লেখা যতটা সহজ প্রিয় পাঠক তৈরী করা তার চেয়ে অনেক অনেক কঠিন। তবে লেখার বিষয় কঠিন হলে, লেখার বিষয়ে নতুনত্ব থাকলে, ভাবার্থ গভীর হলে পাঠক তৈরী হয় সহজে। লেখাটি তখনই লিখতে হচ্ছে যখন পাঠক সংকট, কোন লেখকের লেখা পাঠ ছাড়াই প্রযুক্তির বদৌলতে জ্ঞানার্জনের অনেক পথ খোলা, সেই পথ ধরে চলেছে বর্তমান প্রজন্মের যাত্রীরা।
ভবিষতের আলোক বর্তিকা তাদের হাতে তাদেরকে এখন প্রযুক্তিকে দখল করার প্রবণতাকে বাঁধা গ্রস্থ্য বা নিরোৎসাহিত করার অর্থ নিজেদের বোকামীকে উম্মোচিত করা। বর্তমান প্রজন্ম বই মুখি বা পাঠক না হলে তা বর্তমান লেখকদের ব্যর্থতা, লেখকরা পুরানা গন্ডি ছেড়ে যুগের লেখা লিখতে ব্যর্থ হয়েছেন এর একটি বড় কারণ নবীনরা যে ভাবে প্রযুক্তির সাথে মিশেছে সেই ভাবে বর্তমান লেখকরা নিত্য নতুন প্রযুক্তির সাথে যুগের বদলের সাথে নিজে মিলাতে না পারা, বর্তমান লেখকদের বার বার লেখার অতীত ঐতিয্যের কথা তুলে ধরা।
অতীত লেখাগুলিকে নতুন আঙ্গিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার বেশ দাবী ছিল, কিছু যে হাতে নেওয়া হয় নি এমন নয় হয়েছে তারপরও এটি একটি বিশাল ক্ষেত্র যেখান থেকে প্রচুর পাঠক তৈরী করা যায় ! প্রকাশনী শিল্প আরও শক্তিশালি হয়ে উঠে।
নতুন বইয়ের পাঠক তৈরী না হলে শিক্ষা ব্যবস্থা হোক আর সমাজ ব্যবস্থা একটি ভূমি ধসের কবলে পড়ে যাওয়ার কথা, শিক্ষা ব্যবস্থা বলি আর সমাজ ব্যবস্থা আজও একটি মান দন্ডের মধ্যে আছে তা হলো বই আর পাঠক। সমাজ বই ও পাঠক শূণ্য হয়ে গেলে অতীতের সাথে আর কোন যোগাযোগ থাকে না, যোগাযোগের সেতু তখন ভেঙে পড়ে, অতীত হয়ে পড়ে বিছিন্ন বর্তমানের সাথে। সমাজেের যাত্রা শুরু হয় অনিশ্চিতে পথ ধরে যার গন্তব্য আমাদের অজানা। সামনে কী ভবিষৎ তা তলিয়ে যাবে অন্ধকারে, প্রকৃতির দেওয়া আলো থেকে আমাদের স্বেচ্ছায় বঞ্চিত হওয়া।
তারিখ: জুন ১৮, ২০১৮
রেটিং করুনঃ ,