বর্ণিলা সূচনা কথা- পর্ব- আঠারো
এখন অলকের কাছে মনে বর্ণিলা সকালের কিচিরমিচির পাখি। কর্ম-ক্ষেত্রে এসেই বর্ণিলার কিচিরমিচির শব্দ তার কানে আসে আর তখন থেকে নতুন জীবনী শক্তির সূচনা। নানান স্বপ্নের আলোক শিখায় অলক আলোকিত হতে থাকে। স্বপ্নময় জীবন থেকে বাস্তব জীবনের পথে যাত্রা, সাফল্যময় জীবেনর পথে যাত্রা।
ইদানীং খুব কঞ্চিৎ বর্ণিলা ও অলকের একসাথে অফিস থেকে ফেরা হয় কিন্তু অনেক কলিগ বর্ণিলার যাওয়াটাতে আগ্রহ দেখায় না, তখন অলক ভাবে মানুষের মধ্যে মানবতাবোধের এত অভাব কেন! কেন মানুষ আরও একটু মানবিক হয় না।
রাত হলে বর্ণিলা কিভাবে একা একা বাসায় ফিরবে এমন শঙ্কা কেন ইদানীং মানুষের মধ্যে কাজ করে না! কেন দিনে দিনে মানুষ নিজের কথাটাই ভাবে, কেন মানুষের মধ্যে এতো স্বার্থপরতার জন্ম নিচ্ছে!
অলক বর্ণিলাকে নিয়ে একটু বেশি অন্য দৃষ্টিতে দেখে বলে নিজের সাথে বর্ণিলাকে মিলিয়ে ফেলেছে যেটি অন্যের বেলায় বর্ণিলা ততটা গুরুত্বপূর্ণ না।
গাড়িতে একসাথে বাসায় ফেরা নিয়ে অন্যান্য কলিগদের সাথে বেশ মনোমানিল্য হলো। বর্ণিলার জন অলক অনেক কঠোর হলো কিছুতেই বর্ণিলাকে বাসায় ফেরার পথে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলানো যাবে না।
অনেক সু-চিন্তিত মাথায়, মাথা ঠান্ডা রেখে নানান কৌশলে ধৈর্যে সহ্যে অবশেষে অলক সফল হলো, খুব বৈধ ভাবে বর্ণিলা অলকের সাথে বাসায় ফিরতে পারবে যখন বর্ণিলার প্রয়োজন হয়।
বর্ণিলাকে ডেকে অলক নিজেই জানিয়ে দিল যে এখন থেকে বর্ণিলা গাড়িতে যাতায়ত করতে পারবে যখন তার ইচ্ছা হয়।
এমন একটু গুরুত্বপূর্ণ কাজে সফল হতে পেরে অলকের খুব ভালো লাগছে, অন্তত বর্ণিলা অলকের বলয়ের মাঝে থাকতে পারছে অথবা বর্ণিলার বলয়ের মাঝে অলক।
তারিখ: মার্চ ২২, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,