মাঝে বর্ণিলার ছুটি কাটানো অলককে অসহায় করে তোলেনি বর্ণিলা ছিল ভ্রমণে । তবুও কিচিমিচির শব্দের অনুপস্থিতি কিছুটা হাহাকার জাগায় অলকের মনে, শূন্যতার কিছু বৈশিষ্ট স্পষ্ট হয়। বর্ণিলা যেন একটি কম্পাসের মত চোখের আড়ালে হলেও কোন এক অবস্থানে বর্ণিলা আছে আর সেই দিকে থাকে অলকের দৃষ্টি। এই ভাবে অলকের সময় কেটে গেল আর অলকেরও মনে একটি বা বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকায় বর্ণিলার শূণ্যতাটি একটি কাটাকাটির মধ্যে থেকে অলক ছিল হালকা অবস্থানে।
অলকও বেড়িয়ে ছিল একটি প্রায় বড় ধরণের ভ্রমণে, ভ্রমণের ব্যস্ততায় বর্ণিলার শূণ্যতা তেমন প্রবল রূপ নিতে পারে নি। ভ্রমণের উপভোগ, মুগ্ধতা বেশি দাপিয়ে বেড়িয়েছে তাই অলক ছিল খুব শান্ত, বর্ণিলাহীন থেকেও অলকের সময় ভালো কেটেছে সময়ও।
ছুটি শেষে অলক বর্ণিলার প্রথম দিনেই কর্ম-স্থলে আসা তবে বর্ণিলার দুইদিন বেশি ছুটি কাটানো। বর্ণিলা এসেছিল খুব পরিপাটি পোষাকে, ছিল কর্ম-স্থলের প্রথম দিনের সভাতে সামনা-সামনি বসার সৌভাগ্যে দৃষ্টিতে ধরা পড়ে না, তবে অলকের চোখ ছিল পাকা জহুরীর মত, গভীর সমুদ্রে নাবিকের মত বা বর্তমানের চৌকষ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের মত। পোষাক, চুল, চোখ, নাক, রঙ, রেখা আকৃতি এই সব পর্যবেক্ষণের কেন্দ্র।
আঁকা-বাঁকা যে ভূমি-তল, কখনও উঁচু, উঁচু-নিচু, মালভূমি, পাহাড়ী, টিলা অনুভূতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকা যেখানে সুখ খেলা করে দীঘিতে হাঁসের মত।
অলক নিজেই বর্ণিলাকে ডেকে ভ্রমণের ছবি দেখালো, সে দেখলো; কোন প্রশ্ন করে নি তবে দাঁড়িয়ে ছিল শান্ত একজন ভক্তের মত।
ভ্রমণ থেকে নিয়ে আসা সামান্য গিফট তিনজনের মধ্যে অলক বর্ণিলাকেও ডেকে দিল এখানেও সে ছিল একজন ভক্তের মত। এটি অলকের একটি সাফল্য, অনেক দূরে এগিয়ে যাওয়ার মত।
বর্ণিলার প্রভাবে যে আলোর বলয়ে অলক বন্দি, সেই বন্দি দশা আরও দীর্ঘ হোক এটাই অলকের লক্ষ্য। জীবনে বেঁচে থেকে যতটা সুখে শান্তিতে থাকা যায় উচ্ছ্বাসে থাকা যায় বর্ণিলার আলোকচ্ছ্বটায়।
তারিখঃ মার্চ ২৯, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,