সফল ব্যক্তিদের সাফল্য নিয়ে নানা গল্পের মধ্যে একটি অভ্যাসের মিল খুঁজে পেয়েছে জার্মানির বার্লিনভিত্তিক ডিজিটাল সাময়িকী ব্লিনকিস্ট। পাক্ষিক এই ম্যাগাজিনের মতে, সফল ব্যক্তিরা প্রচুর বই পড়েন। বিশ্বের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্তা, যাঁরা সফলতার শিখরে পৌঁছেছেন, তাঁদের বই পড়ার অভ্যাস রয়েছে। বেশির ভাগ সফল মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বছরে গড়ে ৬০টি করে বই পড়েন। বিশ্বের সেরা আর উজ্জ্বল ব্যক্তিদের মনে সব সময় নতুন নতুন ধারণার জন্ম নেয়, সেসবই তাঁরা বিজ্ঞতার সঙ্গে প্রয়োগ করেন। তাঁদের জীবন ও পেশার সঙ্গেও মিলেমিশে যায় সেসব ধারণা।
অর্থনৈতিকভাবে সফল ৮৮ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট বই পড়েন।
বইয়ে ৮৮ শতাংশ সম্পদশালী বলেছেন, তাঁরা প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট বই পড়েন। তাঁরা তথ্যভিত্তিক বই, বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী, ইতিহাস এবং আত্মসহায়ক বই পড়েন। বই থেকে তাঁরা যা শেখেন, তা তাঁদের প্রতিদিনের জীবনকে আরেকটু ভালো করে। যার ফলে এসেছে সাফল্য।
মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। অতি ব্যস্ততার মধ্যেও নিয়ম করে তিনি লোভীর মতো যে কাজটি করেন, তা হলো বই পড়া। তিনি সপ্তাহে অন্তত একটি বই পড়েন এবং সফল হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদেরও বই পড়ার পরামর্শ দেন। বিল গেটস বলেন, ‘অফিস, বাসা বা রাস্তা, যেখানেই থাকি না কেন, আমার সঙ্গে বইয়ের স্তূপ থাকে, আমি বই পড়তে থাকি।’
বেশির ভাগ সিইও বছরে গড়ে ৬০টি বই পড়েন। এর অর্থ, প্রতি মাসে তাঁরা গড়ে পাঁচটি বই পড়েন। কারণ? তাঁরা জানেন, যেসব সমস্যার মুখোমুখি তাঁরা হয়েছেন, তা আগেও কেউ না কেউ হয়েছেন। কেউ না কেউ সেই সব সমস্যার সমাধান পেয়েছেন এবং তা লিখে গেছেন। তাই সফল সিইওরা খুব ভালোভাবেই বোঝেন, বই হলো ব্যবসার জন্য সবচেয়ে ভালো স্কুল। তাঁরা বড় পরিবর্তনের জন্য নতুন কোনো পন্থা আবিষ্কার করেননি। তাই বইয়ের মধ্যে খুঁজে নেন সমস্যা সমাধানের চাবি।
বই পড়ার অভ্যাস সম্পর্কে ওয়ারেন বাফেট বলেন, ‘প্রতিদিন ৫০০ পৃষ্ঠা পড়ুন। এভাবেই জ্ঞানের চর্চা হয়। এটা অনেকটা বিনিয়োগের দ্বিগুণ উঠে আসার মতো। আপনারা প্রত্যেকেই এটা করতে পারেন। তবে আমি নিশ্চিত, আপনারা অনেকেই এই কাজটি করবেন না।’
সূত্র: সংগৃহিত।
তারিখ: এপ্রিল ৩০, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,