Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

বর্ণিলা সূচনা কথা- দুই

Share on Facebook

কত কথাই না বলার জন্য জমা হতে থাকে আকাশে পুঞ্জিভূত মেঘে মত একদিন ঝর ঝর ঝড়ার মত ঝরবে কিন্তু সেই সব কথা কবে বলা হবে তা জানা নেই অলকের। বিশেষ করে ছুটির দিনে যে দিন দেখা হয় না, সেই দিন কল্পনার রাজ্য একটুকু অবসর পায় না। কত রূপে, অপরূপে সৌন্দর্য সাজে বর্ণিলার আনাগোনা অলকের কল্পনার আকাশ জুড়ে।

অলক অর্থ খুঁজে এই আনাগোনার কি উদ্দেশ্য! কিন্তু কিছু জানা বা বুঝা হয় না। ভালো লাগে তার এই আনাগোনার সমাবেশ। সব কিছুতে অর্থ খুঁজতে হয় না এটি অলকের বেশ ষ্পষ্ট কল্পনার আকাশে বর্ণিলার আনাগোনা সমাবেশ এটি অলকের পাওনা। এই প্রাপ্তি থেকে সে নিজেকে বঞ্চিত করতে চায় না আঁকড়ে থাকতে চায় এতে তার মন প্রফুল্ল থাকে, হতাশা দূর হয়, জীবনের আঁধার কাটিয়ে আলো দেখতে পায়, একটি নতুন দিনের সূর্যোদয়।

আবারও একটি নতুন দিনের সূর্যোদয় হবে একম একটি সুখ কল্পনাময় ভূবনের বাসিন্দা হতে যেন অলকের অপেক্ষার শত শত বছর পার করে দিতেও কোন ক্লান্তি নেই। এই কল্পনায় এই আশায় অলকের মনে এখন অনেক সাহস, দূর্গমকে জয় করার প্রবল বাসনা আর তার জয়ের সব ভাগটুকু বর্ণিলা পাক একটি তার সব সময়ের বাসনা।
অলকের এই পরন্ত সময়ে আর কার জন্য আর কাকেই বা সে কিছু দিয়ে যাবে, যা দেওয়া তা শুধু বর্ণিলার জন্য বরাদ্দ। বর্ণিলা তার কাছে বিশ্ময়, মহাজগতের শ্রেষ্ট উপহার ভান্ডার। দেখা হওয়াতে আর টুকটাক কথা বলার মধ্যে যেন অলক একজন ভিখারীর বেশে অনেক কিছু পেয়ে যাচ্ছে আর এই পাওয়া যেন কোন ভাবেই থেমে না যায়।

বর্ণিলা যাতে অফিস শেষে নিরাপদে বাসায় ফিরে যেতে পারে তার একটা দায়িত্ব সে নিয়েছে এখন বর্ণিলার জন্য এইটুকুই করতে পারে বেশ স্বাধীন ভাবে। একসাথে অফিস থেকে নেমে যাওয়া পাশাপাশি হাটার সময় কিছু কথা বলা এইটাই অলকের জীবনে কম সৌভাগ্য বয়ে আনে নি।

অলক একটা ওৎ পেতে থাকে কখন অফিস থেকে বের হওয়ার সময় হবে কখন বর্ণিলাকে জানাবে যে এখন যাওয়ার সময়, তৈরী হওয়ার সময়, এক সময় সেই সময়ও চলে আসে। নিরাপদে বর্ণিলা বাসায় তার মায়ের কাছে ফিরে যেতে সে যে সাহায্য করতে এর থেকে বড় অর্জন আর তার নেই। অলকের জীবন চলাচল বড় হচ্ছে সংঙ্কিণ রাস্তার বদলে তার সামনে এখন অনেক প্রস্থত আলোকিত পথ, আর এই পথ ধরে অলকের এগিয়ে যাওয়া বড় আকাংখা।

পিছনে ফিরে তাকানোর কোন মূল্য নেই কিন্তু বর্ণিলাকে নিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে এগিয়ে যেতে পারলে অলকের বড় সাফল্য এই সাফল্যের সে হাত ছাড়া করতে চায় না। বর্ণিলাকে লক্ষ্য করে বিগত দিনের ঝিমিয়ে পড় অলক এখন জীবনের আলো দেখতে পায়, ধীরে ধীরে তার ঝিম ধরা স্বভাবের বেশ পরিবর্তন হচ্ছে, বর্ণিলার মত সেই চঞ্চল, আশাবাদী, প্রত্যয়ি ও পরিশ্রমকে প্রধান্য দিচ্ছে।

বর্ণিলাকে একদিন এগিয়ে পড়া ও পিছিয়ে পড়ার তত্ব শিখিয়েছিল, অলক বলেছিল ধর একই স্থান থেকে দুইজন প্রতিযোগী সামনের দিকে যাত্রা শুরু করলো কিছু দূর যাওয়া দেখা গেল বি এর তুলনা এ বেশ এগিয়ে গিয়েছে, অলক দুইটি কলম দিয়ে পিছিয়ে পড়ার তত্ব শিখাচ্ছিল। অলক বলল বি-ও এগিয়েছে কিন্তু এ-এর তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে। আমরা সবাই প্রযুক্তির হাত ধরে এগিয়ে চললেও কেউ না কেউ প্রতি নিয়ত পিছিয়ে পড়ছি।

বর্ণিলা খুব মন দিয়ে কথাগুলি শুনছিল তবে অলকের বারবার মনে হয়েছে এই যাত্রা পথে বরং বর্ণিলাই অনেক এগিয়ে যাবে অলকের তুলনায়। বর্ণিলার মেধা, কর্ম ষ্পির্হা, চাঞ্চলতা সবই উন্নত মাপকাঠিতে এগিয়ে যাওয়া বেগ বেশ দ্রুত। এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, সে গড়া সৃষ্টিকর্তার নিঁখুত কারুকাজে মহা জগতের শ্রেষ্ঠ উপহার।।

তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২০ (ন)

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

,

নভেম্বর ২২, ২০২৪,শুক্রবার

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ