তখন মহামারিকালটা কেবল শুরু হয়েছে আফিসে আসা যাওয়ার কোন নিয়ম নেই, আবার যখন কিছুটা ঠিক হয়ে আসলো তখন আর অলকের দায়িত্বটা কমে আসলো, বর্ণিলা নিজে নিজে অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার ব্যবস্থা করে নিয়েছে।
টুকটাক কথা বলার সুযোগটাতে শীথিলতা এসেছে, শীথিলতা এসেছে অনেক কিছুতে, স্বাস্থ্যগত ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে। দিনগুলি আর আগের মত নেই ক্লান্তিময়, ম্লান সারাক্ষণ নানান চিন্তা আছন্ন করে রাখে।
দিন চলে যাচ্ছিল দিন চলে যাওয়ার মত উদ্দেশ্যহীন হয়ে কোন পরিকল্পনাই কাজ করছিল না, এলোমেলো সব দিন, নড়বরে দিন। যে দিনে কোন স্থিরতা নেই দৃঢ়তা নেই সেইগুলিকে তো আর দিন বলা যায় না।
হঠাৎ করে বর্ণিলা এসে জানালো সামনের সপ্তাহে ওর বিয়ে, বরের সামান্য বর্ণনা দিলো। বিষয়টিতে অলকের কিছু প্রভাব পড়ে না, পাড়ার কথাও না। তবুও একটি স্থান বা আসন থেকে বিদায় দেওয়া আড়ালে কি আছে অলক আর প্রকাশ করলা না, পৃথিবীর নিয়মে এইসব চলে, নানান পরিচয়, ভুলে যাওয়া মনে থাকা, স্মৃতিতে স্থান করে থাকা এইসব জীবনের অংশ, বেঁচে থাকার প্রাপ্তি।
আর কয়েকটা দিন দেখা যাবে বর্ণিলাকে যদিও দেখা হবে পরিবর্তিত জীবনে প্রবেশের পথে যেখানে বর্ণিলা হবে বাস্তব ও আরো সংসারী। অলকের আশা বর্ণিলা খুব ভালো থাকবে, পরিকল্পনা মত নিজেকে সুক্ষ সুক্ষ করে গড়ে তোলা সব কিছু পরিকল্পনা মত আর সঠিক বাস্তবায়নও করেছে।
অলক খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বর্ণিলাকে পরখ করে যাচ্ছে কেমন দেখতে লাগে তাকে আর কি বা পরিবর্তন নিয়ে আসবে সে অলকের সামনে যদিও বর্ণিলার কিছুই জানা নেই। এই পৃথিবীতে অনেক কিছু ঘটে যাকে কেন্দ্র করে সে কিন্তু অনেক সময় কিছুই জানে না বর্ণিলা ঠিক তেমন অলকের কাছে ।
তারিখঃ জুলাই ২০, ২০ (অ)
রেটিং করুনঃ ,