প্রিয় সোহাগিনী,
আমার দেওয়া নামেই তোমাকে লিখছি। এখনও তোমার প্রিয় নাম সোহাগ, গত চিঠিতে তা বুঝেছি আর পাঁচ দিন পরে তোমার প্রথম বিবাহ বার্ষিকী, হিসাবে পাকা হলেও জীবনের হিসাবে কোন হিসাব মিলাতে পারি নি আমি। অন্ততঃ একটা বছর আগে যদি একটি আয় ইনকামের বা চাকিরী জোগাড় করে নিতে পারতাম তা হলে হয়তো আজ তোমাকে চিঠি লিখতে হত না। আমার ঘরেই তুমি থাকতে । সেদিন আমার কোন উপায় ছিল না তোমার ভাইরা আমাকে জেলে পাঠানোর সব কৌশলই করেছিল, জীবন নাশের হুমকীও দিয়েছিল, ওগুলি হয়তো কোন বিষয় ছিল না তবে আমি তোমার মধ্যে তেমন তীব্র ভালোবাসার কোন সংকেত দেখিনি সেদিন হয় তো নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছিলে, নিজের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছিলে।
তোমার প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতে আমার আগাম শুভেচ্ছা জানালাম। সেই সাথে গত রাতের একটি কথা তোমাকে শেয়ার করি। গত পচিঁশে বৈশাখে কবি গুরুর জন্ম দিনের এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম ফিরতে বেশ রাত হলো, অস্বস্থিকর গরমে রাতের খাবার গুলি মনে হয় একটু নষ্ট হয়েছিল তবুও ক্ষুধা বেশি থাকায় ঐ খাবারগুলি খেয়েছিলাম, খাওয়ার পরে কেমন যেন অস্বস্থি লাগছিল, ঘুম ঘুমও পাচ্ছিল, মনে হয় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, আমি স্বপ্ন দেখেছি কিনা জানা নেই তবে রবি ঠাকুর এসে আমার পাশে তাঁর একটি বিখ্যাত গান আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছিল। আর বলল আমি তোমার কথা মাথায় রেখেই এই গানটি রচনা করেছিলাম।
রবি ঠাকুর তাঁর সুরে সুরে গাইতে শুরু করল, আমাকেও বলল আমার সাথে সাথে গাও। আমরা গাইতে শুরু করলাম।
তোমার হল শুরু, আমার হল সারা–
আমাকে কবিগুরু বলল তুমি (সোহাগ) বলছ তোমার সোহাগিনীকে -তোমার জীবন হল শুরু জীবনের যাত্রা শুরু, অর্থাৎ তোমার বরকে নিয়ে সংসার শুরু আর আমার ( সোহাগের ) জীবন হল সারা বা শেষ। কিছুই আর নেই বাকি।
তোমায় আমায় মিলে এমনি বহে ধারা ॥
আবারও রবি ঠাকুর বলল এই ভাবেই সোহাগিনি ও সোহাগের জীবনের ধারা বয়ে যাচ্ছে। রেল লাইনে যেমন সমান্ত্রাল লাইন, জন্ম মৃত্যু যেমন জীবনের ধারা।
তোমার জ্বলে বাতি তোমার ঘরে সাথি–
আমাকে বুঝালো সোহাগিনির ঘরে আলো, তাঁর জীবনের একটি গতি আছে, আনন্দ আছে, ক্ষণিক কষ্টবোধ, দুঃখবোধ, তাঁর ঘরে তাঁর বর, সাথি। অনাবিল হাসি। স্বপ্ন।
আমার তরে রাতি, আমার তরে তারা ॥
তিনি বলেলন সোহাগ তোমার জন্য রাতি, কেউ নেই তোমার ঘরে, তুমি একা তোমার জন্য আকাশের তারা, আকাশ পানে চেয়ে চেয়ে থাকা তোমার কাজ। তারা গননা, এক একটা তারাকে নিয়ে ভাবা।
তোমার আছে ডাঙা, আমার আছে জল–
আমাকে বুঝালেন সোহাগিনির আছে ফ্লাট বাড়ি। সোপিং মল, পার্ক, নৌ-ভ্রমণ। আমার আছে শুধু অথৈ জল, কুল নাই কিনারা নাই, নাই কোন সীমানা। অসীমের পথে চলাচল।
তোমার বসে থাকা, আমার চলাচল।
সোহাগিনি ওর বরের সাথে বসে থাকে, আলাপ করে। নানান কথা বলে, স্বপ্ন নিয়ে ভবিষ্যৎ আঁকে। তুমি যাযাবর, তোমার কোন ঠিকানা নেই, ভবঘুরে। অনন্ত কাল ধরে তোমার শুধু চলাচল।
তোমার হাতে রয়, আমার হাতে ক্ষয়–
সোহাগিনি হাতে অনেক কিছু আছে, গয়না, সুন্দর খাট, ওর বর, ওর সন্তান, ব্যাংক ব্যলেন্চ। তোমার হাতে যা ছিল সবই চলে গেছে, দেউলিয়া তুমি। পরের দ্বারে দ্বারে তোমার ঠিকানা।
তোমার মনে ভয়, আমার ভয় হারা ॥
সোহাগিনির মনে ভয়। প্রিয় মানুষ হারানোর ভয়, গয়না, সম্পত্তি। তোমার কোন কিছুই নেই, তোমার কোন ভয় নেই, নেই কিছু হারাবার। তুমি বিশ্ব প্রেমিক।
রবি ঠাকুর আমাকে বিশ্ব প্রেমিক বলাতে আমি ঘুম থেকে জেগে সোজা দাঁড়িয়ে গেলাম জানালা খুলে দিয়ে গাইতে থাকলাম খুব জোড়ে জোড়ে সেই বিখ্যাত গান। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে!
কিন্তু এই আনন্দের গভীরে কত বেদনা, সীমাহীন কষ্ট, দুঃখবোধ, হাহাকার কঠিন পাথরে জমাট বাঁধা এ আর কারো জানা নেই, এ শুধু আমারই জানা, এ আমার একার বিশাল এক সম্পদ, এখানে কাউকে আমি ভাগ বসাতে দেই নি বা দিব না কোনদিন।
ভালো থেকো, ভালো থেকো অনেক। অনেক ভালো থেকো।
ইতি তোমার
সোহগ।
———————-
নোট: এটা হয়তো অনেক সন্মানিত ব্লগারের পছন্দ নয় যে পুরানা দিনের কথা নিয়ে কেউ কারো বিবাহিত জীবনে চিঠি লিখুক, সংসার ভাংগার চেষ্টা করুক, এ ধরণের চিঠি লেখার চেয়ে এ সমাজে অনেক কিছু্ই এখন জীবন সম্পর্কের জন্য বড় হুমকি। দুই একটা চিঠি লেখা, কোথায়ও দেখা হওয়া সংসার ভাংগার কারণ হিসাবে এখন আর খুঁজে পাওয়া য়ায় না। সংসার একটি কাঁচের গ্লাস নয় যে হাত থেকে পড়ে গেলেই তা গ্লাসের মত ভেংগে যাবে। )
কাজী নজরুল ইসলাম জেল খানায় বসে একটি অমর চিঠি লিখেন তাঁর প্রথম স্ত্রী নার্গিস আসার খানমকে নিয়ে, যেখানে তিনি উল্ল্যেখ করেছিলেন তিনি আর বেশি দিন বাঁচবেন না। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া চিঠিটি শেয়ার করা হলো সন্মানিত পাঠকদের জন্য।
কল্যাণীয়াসু,
তোমার পত্র পেয়েছি সেদিন নববর্ষার নবঘন-সিক্ত প্রভাতে। মেঘ-মেদুর গগনে সেদিন অশান্ত ধারায় বারি ঝরছিল। পনর বছর আগে এমনি এক আষাঢ়ে এমনি বারিধারার প্লাবন নেমেছিল- তা তুমিও হয়তো স্মরণ করতে পারো। আষাঢ়ের নব মেঘপুঞ্জকে আমার নমস্কার। এই মেঘদূত বিরহী যক্ষের বাণী বহন করে’ নিয়ে গিয়েছিল কালিদাসের যুগে রেবা নদীর তীরে, মালবিকার দেশে, তাঁর প্রিয়ার কাছে। এই মেঘপুঞ্জের আশীর্বাণী আমার জীবনে এনে দেয় চরম বেদনার সঞ্চয়। এই আষাঢ় আমায় কল্পনার স্বর্গলোক থেকে টেনে ভাসিয়ে দিয়েছে বেদনার অনন্ত স্রোতে। যাক, তোমার অনুযোগের অভিযোগের উত্তর দিই। তুমি বিশ্বাস করো, আমি যা লিখছি তা সত্য। লোকের মুখের শোনা কথা দিয়ে যদি আমার মূর্তির কল্পনা ক’রে থাকো, তাহলে আমায় ভুল বুঝবে- আর তা মিথ্যা।
তোমার উপর আমি কোন ‘জিঘাংসা’ পোষণ করি না- এ আমি সকল অন্তর দিয়ে বলছি। আমার অনত্মর্যামী জানেন, তোমার জন্য আমার হৃদয়ে কি গভীর ক্ষত, কি অসীম বেদনা! কিন্তু সে বেদনার আগুনে আমিই পুড়েছি- তা দিয়ে তোমায় কোনদিন দগ্ধ করতে চাইনি। তুমি এই আগুনের পরশমানিক না দিলে আমি ‘অগ্নিবীণা’ বাজাতে পারতাম না-আমি ‘ধূমকেতু’র বিস্ময় নিজে উদিত হতে পারতাম না। তোমার যে কল্যাণরূপ আমার জীবনের সর্বপ্রথম ভালবাসার অঞ্জলি দিয়েছিলাম, সে রূপ আজও স্বর্গের পারিজাত-মন্দারের মত চির অম্লান হয়েই আছে আমার বক্ষে। অন্তরের আগুন- বাইরের সে ফুলহারকে স্পর্শ করতে পারেনি।
তুমি ভুলে যেও না, আমি কবি- আমি আঘাত করলে ফুল দিয়ে আঘাত করি। অসুন্দর, কুৎসিতের সাধনা আমার নয়। আমার আঘাত বর্বরের কাপুরুষের আঘাতের মত নিষ্ঠুর নয়। আমার অনত্মর্যামী জানেন (তুমি কি জান বা শুনেছ, জানি না) তোমার বিরুদ্ধে আজ আমার কোন অনুযোগ নেই, অভিযোগ নেই, দাবিও নেই।
আমি কখনো কোন ‘দূত’ প্রেরণ করিনি তোমার কাছে। আমাদের মাঝে যে অসীম ব্যবধানের সৃষ্টি হয়েছে, তার ‘সেতু’ কোন লোক ত নয়ই- স্বয়ং বিধাতাও হতে পারেন কিনা সন্দেহ। আমায় বিশ্বাস করো, ‘আমি সেই ক্ষুদ্র’দের কথা বিশ্বাস করিনি। করলে পত্রোত্তর দিতাম না। তোমার উপর আমার অশ্রদ্ধাও নেই, কোন অধিকারও নেই- আবার বলছি। আমি যদিও গ্রামোফোনের ট্রেড মার্ক ‘কুকুরের’ সেবা করছি, তবুও কোন কুকুর লেলিয়ে দিই নাই। তোমাদেরই ঢাকার কুকুর একবার আমায় কামড়েছিল আমার অসাবধানতায়, কিন্তু শক্তি থাকতেও আমি তার প্রতিশোধ গ্রহণ করিনি- তাদের প্রতি আঘাত করিনি।
সেই কুকুরদের ভয়ে ঢাকায় যেতে আমার সাহসের অভাবের উল্লেখ করেছ, এতে হাসি পেল! তুমি জান, ছেলেরা (যুবকেরা) আমায় কত ভালবাসে। আমারই অনুরোধে আমার ভক্তরা তাদের ক্ষমা করেছিল। নৈলে তাদের চিহ্ন-ও থাকত না এ পৃথিবীতে। তুমি আমায় জানবার যথেষ্ট সুযোগ পাওনি, তাই এ কথা লিখেছ।
যাক, তুমি রূপবতী, বিত্তশালিনী, গুণবতী, কাজেই তোমার উমেদার অনেক জুটবে- তুমি যদি স্বেচ্ছায় স্য়ম্বরা হও, আমার তাতে কোন আপত্তি নেই। আমি কোন্ অধিকারে তোমায় বারণ করব- আ আদেশ দিব? নিষ্ঠুর নিয়তি সমস্ত অধিকার থেকে আমায় মুক্তি দিয়েছেন।
তোমার আজিকার রূপ কি, জানি না। আমি জানি তোমার সেই কিশোরী মূর্তিকে, যাকে দেবী মূর্তির মত আমার হৃদয়বেদীতে অনন্ত প্রেম, অনন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম। সেদিনের তুমি সে বেদী গ্রহণ করলে না। পাষাণ-দেবীর মতই তুমি বেছে নিলে বেদনার বেদীপীঠ। …..জীবনভ’রে সেখানেই চলেছে আমার পূজা-আরতি। আজকার তুমি আমার কাছে মিথ্যা, ব্যর্থ; তাই তাকে পেতে চাইনে। জানিনে হয়ত সে রূপ দেখে বঞ্চিত হব, অধিকতর বেদনা পাব,- তাই তাকে অস্বীকার ক’রেই চলেছি। দেখা? না-ই হ’ল এ ধুলির ধরায়। প্রেমের ফুল এ ধূলিতলে হয়ে যায় ম্লান, দগ্ধ, হতশ্রী। তুমি যদি সত্যিই আমায় ভালবাস, আমাকে চাও, ওখানে থেকেই আমাকে পাবে। লায়লী মজনু’কে পায়নি, শিরী ফরহাদকে পায়নি, তবু তাদের মত করে কেউ কারো প্রিয়তমকে পায়নি।
আত্মহত্যা মহাপাপ, এ অতি পুরাতন কথা হলেও পরম সত্য। আত্মা অবিনশ্বর, আত্মাকে কেউ হত্যা করতে পারে না। প্রেমের সোনার-কাঠির স্পর্শ যদি পেয়ে থাক, তাহলে তোমার মত ভাগ্যবতী কে আছে? তারি মায়া স্পর্শে তোমার সকল কিছু আলোয় আলোময় হয়ে উঠবে। দুঃখ নিয়ে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে গেলেই সেই দুঃখের অবসান হয় না। মানুষ ইচ্ছা করলে সাধনা দিয়ে, তপস্যা দিয়ে ভুলকে ফুল রূপে ফুটিয়ে তুলতে পারে। যদি কোন ভুল করে থাক জীবনে, এই জীবনেই তার সংশোধন ক’রে যেতে হবে; তবেই পাবে আনন্দ, মুক্তি; তবেই হবে সর্ব দুঃখের অবসান। নিজেকে উন্নত করতে চেষ্টা কর, স্বয়ং বিধাতা তোমায় সহায় হবেন। আমি সংসার করছি, তবু চলে গেছি এই সংসারের বাধাকে অতিক্রম করে’ উর্ধ্বলোকে- সেখানে গেলে পৃথিবীর সকল অপূর্ণতা, সকল অপরাধ ক্ষমাসুন্দর চোখে পরম মনোহর মূর্তিতে দেখা যায়।
হঠাৎ মনে পড়ে গেল পনের বছর আগের কথা। তোমার জ্বর হয়েছিল, বহু সাধানার পর আমার তৃষিত দুটি কর তোমার শুভ্র-সুন্দর ললাট স্পর্শ করতে পেরেছিল; তোমার সেই তপ্ত ললাটের স্পর্শ যেন আজও অনুভব করতে পারি। তুমি কি চেয়ে দেখেছিলে? আমার চোখে ছিল জল, হাতে সেবা করার আকুল স্পৃহা, অন্তরে শ্রীবিধাতার চরণে তোমার আরোগ্য লাভের জন্য করুণ মিনতি। মনে হয় যেন কালকার কথা। মহাকাল যে স্মৃতি মুছে ফেলতে পারলেন না। কী উদগ্র অতৃপ্তি, কী দুর্দমনীয় প্রেমের জোয়ারই সেদিন এসেছিল। সার দিনরাত আমার চোখে ঘুম ছিল না।
যাক- আজ চলেছি জীবনের অস্তমান দিনের শেষ রশ্মি ধরে ভাটার স্রোতে, তোমার ক্ষমতা নেই সে পথ থেকে ফেরানোর। আর তার চেষ্টা করো না। তোমাকে লেখা এই আমার প্রথম ও শেষ চিঠি হোক। যেখানেই থাকি, বিশ্বাস করো, আমার অক্ষয় আশীর্বাদী কবচ তোমায় ঘিরে থাকবে। তুমি সুখী হও, শান্তি পাও- এই প্রার্থনা। আমায় যত মন্দ বলে বিশ্বাস কর, আমি তত মন্দ নই- এই আমার শেষ কৈফিয়ত।
ইতি
নিত্য শুভার্থী
নজরুল ইসলাম।
তারিখ: মে ১৭, ২০১৪
প্রিয় চিঠি আয়োজন -২০১৪ রিহারসেল পর্ব – দুই
প্রথম আলো ব্লগ প্রিয় চিঠি আয়োজন ২০১৪ নামে প্রস্তাবনা এসেছে। এর মধ্যে কিছু কিছু চিঠি পোষ্ট আকারে আসা শুরু হয়েছে, প্রায় অনেক জায়গায় একটি রিহারসেল পর্ব থাকে। আমার পক্ষ্য থেকে আজকের চিঠিটি রিহারসেল স্ব-রূপ আরও কয়েকটি রিহারসেল স্ব-রূপ পোষ্ট করা যেতে পারে। চিঠি আয়োজন ২০১৪ এর জন্য সন্মানিত লেখকগন যাতে চিঠি লেখা শুরু করেন, দ্রুত চিঠি পোষ্ট দেওয়া শুরু করেন এই লক্ষ্যে অনুশীলন, বা এই রিহারসেল পর্ব।
এই চিঠিটি, চিঠি আয়োজন ২০১৪ এর জন্য নয়, সন্মানিত বিচারক-মন্ডলীর কাছে অনুরোধ থাকবে রিহারসেল পর্বের চিঠি গুলি যেন নির্বাচনের জন্য বিবেচনা করা না হয়।
রেটিং করুনঃ ,