আজ বসেছি তোমাকে নিয়ে লিখতে, তোমাকে আমার অনেক কথা বলা বাকি ! আমার একটি ইচ্ছা আছে, সেটি যেন পূরন হয় এটাই আমার একটি বড় বাসনা, এটি বেশ ষ্পষ্ট যে বাহিরের দিক তোমার মেজাজ খুব চড়া, তোমার মধ্যে একটি রুক্ষ্য মনোভাব থাকলেও ভীতরে আছে একটি কোমল মন, আমার আচ্ছা তোমার সেই কোমল মনকে অন্ততঃ একদিনের জন্য হলেও কাঁদানো। তবে এখনো আমার পূর্ণ বিশ্বাস আসে নি তুমি কাঁদবে নাকি বরং বিদ্রুত আচরণ করবে !
আশা রাখি সেই বিশ্বাসে খুঁটি মজবুত করতে ২০২০ সাল চলে আসবে খুব দ্রুতই যে ভাবে খুব দ্রুত কেটে গিয়েছে ২০১০ থেকে ২০১৮ এখন মাঝ খানে ২০১৯ মাত্র একটি বছর!
এবার আসল কথায় আছি আমি তখনই ভালো থাকি যখন আমি আমার মত করে লেখাগুলি লিখতে পারি আর লিখতে না পারাটি আমার জন্য সবচেয়ে কষ্টের ও বেদনার বিষয় সেই ক্ষণটায় আমি মুষড়ে পড়ি, হতাশা ঘিরে ধরে, ঝিবনের ধারা থেমে যেতে চায়। জীবনের একটি বেশ ক্রান্তীকালে কষ্ট বোধ ও দুঃখ বোধ থেকে দূরে থাকার কারণে লেখালেখিতে ডুবে থাকরা চেষ্টা করলাম আর তখন থেকে ধীরে ধীরে তুমি আমার লেখার লাইনে চলে আসলে প্রিয় সব শব্দে তুমি ! এর পরে একছত্র আধিপত্ত আমার লেখার ভুবনে, আমার মানডন্ডে লেখাগুলি আলোকিত, প্রফুল্লতায় ভরা, মনকে করেছে আলোকিত সরিয়ে দিয়েছে কালো ছায়া।
তোমার জীবনে একটি বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটে যাওয়ার কারণে প্রিয় কতকগুলি লাইন চলে আসে কলমে লেখাটির মোহে আমি নিজেই পড়ে যাই এর পর থেকে ধীরে ধীরে তুমি ক্রমেই প্রবেশ করতে থাকলে আমার সেই লেখার ভুবনে এক ছত্র ভাবে যে ভুবনে আমি শান্তি পাই দূর হয়ে যায় মনের দাহ, লিখার লাইনগুলিতে বড় প্রশ্ন হয়ে এসেছিল কি দিয়ে তুমি গড়া ! দিনে দিনে তুমি একটি বড় বিশ্ময় হয়ে ধরা দিতে থাকলে কথা বলার ধরণ, হাঁটা, হাসিতে সব কিছুতেই বিশ্ময় খুঁজে পেতাম তৈরী হতো তোমাকে নিয়ে অনুভূতি প্রকাশের লাইনগুলি। সকল কোমলতায় তুমি সামনে এসে দাঁড়ালে সৌন্দর্যের দেবী রূপ সৌন্দর্য।
মনের মধ্যে জাগতে থাকল প্রবল বাসনে তোমার হৃদয়ে একটু জায়গা পেতে যেখানে মেলে শান্তি দূর হয় অন্তরের কঠিন দহন। তোমার হৃদয়ে একটুকু জায়গা পেতে প্রার্থনা ধারায় চলে গেলাম, তোমাকে ভাবনার মধ্যে রেখে জীবনের গতি বাড়তে থাকলো, জীবনরে আয়ুকালে অনেক আশা দেখতে পেলাম।
লেখায় লাইনে তুমি ষ্পষ্ট হয়ে প্রকাশ হতে থাকলো, তোমার ঢেউ খেলা খোলা চুল, খোপা বাঁধা চুল, হাতের রর্ণ, তোমার রঙীন সাজের বর্ণনা, মায়াবী চোখ, চাঞ্চল্যতা, গম্ভীরতা, প্রফুল্লতা।
২০১৮ এর মার্চ থেকে তোমার প্রতি মনোভাবে ইউ টার্ন নিল, আমার সামনে তুমি সকল দোষ ক্রটি মুক্ত একটি তুলতুলে চাঁদের আলোর মত নরম শিশু যার প্রতি কোন অভিযোগ দাঁড় করানো যায় না। সকল ভালোলাগা তোমার প্রতি সেখান থেকে বিশ্ময় আর আমার লেখা সৃষ্টি।
জীবনে তেমন উন্নতি আয় অর্জন হয় নি এর একটি কারণ হলো রাশিয়ান ( নোবেল পুরুষ্কার প্রত্যাখানকারী) এক কবির কিছু কথায় যেমন ” তোমার মহৎ কর্মের বিনিময়ে কোন প্রাপ্তি চেও না” জীবনে আমার অনেক কিছু চাওয়া হয় নি তাই কিছুই পাওয়াও হয় নি।
তুমি আমার সৃষ্টি, অনেক প্রিয় সব লাইন সৃষ্টি হয়েছে তোমাকে নিয়ে তাই এটি খুব ষ্পষ্ট যে আমার সৃষ্টির পিছনে আমার কোন চাওয়া নেই তাই চেয়েছি তোমাকে শুধু কৃতজ্ঞতা জানাতে আর একটি ছোট্ট উপহার দেওয়া। সেই সাথে আমার আশাটুকু যেন পূরণ হয় তোমাকে একদিন শুধু কাঁদানো। তোমাকে কাঁদাতে পারলেই আমার সৃষ্টির পিছনে আমার যে সময় ব্যয় তা হবে সার্থক।
জীবনে অনেক মেয়ে ও নারী দেখেছি খুব কাছে বা দূর থেকে কিন্তু কাউকেও তোমার করে কখনও ভাবিনি বা দেখি নি। তোমাকে তেমন করে জানা না হলেও তোমাকেই দিয়েছি উচ্চ স্থান, চেষ্টা করেছি তোমাকে উচ্চ আসনে রেখে দিখে সবচেয়ে সন্মানিত স্থানে। খুব দূর থেকেও জীবনে দেখা অনেক মেয়ে ও নারীর মধ্যে তোমাকে অন্তরের চোখ দিয়ে খুব ষ্পষ্ট করে দেখা খুব স্বচ্ছ ভাবে দেখা তোমার মত কেউই আমার হৃদয়ের অনেক গভীরে প্রবেশ করতে পারে নি।
তাই তোমাকে যে উচ্চ আসনে রেখেছি, তোমার প্রতি যে আমার উদার ও সু-উচ্চ মনোভাব তার যেন পরির্বতন না হয় এটিই আমার একমাত্র চাওয়া, তোমাকে যা বলার তা কোন দিন ফুরাবে না, লেখাও শেষ হবে। রাত অনেক ভারী হয়েছে আর একদিন আবারও তোমাকে চিঠি লিখব।
ভালো থেকো, নিজের যত্ন নিও।।
তারিখঃ আগষ্ট ২০, ২০১৮
রেটিং করুনঃ ,