আমি মাঝে মাঝে
কবিতা লিখি
এটা তোমার পছন্দ না,
বরং সারাক্ষণ আমার পাশে থেকে
আমাকে দিয়েছো
কবিতার নানান সংজ্ঞা।
অলসরা কবিতা লিখে,
লিখলেই কবিতার লাইনগুলি
অদ্ভুত অর্থ বের করে
যা সমাজে অচল।
আমি অবাক হই তোমার কবিতার সংজ্ঞা শুনে।
বললে আজ কি তোমার অলস দিন !
তাহলে সারা দিনমান তুমি কবিতা লিখবে তাই না !!
আজ ভেবেছি কবিতার সংজ্ঞা পাল্টাব
বললাম আজ আমার কর্মদিন,
একজন ফটোগ্রাফার ঠিক করেছি।
আমরা দুই জন আর ফটোগ্রাফার সহ
কোন সবুজ মাঠে, দীঘির পাড়ে, টিলার ধারে
সারা বেলা কাটাব, কখনো পাশাপাশি বসে
তুমি সামনে দাড়িয়ে আর আমি তোমার পিছনে
তুলব নানান ছবি, অনেক অন্তরঙ্গ ছবি।
দীঘিতে পা ভিজাব এক সাথে বসে
হাত ধরে ধরে টিলার ক্ষানিকটা উপরে উঠে।
ফটো গ্রাফারের ক্লিক ক্লিক শব্দ আর
শত মন স্বর্ণে কেনা হাসিতে একাকার হয়ে
নতুন পরী ঘরে এলো যেদিন, সে্ই হাসিটুকু দুজনের ঠোঁটে
কখনও পাশিপাশি হেটে, কাছাকাছি বসে
শ’ দুই ছবি তো তুলবই।
শেষে ফটো গ্রাফার জানালো ছবি তোলা হয়েছে
মোটে ছয় শত সাটটি।
এই অলস দিনে অথবা এই কর্ম দিনে
আমা্রেই মনে হয়েছে প্রতিটি ছবি শ্রেষ্ট সব কবিতা।।
প্রিয়মতার রূপের কলমে, আমার সাদা লেখার কাগজে
এতোগুলি কবিতা লেখা হলো কি করে একদিনে !
সবই কি গভীর বন্ধনে যা একা কবিকে লিখতে দেয় নি কোনদিন !!
ছয় শত সাটটি শ্রেষ্ট কবিতা দেখার কালে –
এক ফাঁকে কে যেন বলে গেল
শুধু একটি কবিতা ছিল
কষ্ট পাথরে বাঁধানো।।
এর পর থেকে তোমার শুরু হবে
কষ্টের কবিতা লেখা।
সময়ের স্রোতে যা ভেসে যাবে
ফোঁটা ফোঁটা জল নিয়ে।।
রেটিং করুনঃ ,