আজ বর্ণিলার বিয়ে, আজ রাতে। বিয়ের আগে থেকে কণের উপর এক অপূর্ব সৌন্দর্য ভর করে যা একটি মেয়ের জীবনে সবচয়ে গুরুত্ব পূর্ণ মুহুূর্ত। অলক শুধু এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে চায় তার কল্পনায়, যখন মানুষের কিছু করার থাকে না তখন মানুষ কল্পনায় ভর করে, অলক এখন কল্পনায় ভর করে বর্ণিলার সৌন্দর্য উপভোগ করছে।
অলকরে জীবন বর্ণিলার মত সাজানো গুছানো ছিল না বা সে তার মত করে জীবনকে তৈরী করে নি যেটি বর্ণিলার ছিল অলক এটাও মানে যে কঠিন পরিশ্রম নিয়ম কানুন মেনে খুব পরিকল্পনা নিয়ে অধ্যাবসায় নিয়ে বর্ণিলার এগিয়ে চলা। একমাত্র বর্ণিলার ভালো কিছু চাওয়া ছাড়া অলকের আর কিছু চাওয়া ছিল না। হাসৌজ্জ্বল, আলোকিত মুখে ও সাফল্যের সিঁড়িতে বর্ণিলাকে দেখা এটাই ছিল তার চাওয়া।
বিয়েটা বর্ণিলার জীবনের একান্ত বিষয়ের তাই একমাত্র তার সুখি জীবন ছাড়া আর কিছুই অলকের চাওয়া নেই।
ছুটিতে যাওয়ার দিনে বর্ণিলা অলককে বলেছিল আর চার দিন পরে সে অফিসে ফিরে আসবে, অলকও জানে চারদিন পরে বর্ণিলার জীবনে একটি বড় ও গুরুত্ব পূর্ণ পরিবর্তনের পরে অফিসে ফিরে সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে চললেও গভীরে থেকে যাবে অনেক পরিবর্তন অনেক জমানো অনুভূতি।
বর্ণিলার মত জীবনের সাফল্য অলকও চেয়েছে কিন্তু মানুষের সব চাওয়া পূর্ণ হয় না বরং উল্টা পথ ধরে চলে যায়। স্বাভাবিক গতির পথ মুহুর্তে পরিবর্তিত হয়ে অন্য একটি পথ ধরে চলতে শুরু করে। এমন পথের দেখা অলক তার জীবনে বারবার পেয়েছে কিন্তু তার মনে হয়েছে বর্ণিলার চলার পথ তার পরিকল্পনার পথ ধরে, সাফল্যের পথ ধরে। আজকের সুখি হওয়ার যে সূচনা পথে বর্ণিলা এগিয়ে চলেছে সেই পথের চলাচল হোক ক্রমাগত সুখের পথ ধরে।
তারিখঃ জুলাই ২৪, ২০২০
রেটিং করুনঃ ,