একটি চাকুরী এবং পড়া ও লেখার সাথে নিজেকে বেঁধে রেখেছি, চাকুরী সংসারটকে চালাচ্ছে আর পড়া ও লেখা মনটাকে চালাচ্ছে। মন যদি না চলে হাজার ব্যস্ততা পূর্ণ জীবন তখন অচল হয়ে থাকে। চাকুরী নিয়মিত ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দিতে পারতো যেখান থেকে লেখার অনেক রশদ পাওয়া যেত ! লেখার পর লেখা যেত যেন অবিরাম লেখা, কিন্তু তাতে সংসারের চাকা আটকে থাকে, ভবিষৎ দেখার বাতিটা থেকে আলোক কমতে থাকে।
সীমাবদ্ধ চাকুরী এবং পড়া ও লেখা জীবন ! এতে কি প্রাপ্তী! এই জীবনে আমাদের অনেক কিছু জানা হয়, অনেক কিছু পাওয়া হয় কিন্তু প্রাপ্তী বিষয়টা যেমন জানা হয় না তেমন প্রাপ্তীও পাওয়া হয় না। আংশিক প্রাপ্তি মিললেও পুরো প্রাপ্তি আর মিলে না, জীবনের খুব শেষে এসে প্রাপ্তি ধরতে গিয়েও আর পুরো প্রাপ্তিটাকে ধরা হয় না হাত ফসকে গিয়ে নিজেকেই ছুটে চলতে হয় অসীমের পানে, নিঃশেষ ঠিকানার পথ ধরে।
প্রাপ্তীর আশায় না চলে, নিজের উপর যে দায়িত্ব তা পারিবারিক হোক, তা সামাজিক হোক সঠিক এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা ও পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে চলা।
চাকুরীকে সাথী করে আমার লেখার ইচ্ছা, এটি আমার স্বপ্ন, লেখার ইচ্ছাটিকে বিলাসীতায় রূপ দেওয়া উচিত নয়, প্রয়োজন দৃঢ় স্বপ্ন, স্বপ্ন পূরণের একাগ্রতা যা বাস্তবায়ন করতে চেয়ে লেখার পথে নামা, লেখার পথের পথিক হওয়া, লেখার পথ ধরে হেঁটে লেখার একটি নিজ ভাবনার রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা যেখানে নিজ ভাবনা ও ধারণাগুলি সমবেত হবে। এক এক রাজ্যের যেমন একক রকম বৈশিষ্ট থাকে, এক একজন লেখকেরও লেখার বৈশিষ্টে থাকে ভিন্নতা আর এই লেখার স্বাতন্ত্র বোধ বা নিজস্ব প্যটার্ন অর্জন করাটাই বড় কথা।
চাকুরীকে সাথী করে আমার যে লেখার ইচ্ছা মূলত সেটি বড় প্ররিশ্রমের, আমার কাছে পরিপূর্ণতা মানেই কাজ মানেই পরিপূর্ণতা যা জীবনের কিছুটা প্রাপ্তিকে মিলিয়ে দেয়। বহু মানুষ অনেক কাজ করে যায় অনেক কিছুর অধিকারী হয় কিন্তু জীবনের কিছুটা প্রাপ্তিকে পাওয়াও হয় না, জীবনের প্রাপ্তি সম্পর্কে জানাও হয় না।
তারিখঃ জুন ১৮, ২০১৮
রেটিং করুনঃ ,