন সে এখন পরিপক্ক, নিজের সমস্যার সমাধান নিজেই করতে পারে। অলকের জ্ঞান ভাবনায় আসে না পৃথিবীর মানুষগুলি কেন এমন ! কি কারণ যে বর্ণিলাকে একটি শৃঙ্খলে বেঁধে তাকে মানসিক যন্ত্রানা নিয়ে বসবাস করতে হবে ! খুব টান টান অবস্থানে থাকলে বর্ণিলা মুখে আঙুল দেয় কয়েকদিন ধরে তা বেশ নিয়মিত, নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
জীবনটা এমনই বাইরে খেকে একজন মানুষের ভীতরটা কিছুতেই দেখা যায় না অনেক কিছু অজানা থাকে আমাদের, যা বাইরে দিয়ে বিবেচনা করতে চাই।
বর্ণিলাকে না দেখা যেন অর্থহীন জীবনের পর্যায়ে নিয়ে যায় তাই অলকের সকল সময়ের চাওয়া বর্ণিলা থাকুক সকল সময় নানান রঙে বর্ণিল হয়ে, উচ্ছ্বাসের ধারা হয়ে, ঝর্ণার ধারার মত কেবলি অবিরাম দ্রুত বেগে ছুটে চলা যেখানে জীবন গতিময়।
তারিখঃ অক্টোবর ২৭, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,