চলার পথে পথে নানান কথা পর্ব – ৬
চলার পথের একজন লেখক হয়ে যদি কোথাও লিখি বা বলি ” বন্ধুত্বের সংখ্যা বাড়ানোটা সব চেয়ে বোকামি ” তখন উদ্ধৃত বাক্যটির কোন বিশেষ অর্থ প্রকাশ নাও করতে পারে।
অন্যদিকে বিখ্যাত একজন লেখক যদি কোথায় লিখেন বা বলেন যে ” বন্ধুত্বের সংখ্যা বাড়ানোটা সব চেয়ে বোকামি “ তখন এ কথাটি একটি বিখ্যাত লেখা হয়ে যায়।
বন্ধু বা বন্ধুত্ব ছাড়া যেমন জীবন অচল, তেমনি বন্ধুত্বের সংখ্যা বাড়ানোটা সব চেয়ে বোকামি বা হিসাব কষতে বসে পড়া আসলে নিজের বন্ধুর সংখ্যা কত জন ! বন্ধুর উপকারীর কথা লিখে শেষ করা যাবে না, তবে ন্ধুত্বের সংখ্যা বাড়ানোটার মধ্যে একটি আর্থিক সম্পর্ক. সামর্থ্যের শক্তি জড়িত; তা না হলে মহাজন, মহাজ্ঞানীগন কেন বলতে যাবেন ” “সু-সময়ে বন্ধু বটে অনেকেই হয়, অসময়ে হায় হায় কেউ কারো নয়”
কোন মন্ত্রীর দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের আত্মীয়ের দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের কোন একজনকে বড় কাছের মানুষ বা বন্ধু হিসাবে পরিচিয় দিতে আমরা অনেকে বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করি, বড় গর্ব বোধ করি, মনের মধ্যে ধারণা জন্মে অনেকে ভেবে নিবে আমি একজন মন্ত্রীর নিকট আত্মীয় ! আবার নিজের চাচাতো ভাইটি দরিদ্র প্রকৃতির হলে পরিবারের সদস্য হিসাবে পরিচয় দিতে আমাদের বড় শঙ্কা হয় !
নিজের লাভ বা আর্থিক উন্নতি বিবেচনায় আমরা বন্ধুত্বের সন্ধান করি আর ভালো ফল পেতে শুরু করলে বন্ধুত্বের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য উৎগ্রিব হয়ে পড়ি, কিন্তু জীবনে যদি কোন ধাক্কা, অবনতি বা অসাহায়ত্ব এসে ভর করে তখন বন্ধুত্বের সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে, গত দিনে যারা বন্ধু ছিলেন তারা দূরে চলে যায়।
নিজ সামর্থের কথা বিবেচনা করে বন্ধুত্বের সংখ্যা নির্ধারণ করা উচিত। যে আমর যেমনই বন্ধু হোক না কেন সে নিজেরটাই, নিজের লাভের দিকটাই বেশি করে দেখবে বিশেষ করে বর্তমানের বিবেচনায়।
রেটিং করুনঃ ,