দেখা হয় প্রথম সেই ২০১০ থেকে, বেশ কথা বার বার দেখা হওয়া খুব স্বাভাবিক ভাবে, অনেক কথা হয়, কিন্তু কথা মাঝে থেকেছে অনেক লুকানো কথা, যা বলার তেমন মাধ্যম বা অছিলা ছিলা না কিম্বা সাবলিল ভাবে আমার লেখার প্রিয় লাইন জুড়ে তুমি যে জায়গা দখল করে নিচ্ছ সেই লুকানো কথা প্রকাশে যদি কোন বাঁধা পড়ে, কোন গুঞ্জন, কোন কালো হাওয়ায় কারণে যদি লেখা থেমে যায় ! চিঠি আকারে না বলা কথাগুলি লিখে রাখা তাই, যা একদিন তুমি জানেতেও পারও।
যখন মনে হয়েছে তুমি আমার সৃষ্টিতে যোগ হয়েছো, প্রিয় শব্দের গাঁথনীতে যে প্রিয় সব লাইনের সৃষ্টিতে, এইসব সৃষ্টির মূলে তুমি, তুমি সামনে দাড়িয়ে রাত ভারি হচ্ছে অথচ শব্দের গাঁথনী ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। যে দিন তোমাকে নিয়ে লাইন সৃষ্টি হলো না, যেন অনেক কিছু বাকি থেকে গেল চরম একটি অতৃপ্ত অস্বস্থিকর ভাব নিজেকে আছ্ন্ন করে রাখে আবার কয়েক লাইন লিখতে পারলে মনে এক অনাবিল শান্তি নামে সুখ এসে ভর করে।
হঠাৎ করে ২০১৮ প্রথম ভাগ থেকে আমার লেখার লাইনগুলিতে তুমি জায়গা নিতে থাকলে প্রথমে কিছুটা অষ্পষ্ট ভাব থাকলেও, পরে বেশ ষ্পষ্ট ধারায়, একদিন আমার খুব সামনে থেকে তুমি একটি আঘাত পাওয়ায় আমার কলমে খুব দ্রুত তৈরী হলো কয়েকটি লাইন দিয়ে একটি কথামালা, তোমার অবস্থান হলো আমার কাছে অনেক উচ্চে।
ততদিনে ক্রমে তোমার দেখা না পেলে আমি হয়ে উঠতাম বড় অস্থির, যেখানে স্বস্থি শূণ্য, না দেখার তীব্র দহন হানা দিতো সারা মনে, বিষন্ন হয়ে পড়তাম, এই সবের কারণ ছিল জানার ছিল জানার বাইরে। আবার দেখা হলে অনাবিল শান্তি, শান্তু মন, কোন কিছুতেই যেন অপূর্ণতা নেই।
কথামালার লাইন গুলিতে তুমি হতে থাকলে শান্তির খোরাক, জানার চেষ্টা কখনো করি নি যে কথামালার লাইনে লাইনে তুমি যে ভাবে ফুটে উঠেছো তা তোমার পছন্দ হবে কিনা ! লাইনগুলি পড়ার তোমার আগ্রহ থাকবে কিনা ! কিছু আমার পাঠক লাইনগুলি পড়ে বেশ প্রসংশাই করেছে।
লাইনগুলির পড়ার প্রথম পাঠক আমি নিজে আমার আত্ম বিশ্বাস আছে যে একদিন লাইনগুলি তোমাকে কাঁদাবে ক্ষণিক কালের জন্যে হলেও আর যেদিন আমি আরও দৃঢ় প্রত্যয়ি হবো যে তোমাকে নিয়ে লেখা লাইনগুলি তোমাকে কাঁদাবেই, এটাই আমার লক্ষ্য আর সেদিনেই তোমাকে জানাবো আমার লেখার কথা, সেদিন সুযোগ করে দিব লেখাগুলি পড়ার তা লাগুক আরও দুই বছর সৃষ্টি হোক ক্রমে আরও বড় কিছু কিন্তু আমার সৃষ্টিতে তোমাকে সন্মানিত করে রাখতে চাই দিতে চাই ভালোলাগা বোধের সু-উচ্চ স্থান, যেখানে তুমি একজনই দালিলিক ভাবে সু-উচ্চ স্থান অধিকারিনি।
তোমার জীবন চলাচলে আমার কোন স্বার্থ নেই, থাকবেও না, কিন্তু খুব কাছের একজন মানুষ হওয়ার ক্ষুদ্র ইচ্ছা বোধ ছিল তবে তুমি যদি তা পূরণে সমর্থ না হও তবে আমার কোন দুঃখবোধ থাকার কথা নয়, তোমাকে নিয়ে প্রতিটি লাইন সৃষ্টির পিছনে আমার কোন প্রাপ্তি বা চাওয়া ছিল না আর সে কারণে তোমাকে নিয়ে কিছু হৃদয়ের চাওয়ার কথা, মন বিকশিত হওয়ার, মন উদার হওয়ার কথা লিখতে পেরেছি। হতে পারে তা অনেক পাঠকের মনের কথা যা আমি তুলে ধরতে পেরেছি আমার লেখায়।
আমি পেয়েছি শান্ত শান্তি যা আর কোথাও থেকে আর পাওয়া যেত না।
লেখা থামার কথা নয় আরও লিখব তোমাকে চিঠির ভাষায় যা তুমি খুব মন দিয়ে পড়তে পারো।
তারিখ: আগষ্ট ১৫, ২০১৮ (শ)
রেটিং করুনঃ ,