ভুলে যাওয়ার সব আয়োজন সমাপ্ত হলেও,
হয় না ভুলা।
যায় না ভুলে যাওয়া।
সেই ছোট্ট বেলায় জানা শেখা
আজ এতগুলি বছর পার করে!
উৎসব করে, বড় আয়োজন করে ভুলে যাওয়ার
সব আয়োজন সমাপ্ত হলো বটে।
তবে যে-
ভুলে যাওয়াটাই দহনের, দাউ দাউ করে অন্তরে আগুনের উৎসব শুরু।
প্রশ্নের পরে প্রশ্ন কাব্য কথা।
কত কথা
এমন কেন এই প্রিয় পৃথিবী ! এমন কেন প্রিয় মানুষ সব!
আগের মত স্থির থাকবে না কি কোন কিছুই!
কোন বাঁধনে কি পড়বে না বাঁধা।
আজ থেকে যেন শুরু-
প্রশ্নের পরে প্রশ্নের কাব্য কথা।
সেই শান্ত কালো দীঘির চোখ,
খুব পাশাপাশি জোড়ার নৌকার মত ঠোঁট,
ঢেউ খেলানো চুলের গভীর অরণ্য
মুক্তা ছড়ানো খিল-খিল হাসি রাশি।
পূর্ণ পূর্নিমা নেমে আসে যে মুখে
শ্রেষ্ট হাসি রাশি ঠাঁই করে নেয় যে ঠোঁটের কোণে
পূর্নিমার আলো যে নরম হাতে যায় মিশে,
বিজ্ঞ নেতার মত ধীর পায়ে চলাচল,
কখনও বা কিশোরীর চাঞ্চলতায় উড়ে উড়ে চলা
খেয়ালিপনায় রহস্য ময়তায় চলাচল
রহস্য ঝুলে থাকা চুলের রঙিন ফিতায়,
নক্স করা কানের দুলে, রত্ন খচিত নাক ফুলটিতে।
এগুলি কখনও ভুলার জন্য নয়
হতে পারে জীবন, মন-মননের ক্ষয়
যে উপকরণে তুমি, যা দিয়ে গড়া তুমি
তা কখনও ভুলার জন্য নয়।
বহু শতকের পাথরে খোঁদায় করা লেখার মত
খুব ষ্পষ্ট, নিঁখুত করে বলে যাব আমি শুধুই
হবে না ভুলে যাওয়া।
আমার কখনই ভুলে যাওয়া হবে না।
পৃথিবীর পরে এ আমার সবচেয়ে বড় প্রতিজ্ঞা।
তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০১৯ (শ)
রেটিং করুনঃ ,